আলেমরা করোনার টিকা নিচ্ছেন, মানুষকেও উৎসাহিত করছেন



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, ছবি: বার্তাগ্রাফিক্স

মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, ছবি: বার্তাগ্রাফিক্স

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন এলাকার আলেম-উলামা ও ইসলামি চিন্তাবিদরা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করছেন এবং টিকা গ্রহণে মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছেন।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আর হবিগঞ্জে টিকা গ্রহণ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

ভ্যাকসিন গ্রহণের পর মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জের সহকর্মী ও ইমামদের একটি দল নিয়ে হবিগঞ্জ সদর সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনাভ‍্যাকসিন নিয়েছি। টিকা নেয়ার আগে কিছুটা ভয় কাজ করছিল। কারণ আমি অসুস্থ মানুষ। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলাম, তিনি ভ‍্যাকসিন নিতে বললেন। তাই কোনো দ্বিধা-সঙ্কোচ না করে টিকা নিলাম। ইতোমধ্যে চার ঘন্টা পার হয়েছে, কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। সুতরাং দেশবাসীকে অনুরোধ করছি, কোনো গুজবে কান না দিয়ে নিঃসঙ্কোচে টিকা নিন। সতর্কতা অবলম্বন এবং নিরাপত্তা বলয়ে প্রবেশ করা ইসলামের শিক্ষা, আমাদের নবীজির আদর্শ।’

বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সস্ত্রীক করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে আলাপকালে জানান, ‘সাড়ে বারোটায় স্বল্পসময়ে ও সুশৃঙ্খলভাবে সস্ত্রীক ভ্যাকসিন নিয়েছি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। কোনো সমস্যাবোধ করছি না। অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক চলাফেরা করছি।’

এ সময় তিনি গুজব উপেক্ষা করে দেশবাসীকে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। মালয়েশিয়া থেকে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কে পোস্ট দেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতা আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। অসুস্থ হলে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া হজরত রাসূলুল্লাহর সুন্নত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে অসুস্থ হলে যেমন চিকিৎসা গ্রহণ করতেন, তেমনি কাউকে অসুস্থ হতে দেখলে চিকিৎসা নিতে বলতেন। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহতায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার নিরাময়ের উপকরণ তিনি সৃষ্টি করেননি।’ –সহিহ বোখারি: ৫৬৭৮

‘আল্লাহতায়ালার অশেষ কৃপায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন। এটা আল্লাহতায়ালার বিশেষ মেহেরবানী। তাই, আমাদের প্রত্যেকের উচিত, ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, এই প্রতিষেধক গ্রহণ করা।’

টিকা নিচ্ছেন মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ছবি: বার্তাগ্রাফিক্স

‘বৈশ্বিক এ মহামারিতে আমরা অনেক বন্ধু, আত্মীয় এবং কাছের মানুষ হারিয়েছি। বিচ্ছেদের সেই ক্ষত এখনও শুকায়নি। নতুন করে আমরা আর কোনো প্রিয়জন হারাতে চাই না।’

মাওলানা আজহারি আরও লিখেন, ‘বাংলাদেশে দেওয়া ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে যতদূর জানতে পেরেছি, ভ্যাকসিনটি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত এবং এখন পর্যন্ত তেমন কোনো মেজর সাইড ইফেক্ট নেই। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী বিনামূল্যে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাই, সবাই রেজিস্ট্রেশন করুন, ভ্যাকসিন নিন এবং নিরাপদে থাকুন।’

‘মুখে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি এখানে উল্লেখিত দোয়াটিও প্রতিদিন বেশি বেশি পাঠ করুন। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, রোগের সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ, আবার আরোগ্যদাতাও একমাত্র আল্লাহ। তাই সব ধরনের সাবধানতা, সতর্কতা এবং চিকিৎসা গ্রহণের পর- সুস্থতা কামনায় আমরা একমাত্র মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা করব।’

দোয়ার বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাস, ওয়াল জুনুন, ওয়াল জুযাম, ওয়া মিন সায়্যিইল আসক্বাম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনাসহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই। -সুনানে আবু দাউদ: ১৫৫৪

উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। সবাইকে এই টিকার দু’টি ডোজ নিতে হবে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশে প্রথম করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রথম যে দশ জন টিকা নিয়েছেন, তাদের একজন হলেন সেবামূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান আল মারকাজুল ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুফতি হামজা ইসলাম। বাংলাদেশের প্রথম আলেম হিসেবে তিনি করোনার টিকা গ্রহণ করেন।

