রাসূলের আদর্শ অনুসরণেই শান্তিময় সমাজ গঠন সম্ভব



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাসূলের আদর্শ অনুসরণেই শান্তিময় সমাজ গঠন সম্ভব, ছবি: সংগৃহীত

রাসূলের আদর্শ অনুসরণেই শান্তিময় সমাজ গঠন সম্ভব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীটা কোনদিকে যাচ্ছে? বড় বড় রাষ্ট্রগুলো যে পথে চলছে, তাতো শান্তির পথ নয়। ফলে সঙ্কটের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মারণাস্ত্রের প্রতিযোগিতাও। শুধু অস্ত্রের সংখ্যাই যে বাড়ছে তা নয়, বাড়ছে ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতাও। যে সভ্যতায় মানুষ ও জনপদ ধ্বংসের এত আগ্রহ, সেই সভ্যতাকে কি মানবিক সভ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা যায়? মানুষ তো দু’টি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে, তার ফলাফল কি মানুষ ভুলে গেছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞই তো মানুষকে শান্তির কথা ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছিল। সে কারণেই ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এরপর ৭৫টি বছর কেটে গেছে, কিন্তু জাতিসংঘ তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরাশক্তিগুলো। পরাশক্তির দাম্ভিক ও অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জাতিসংঘ পরিণত হয়েছে একটি ভীরু সংস্থায়।

কিন্তু মানুষ চায় জাতিসংঘ তার নৈতিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করুক। এ পথে বিরাজমান বাধা দৃশ্যমান। সে বাধা দূর করার কাজই এখন মানবজাতির প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন। তবে বিশ্ববাতাবরণে তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অবশ্য মানবতাবাদী চিন্তাশীল মানুষরা শান্তির পক্ষে, নৈতিক কর্তৃত্বে বলীয়ান জাতিসংঘের পক্ষে কথা বলছেন, দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর রাজনীতিবিদরা চলছেন ভিন্ন পথে। উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা তো অনেকের সঙ্গত ও স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনার ক্ষমতাও হরণ করে নিয়েছে। এটাই এখন বিশ্ববাসীর জন্য রূঢ় বাস্তবতা। তার অর্থ কী বিশ্ব শান্তি সুদূর পরাহত? উত্তর, না।

বিশ্ববাসীর সামনে বিদ্যমান হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনালেখ্য। একমাত্র রাসূলের আদর্শ অনুসরণেই শান্তিময় সমাজ গঠন সম্ভব। ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র এখন শতভাগ সাফল্য অর্জন সম্ভব- রাসূলের দেখানো পথে জীবন চলার মাধ্যমে।

উদাহরণ হিসেবে আমরা হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তারুন্যদীপ্ত যৌবনকালের কথা বলতে পারি। তারুণ্যের তাড়নায় যৌবনে নানা রকম উচ্ছৃংখলতার ছাপ পড়ে। সমাজে প্রবাহমান কোনো না কোনো খারাপ প্রভাব যুবকদের চরিত্রে রেখাপাত করে থাকে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যৌবনকাল ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নির্মল। তৎকালীন সমাজের কোনো অনাচার, অনিয়ম ও অশ্লীলতার প্রভাব তার চরিত্রে পড়েনি। বরং তিনি সমাজের তখনকার খারাপ চিত্র দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন। মানুষ সমাজের কল্যাণ সেবা চিন্তায় অধীর হয়ে ওঠেন। তাই বিশ বছর বয়সে হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেবামূলক সংস্থা হিলফুল ফুজুল প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংস্থার মাধ্যমে তিনি যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করে সমাজের অসহায় বিশেষ করে এতিম ও বিধবাদের সহায়তা দান করেন। মানুষকে নানা ধরনের অন্যায়-অবিচার থেকে রক্ষা করতে ব্রতী হন। অভাবী মানুষের অভাব পূরণ এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সেবা করাই ছিল এ সংস্থার উদ্দেশ্য।

বর্তমান বিশ্বের হতাশাগ্রস্ত অধঃপতিত যুব সমাজ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হিলফুল ফুজুল থেকে অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, পারে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগের প্রেরণা গ্রহণ করতে। আজকের যুব সমাজ সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মাদকাসক্তি, ছিনতাই, রাহাজানি ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। তরুণ সমাজ যদি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে তাহলে সব অন্যায় ও পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে তাদের পক্ষে শান্তির সমাজ গড়া সম্ভব হবে। সুতরাং আমাদের যুব সমাজকে রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে উদ্ধুদ্ধ করা সময়ের অপরিহার্য দাবি।

শুধু উল্লেখিত বিষয় নয়, নবীর জীবনের পরিপূর্ণ অনুসরণ জরুরি। বিশেষ করে জীবনাচারের মতো বিষয়গুলো। যেমন আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করা ও আত্মসংবরণশীল হওয়া এক মহৎ গুণ। ধৈর্যের মহত্ততার দিকে লক্ষ্য রেখে আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে আদেশ প্রদান করে বলেন, অতএব, তুমি ধৈর্যধারণ করো; যেমন ধৈর্যধারণ করেছেন পূর্ববর্তী রাসূলগণ। -সূরা আহকাফ: ৩৫

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর আদেশ যথাযথভাবে পালন করেছেন, এমনকি ধৈর্যধারণ তার অনন্য ও সুমহান চরিত্রে মূর্তমান হয়েছে। তিনি রেসালতের দায়িত্ব পালনের স্বার্থে দাওয়াতের কণ্টকাকীর্ণ পথে দীর্ঘ তেইশ বছর ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। যাবতীয় প্রতিকূলতার মুখাপেক্ষী হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিচলিত কিংবা রাগের বশবর্তী হননি।

যেমন কোরাইশ কর্তৃক তাকে প্রহার, তার পিঠের ওপর উটের নাড়িভুঁড়ি তুলে দেওয়া, আবু তালেব উপত্যকায় তিন বছর পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা; তার প্রতি অধিকাংশ লোকের বৈরী আচরণ; জাদুকর, গণক ও পাগল ইত্যাদি অবমাননামূলক উপাধি দ্বারা আখ্যা দেওয়া, হিজরতের রাতে হত্যার প্রয়াস, মদিনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেওয়ার লক্ষ্যে কোরাইশের সৈন্য সমাবেশ ও যুদ্ধ প্রস্তুতি, মদিনায় তার বিরুদ্ধে ইহুদিদের ষড়যন্ত্র, পরস্পর সম্পাদিত চুক্তি ইহুদি কর্তৃক ভঙ্গ, রাসূলকে হত্যার জন্য ইহুদিদের চেষ্টা ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংগঠিত করা।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এবং তার সাহাবিগণ ও পরিবারবর্গ আহারের ক্ষেত্রেও ধৈর্যধারণ করেছেন। এমনকি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও একদিনে দু’বেলা যবের রুটি পেট ভরে খেতে পারেননি। কখনও চুলায় আগুন জ্বলত না। অধিকাংশ সময় তাদের খাবার থাকতো খেজুর আর পানি।

অথচ বর্তমান বিশ্বে প্রতি বছর নষ্ট হয় উৎপাদিত মোট খাবারের এক তৃতীয়াংশ। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

অথচ জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসূলের আদর্শ ও দেখানো পথ অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সাফল্যে ভরে ওঠবে জীবন। চলতি রবিউল আউয়াল মাসে এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;