শরিয়া বিরোধী নাম নিষিদ্ধ সৌদি আরবে
সৌদি আরবে ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক অর্থবোধক নাম রাখা হয় না। তার পরও অনেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবে আধুনিক নাম রাখেন। কিন্তু এখন থেকে আর সেই সুযোগ মিলবে না।
সম্প্রতি ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে এমন নাম রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাফেয়ার্স এজেন্সি নাম নিবন্ধনের জন্য নতুন বিধি প্রবর্তন করেছে, যার মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল রাসূল (রাসূলের গোলাম) এর মতো নাম নিবন্ধিত হবে না। নাম সম্পর্কিত ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশের কারণে সাধারণ মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত মালাক (ফেরেশতা) নামটিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা পূর্ণ নাম এবং ডাকনামের জন্যও প্রযোজ্য।
মুহাম্মদ সালেহ এবং মুহাম্মদ মোস্তফার মতো নামগুলোও এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী রাখা যাবে না। আরব দেশগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে নবজাতকের নাম রাখার ক্ষেত্রে সম্মান জানাতে বা শয়তানের নজর থেকে দূরে রাখতে দু’জন পূর্বপুরুষের নাম যুক্ত করে রাখা হয়। তবে সংস্থাটি এই পদক্ষেপের জন্য সরকারিভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি, ধর্মীয়ভাবে অতিরক্ষণশীল হওয়ার কারণে দেশটিতে সম্ভবত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগেও সৌদি আরব নামের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৫১টি নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল যা সামাজিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী বা পাশ্চাত্য প্রভাবিত ছিল। এর মধ্যে লিন্ডা, আলেস, অ্যালেইন এবং স্যান্ডির মতো নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। আবদুন নাসের এবং বিন ইয়ামিন (বেঞ্জামিন) ছিল নিষিদ্ধ আরবি নামগুলোর মধ্যে কয়েকটি।
তখন বলা হয়েছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু নাম নিষিদ্ধ করেছে। কারণ এগুলো ধর্ম বিরোধী ও সৌদি সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিছু নাম বিদেশি ও অনুপযুক্ত হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ওইসব নামে মধ্যে রয়েছে- আবদুল আতি, নারিস, ইয়ারা, সিতাভ, তিলাজ, বারাহ, আবদুল নবি, আবদুল রাসূল, আল মামলাকা, মালিকা, মামলাকা, তবারক, নারদিন, স্যান্ডি, রামা, মালাইন, ইলাইন, মালিকতিনা, মায়া, রান্দা, বাসমালা, জিবরিল, বেয়ান, ওয়াইরলাম, নবী, নবীয়া, তালাইন, আরাম, নারিজ, রিতাল, আলিস, লারিন, কিবরিয়াল ও লাউরেন।
-মিডল ইস্ট মনিটর অবলম্বনে