   

উমরা ভিসার কোটা হ্রাস, বিপাকে হাজারো যাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ঘোষণা না দিয়ে আসন্ন হজের প্রস্তুতির জন্য সৌদি আরব উমরা ভিসার কোটা প্রায় ৯০ শতাংশ হ্রাস করেছে। ফলে উমরা ভিসা ইস্যুর সংখ্যা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। উমরাযাত্রীদের চাহিদানুযায়ী সৌদি এজেন্সিগুলো(উমরা কোম্পানি) উমরা ভিসা ইস্যু করতে পারছে না। ফলে অপেক্ষমান প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি উমরাযাত্রী বিপাকে পড়েছেন।

একাধিক উমরা যাত্রী ও এজেন্সির জানা গেছে, মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনে ভিসা না পেয়ে উমরায় যেতে পারছে না বাংলাদেশিরা। উমরা ভিসা যথাসময়ে না পাওয়ায় শত শত উমরাযাত্রীর গ্রুপ টিকিটের টাকা মার যাচ্ছে। নির্ধারিত উমরাযাত্রী না পেয়ে এয়ারলাইন্সগুলোর সিট খালি যাচ্ছে। এতে টিকিটের টাকা ফেরত না পাওয়ায় উমরাযাত্রী, উমরা এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উমরার গ্রুপ টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিস্টেম না থাকায় যাত্রী পরিবহন না করেই বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আল ওয়াসি ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গাফফার খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বার বার চেষ্টা করেও ভিসা মিলছে না। অনেক যাত্রী কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি নিয়ে উমরার অপেক্ষায়, তারা বুঝতে পারছে না- কী করবে; আমরাও কিছু বলতে পারছি না। ভিসা না হওয়ায় যাত্রীরা যেতে পারছেন না। এদিকে এয়ারলাইন্সগুলো টিকিট রিফান্ড করতে অস্বীকার করছে, করোনার পর এমন পরিস্থিতিতে হুমকির মুখে বেসরকারি এজন্সিগুলো। এ অবস্থা চলতে থাকলে পথে বসবে শত শত এজেন্সি।

এমতাবস্থায় হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি টিকিটের টাকা রিফান্ডের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশা করি এয়ারলাইন্সগুলো বাস্তবতা উপলব্ধি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১৫ শাওয়াল পর্যন্ত উমরা ভিসা ইস্যু করার কথা। কিন্ত সৌদি সরকার ঈদুল ফিতরের পর থেকে দেশটির উমরা কোম্পানিগুলোকে কোটা পদ্ধতিতে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশি উমরাযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত ভিসা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উমরা এজেন্সিগুলো ভিসার জন্য আবেদন করে কোনো সাড়া পাচ্ছে না। অপেক্ষমান যাত্রীরা ভিসার জন্য এজেন্সিগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অনেক যাত্রী মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া এবং বিমানের টিকিট কিনে উমরা ভিসা না পেয়ে সৌদি যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

গত কয়েকদিনে প্রায় দুই হাজার উমরাযাত্রীর ভিসা না পাওয়ায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের গ্রুপ টিকিট বাবদ প্রায় দশ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে। যাত্রীদের উমরা ভিসার আবেদন করেও ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রুপ টিকিটের মূল্য বাবদ, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স, এয়ার এরাবিয়া ও ইজিপ্ট এয়ার দুই হাজার যাত্রীর প্রায় দশ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এতে যাত্রী ও এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এমতাবস্থায় এজেন্সিগুলো উমরা ভিসা ইস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রতারণার আশঙ্কায় সতর্ক থাকার আহবান
উমরা ভিসা জটিলতায় যখন জর্জরিত সবাই, মানুষ হন্য হয়ে চেষ্টা করতেছে কোথায় ভিসা পাওয়া যায়? তখন অনেকেই গ্যারান্টিসহ দ্রুতগতিতে ভিসা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বেশি টাকা চাচ্ছে। এমতাবস্থায় হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতৃবৃন্দ এজেন্সির মালিক ও হজযাত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

