যাদের জন্য আল্লাহ বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন



মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফী, অতিথি লেখক, ইসলাম
যাদের জন্য আল্লাহ বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন, তা কোরআনে কারিমে স্পষ্ট করে বলা আছে

যাদের জন্য আল্লাহ বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন, তা কোরআনে কারিমে স্পষ্ট করে বলা আছে

  • Font increase
  • Font Decrease

‘যদি সেই সময় জনপদের মানুষগুলো ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো, তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান ও জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে, অতঃপর তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করেছি।’ -সুরা আল আরাফ : ৯৬

বর্ণিত আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে, ঈমান আনা ও তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করলে আল্লাহ পাক বরকতের দুয়ার খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছেন। আল্লাহর এই ওয়াদা চিরন্তন। অর্থাৎ ঈমান ও তাকওয়া অবলম্বনকারীদের আল্লাহ বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন। এ জন্য আয়াতে উল্লেখিত আল্লাহ নির্ধারিত দু’টি শর্ত পূরণ করতে হবে।

বস্তুত দুনিয়ার জীবনে বরকত ও কল্যাণ লাভের জন্য আল্লাহ দু’টি শর্ত প্রদান করেছেন। আল্লাহ প্রদত্ত সাফল্য বহুমাত্রিক এবং সেটি দুনিয়া ও আখিরাতে পাওয়া যাবে। সকল ধনভাণ্ডার ও কল্যাণের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে এবং তিনি তার বান্দাদের দিতে চান। শর্ত দু’টির প্রথম হলো- ঈমান এবং দ্বিতীয়টি হলো- তাকওয়া। জীবনে সত্যিকার সুখ-শান্তি-পরিতৃপ্তি দানের মালিক আল্লাহ এবং সেটি যথার্থ ভোগ করতে পারে কেবল মুমিনরা। প্রাচুর্যের মধ্যে যে প্রকৃত সুখ নেই, তা আমরা প্রতিনিয়তই চারপাশে লক্ষ করছি। আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তার পথে চলার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি ও পরম সুখ রয়েছে তা কাফের-মুশরেকরা কখনও উপলব্ধি করতে পারে না। এখানে আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করেছেন, তার প্রতি ঈমান এবং তাকে ভয় করে চলার নীতি অবলম্বন করলে সেই জনপদকে তিনি সুখ-শান্তিতে ভরে দেবেন।

প্রশ্ন উঠতে পারে শতকরা নব্বইভাগ মুসলিম অধ্যুষিত আমাদের বাংলাদেশ এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রকৃত সুখ-শান্তি কি রয়েছে? এক কথায় জবাব হবে, না। আবার আমাদের মধ্যে একজনকেও পাওয়া যাবে না, যে বলতে পারে আল্লাহর ওয়াদা সঠিক নয়। তাহলে বলা যায় জাতিগতভাবে আমরা না মুমিন আর না মুত্তাকি। আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, কোর্ট-কাচারি কোথাও তাকওয়ার লেশ নেই। আমাদের মতো এতো মিথ্যাবাদী, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী, আমানতে খেয়ানতকারী, হিংসা-বিদ্বেষে জর্জরিত বিশ্বে বিরল। যার ফলে আল্লাহর প্রতিশ্রুত লাঞ্ছনা ও অপমান আমরা ভোগ করছি।

মনে হতে পারে, আমরা তো আধা মুসলমান কিন্তু যারা আল্লাহকে আদৌ মানে না, তাদের কেন আমাদের ওপর শাসন করার ক্ষমতা দান করেছেন। এটিই তো আমাদের শাস্তি-লাঞ্ছনা, অপমান ও জিল্লতি।