উমরা ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন এনেছে সৌদি
সম্প্রতি উমরা ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে উমরা ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর। কিন্তু এখন এই নিয়মের পরিবর্তে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন সৌদিতে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হজ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উমরা ভিসার মেয়াদ ১৫ জিলকদ উত্তীর্ণ হবে। এর আগে উমরা ভিসার মেয়াদ থাকত ২৯ জিলকদ পর্যন্ত।

মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে, উমরা ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে তিন মাস মেয়াদ থাকবে ও তা ১৫ জিলকদের মধ্যেই শেষ হতে হবে। পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হজ যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতেই সৌদির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৬ জুনের মধ্যে উমরাকারীদের সৌদি ছাড়তে হবে
পবিত্র হজের প্রস্তুতি শুরুর অংশ হিসেবে উমরাকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাইরে থেকে আসা সব উমরাকারীকে সৌদি আরব ছাড়তে হবে। ওইদিন আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন থাকবে।

সৌদি আরব উমরার জন্য যে ভিসা দিয়ে থাকে সেটির মেয়াদ থাকে ৯০ দিন। দেশটি জানিয়েছে, যাদের কাছে উমরার ভিসা আছে তারা আগামী ১৫ জিলকদ পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন। দেশটি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভিসা যেদিন ইস্যু করা হয় সেদিন থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যেদিন সৌদিতে প্রবেশ করবেন সেদিন থেকে ভিসার মেয়াদ শুরু হয়। তাদের এ ধারণা ভুল। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উমরা ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। এছাড়া এই ভিসা অন্য ভিসা হিসেবেও পরিবর্তন করা হবে না।

এজেন্সির মালিকরা মোনাজ্জেম নয় বিজনেস ভিসা পাবেন
এখনও অনেক হজ এজেন্সির মালিক বা মোনাজ্জেম উমরা ভিসা না পাওয়ায় মক্কা-মদিনায় হাজিদের বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করতে সৌদি যেতে পারেনি। আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবার কথা। বাড়ি ভাড়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করা না হলে হাজিদের ফ্লাইট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ২৯ এপ্রিল হজ ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এবার হজে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবছর হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া বা অন্যকোনো প্রয়োজনে যাওয়ার জন্য মোনাজ্জেম ভিসার পরিবর্তে ‘বিজনেস ভিসা’ প্রদান করা হচ্ছে মর্মে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস জানিয়েছে। ফলে এখনও কোনো এজেন্সির প্রতিনিধি বাড়ি ভাড়া বা হজের প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার প্রয়োজন হলে তিনি ‘বিজনেস ভিসায়’ সৌদি আরব যেতে পারবেন।

;

ঈমানের স্বাদ ও মিষ্টতা কী?



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈমানের স্বাদ সবাই আস্বাদন করতে পারে না, ছবি : সংগৃহীত

ঈমানের স্বাদ সবাই আস্বাদন করতে পারে না, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, হজরত জিবরাইল (আ.) রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবার আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘ঈমান হলো, তুমি ঈমান রাখবে আল্লাহর প্রতি, তার (আল্লাহর) ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসুলদের প্রতি এবং শেষ দিবসের (কেয়ামত) প্রতি। (এবং) তুমি ঈমান রাখবে তাককিরের ভালো-মন্দের প্রতি।’ হজরত জিবরাইল (আ.) বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। -সহিহ মুসলিম : ৮

ঈমানের স্বাদ
হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী কারিম (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে রবরূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (সা.)-কে রাসুলরূপে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করবে। -সহিহ মুসলিম : ৩৪

সুস্বাদু খাদ্যের স্বাদ সেই বুঝতে পারে যার জিহ্বায় স্বাদ আছে। রোগ-ব্যাধির কারণে নষ্ট হয়ে যায়নি। তদ্রূপ ঈমান ও যাবতীয় আমলের স্বাদও ওই খোশনসিব ব্যক্তিই অনুভব করে, যে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টিচিত্তে ও সর্বান্তকরণে আল্লাহকে রব ও পরওয়ারদিগার এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল ও আদর্শ এবং ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ও জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করে।

আল্লাহতায়ালা, নবী মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে যার সম্পর্ক কেবলই বংশগত ও প্রথাগত বা কেবলই চিন্তাগত ও বুদ্ধিগত পর্যায়েই নয় বরং সে আল্লাহর বন্দেগি, মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য এবং ইসলামের অনুসরণকে মনেপ্রাণে নিজের জীবনে গ্রহণ করে নেবে। সেই ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। -মাআরিফুল হাদিস : ১/৯১

ঈমানের মিষ্টতা
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে সে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করবে। আল্লাহ ও তার রাসুল তার কাছে সবকিছু থেকে অধিক প্রিয় হওয়া, কাউকে ভালোবাসলে শুধু আল্লাহরই জন্য ভালোবাসা, আর কুফুরিতে ফিরে যাওয়াকে এমন ঘৃণা করা, যেমন সে ঘৃণা করে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে। -সহিহ বোখারি : ১৬

এই হাদিসের বিষয়বস্তুও আগের হাদিসের বিষয়বস্তুর প্রায় কাছাকাছি। উপস্থাপনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এই হাদিসে বলা হচ্ছে, ঈমানের মিষ্টতা ওই ব্যক্তিই অনুভব করতে পারবে, যে আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ সমর্পিত থাকবে; আল্লাহ ও তার রাসুলকে জগতের সবকিছু থেকে বেশি ভালোবাসবে। অন্য কারও প্রতি যদি তার ভালোবাসা হয়, তা হবে সম্পূর্ণ এই ভালোবাসার অধীন। আর ইসলাম তার এতই প্রিয় যে, ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া, কুফুরিতে লিপ্ত হওয়া তার কাছে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সমতুল্য। -মাআরিফুল হাদিস : ১/৯১

;

মসজিদ নির্মাণ করবে দাউদ কিম

কোরিয়ার প্রতিটি গলি থেকে ভেসে আসবে আজানের সুর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জমি কেনার দলিল হাতে দাউদ কিম, ছবি : সংগৃহীত

জমি কেনার দলিল হাতে দাউদ কিম, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী দক্ষিণ কোরিয়ান ইউটিউবার দাউদ কিম মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে মসজিদের জন্য জমিও কিনেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ওই জমি ও তার দলিলের ছবি শেয়ার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এই নওমুসলিম। তিনি দেশটির ইঞ্চোন শহরে মসজিদটি নির্মাণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

ইনস্টাগ্রামে কিম লিখেছেন, ‘অবশেষে আপনাদের সাহায্যে আমি ইঞ্চোনে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। খুব শিগগিরই জায়গাটিতে মসজিদ নির্মিত হবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার এই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’

ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ওই জমিতে মসজিদের পাশাপাশি একটি ইসলামিক পডকাস্ট স্টুডিও তৈরির ইচ্ছা আমার। সত্যি এটি একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ, এতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস- আমি এগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।’

দাউদ কিম আশাবাদ ব্যক্ত করে লিখেছেন যে, ‘এমন একটি দিন আসবে, যেদিন কোরিয়ার প্রতিটি গলি আজানের সুমধুর ধ্বনিতে ভরে উঠবে। এ জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

কিম ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। এরপর ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তিনি সারাবিশ্বে বিখ্যাত বনে যান। জনপ্রিয় এই ইউটিউবার তার নিয়মিত ব্লগে ইসলামিক বিভিন্ন কনটেন্ট, নামাজ পড়ার ভিডিওসহ নানা কিছুই পোস্ট করে থাকেন। ২০২২ সালে কিম বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশ ঘুরে তিনি পবিত্র উমরা পালন করতে সৌদি আরব যান।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই গায়ক ইউটিউবিং করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। ঘুরতে ঘুরতে তিনি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়া যান। দেশগুলোতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাছ থেকে দেখে ও বুঝে তিনি আকৃষ্ট হন। ইসলামের জীবনবিধান দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পুরোপুরি মুসলমান হয়ে যান।

দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। যা কোরিয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশ নিয়ে গঠিত। সিউল দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। সিউল বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের তালিকায় থাকা একটি শহর।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইসলামের উপস্থিতি খুবই সামান্য। ২০০৫ সালেও দেশটির আদমশুমারিতে মুসলিমদের কোনো বিভাগের সদস্য হিসেবে ধরা হত না। বর্তমানে দেশটিতে ২ লাখ মুসলিম রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা অভিবাসী এবং কিছু ধর্মান্তরিত বাসিন্দা। দেশটিতে ২১টি মসজিদ, ১৩টি ইসলামিক সেন্টার ও ১৪০টির মতো নামাজের স্থান রয়েছে।

১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। সিউল সেন্ট্রাল মসজিদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম মসজিদ। যা হেনামডং সিউলে অবস্থিত। মসজিদটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনন্য সুন্দর মসজিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