এই বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্লাহর একটি নিয়ম রয়েছে। যারা মৌলিক মানবীয় গুণে ভূষিত অর্থাৎ যাদের মধ্যে রয়েছে সততা, বিশ্বস্ততা, আমানতদারিতা, সুশাসন, ন্যায়পরায়ণতা, কল্যাণকামিতা, পরিশ্রমপ্রিয়তা, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন এবং ঈমান না থাকার কারণে আখেরাতে শুভ ফল লাভ থেকে তারা বঞ্চিত হবে। আল্লাহ কারও আমল বিনষ্ট করেন না। আল্লাহ পাক যখন এই আয়াত নাজিল করেন, তখন প্রতিশ্রুতি প্রদানের সঙ্গে পাকড়াও করার কথাও বলেছেন। অল্পদিনের ব্যবধানে আল্লাহ পাক আরবের জাহেলি নেতৃত্ব উৎখাত করে সেখানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যাতে পারে। যা ছিল প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে ঘটে যাওয়া মুজেজা। একটি ঘটনা খন্দকের যুদ্ধকালীন যখন মুসলমানরা চরম দুর্ভিক্ষে পতিত হন। শত্রু কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যায় এবং ক্ষুধায় তারা কাতর হয়ে পড়েন। এমন সময় হজরত জাবের (রা.) তার স্ত্রীকে এসে জানান যে, মুহাম্মদ (সা.) ও তার সাহাবিরা অভুক্ত রয়েছেন। এ কথা শুনে তার স্ত্রী বলেন, তাদের একটি ছাগল রয়েছে সেটি জবেহ করে দিয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দাওয়াত দিন। হজরত জাবের (রা.) হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালে তিনি প্রকাশ্য ঘোষণা করে দেন যে, সবার আজ জাবেরের বাড়িতে দাওয়াত। হজরত জাবের (রা.) ভয় পেয়ে স্ত্রীকে গিয়ে বললে তিনি জবাব দেন, যেহেতু হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সেহেতু কোনো ভয় নেই বা সমস্যা নেই। এমনই ছিল আল্লাহর প্রতি তাদের তাওয়াক্কুল ও রাসুল (সা.)-এর প্রতি আস্থা। সেই রুটি ও গোশত যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবিরা খাওয়ার পরেও মদিনাবাসী তৃপ্তির সঙ্গে খেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণনা। তিনি আসহাবে সুফফার একজন সদস্য এবং সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী। একদিন তিনি ক্ষুধায় খুব কাতর হয়ে পড়লে হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত ওমর (রা.)-এর বাড়ি পর্যন্ত আলাপ করতে করতে যান। কিন্তু তারা কেউ তার অসহায়ত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। ফলে ফিরে মসজিদে চলে আসেন। নবী কারিম (সা.) বিষয়টি উপলব্ধি করে তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যান। কোনো এক স্ত্রীর ঘরে এক পেয়ালা দুধ পান। দুধ নিয়ে মুহাম্মদ (সা.) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) কে বলেন, আসহাবে সুফফার সবাইকে ডেকে আনো। দুধ এক পেয়ালা আর মানুষ সত্তর জন, তিনি তাজ্জব হয়ে যান। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ছিলেন খুবই ক্ষুধার্ত। তিনি ভাবলেন, এক ফোঁটা করে দুধও তো ভাগে পড়বে না। সবাই উপস্থিত হলে তাকেই দেওয়া হয় দুধ পান করানোর দায়িত্ব এবং সবাই তৃপ্তির সঙ্গে সেই দুধ পান করেন। বরকত দানের মালিক আল্লাহ। তার ভাণ্ডার অফুরন্ত। এটি ছিল নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে এমন অনেক মুজেজা ঘটেছে।

উপরোক্ত ঘটনা দু’টি আল্লাহর প্রত্যক্ষ বরকত দানের উদাহরণ। সূরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা সাধারণভাবে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন, যেকোনো জনপদের মানুষ যদি তার প্রতি ঈমান আনে ও তাকে ভয় করে চলে তাহলে আল্লাহ তাদের জীবন থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করে আসমান ও জমিনের বরকতের দুয়ারসমূহ খুলে দেবেন। অন্যথা ঘটলে তারা আল্লাহর আজাবের মুখোমুখি হবে। আল্লাহ পাক আমাদের তার প্রতি ঈমান ও সকল অবস্থায় তাকে ভয় করে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;