;

তীব্র গরম মুমিনকে যা শিক্ষা দেয়



মাওলানা ফখরুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
গরম থেকে বাঁচতে ফুটপাতের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাথায় পানি দিচ্ছেন, ছবি : রাজু আহমেদ

গরম থেকে বাঁচতে ফুটপাতের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাথায় পানি দিচ্ছেন, ছবি : রাজু আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। ফলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। বস্তুত শীত, গরম, রোদ, বৃষ্টি সবই আল্লাহর দেওয়া। তীব্র শীত আর প্রচণ্ড গরমে রয়েছে মুমিনে জন্য শিক্ষা। জনজীবন অতিষ্ট হওয়া গরম আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আজাবের কথা। তাই তীব্র তাপদাহের সময় দয়াময় আল্লাহতায়ালার কাছে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা জরুরি।

পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে মানবতার কল্যাণ সাধনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। ফলে তীব্র গরমের সময় ইবাদত-বন্দেগি সহজ করেছে ইসলাম। হজরত আবু জার (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম।
এক সময় মোয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবী কারিম (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মোয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবী কারিম (সা.) পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও।
এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম।
এরপর নবী কারিম (সা.) বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় করো। -সহিহ বোখারি : ৫৩৯
বর্ণিত হাদিসের আলোকে বিধান হলো, অতীব গরমের সময় কিছুটা বিলম্ব করে জোহরের নামাজ আদায় করা সুন্নত।

গরমের সময় এমন কিছু আমল রয়েছে, যেগুলোর সওয়াব অনেক। একজন মুমিন সেসব আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারেন। ওই সব আমলের কয়েকটি হলো-

নফল রোজা
গরমের রোজা শীতের থেকে বেশি কষ্টকর। গরমের কষ্ট উপেক্ষা করে যদি নফল রোজা রাখা যায়, তাহলে আল্লাহতায়ালা বেশি নেকি দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববর্তী বুজুর্গরা বেশি সওয়াবের আশায় গরমকালে রোজা রাখতেন।

পিপাসার্তকে পানি পান করানো
পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ। আর যদি প্রচণ্ড গরমে কাউকে ঠাণ্ডা পানি পান করানো হয়, তাহলে তো কাজটি আরও উত্তম হবে। এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, ‘কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ -সুনানে নাসাই : ৫৪৫৬
ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’
হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৭৪৩৫

নফল নামাজ
অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস, তাই জাহান্নামের ভয়ে বেশি করে এবং লম্বা লম্বা সুরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় করো। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস।’ -মেশকাত : ৫৯১

গরম থেকে শিক্ষা
গরমের তীব্রতা থেকে মুমিনের জন্য রয়েছে শিক্ষা। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এ গরম থেকে জাহান্নামের তীব্রতা অনুমান করে গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এ বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচণ্ডতায়) আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ তাকে দুইটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভব করো।’ -সহিহ বোখারি : ৫৪৫৫

গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে, গরিবদের মাঝে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। ঘামে ভেজা শরীরে জনসমাগমে গমন না করা। গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা। গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা বিষয়টিও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেয় ইসলাম।

বৃষ্টির জন্য নামাজ
প্রচণ্ড গরমে একপশলা বৃষ্টির জন্য মুমিনরা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। শস্য ফলানোসহ পশুপাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, তেমনি তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুব প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে দয়াময় আল্লাহতায়ালার দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। পরিভাষায় এই নামাজের নাম ‘ইসতিসকা’ বা বৃষ্টির নামাজ।

ইসলামের শিক্ষা হলো- সর্বাবস্থায় বান্দা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। প্রচণ্ড গরমের সময়ও এর ব্যতিক্রম নয়। তীব্র তাপদাহের সময় মানুষের উচিৎ জাহান্নামের গরমের কথা স্মরণ করা। জাহান্নাম থেকে বাঁচতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে আত্মনিয়োগ করা।

একটু শান্তির জন্য দুনিয়ার জীবনে গরমের কষ্ট ও তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য যদি আমরা সম্ভবপর সব উপায় অবলম্বন করতে পারি, তাহলে আখেরাতের আজাব ও ভয়াবহতা থেকে বাঁচার জন্য আমলদার এবং সাধনাকারী হওয়া জরুরি।

;