ইসলামে আনন্দ-বিনোদন ও অবকাশযাপন



ড. সালমান আল আওদাহ
ইসলামে আনন্দ-বিনোদন ও অবকাশযাপন

ইসলামে আনন্দ-বিনোদন ও অবকাশযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দ-বেদনা নিয়েই মানবজীবন। মানুষের জীবন যেমন কখনও আনন্দের রোল পড়ে, তেমনি কখনও ভরে ওঠে দুঃখ-ব্যথায়। দেহ ও মনের ক্লান্তি-ক্লেশ দূর করতে পারে একটুখানি বিনোদনের রেশ। জীবন মানে সদা-সর্বদা কঠোর নির্দেশনা পালন নয়; বরং মানবজীবনে বিশ্রাম ও অবকাশের প্রয়োজন আছে। জীবন মানেই হাসি-কান্না ও আনন্দ-বেদনার এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের আনন্দ-বিনোদনেরও শিক্ষা দিয়েছেন। দ্বীনের সীমা ও পরিধির ভেতরে থেকে জীবনের যেকোনো উপলক্ষে আনন্দ-উদযাপন করা যায়। যেমন- জীবনের সাফল্য, পার্থিব উন্নতি-অগ্রগতি ও ইবাদতসহ সব কিছু নিয়েই আনন্দ প্রকাশ করা যায়।

তবে ইসলামি শরিয়তের প্রমাণিত বিধান লঙ্ঘন করে এমনভাবে আনন্দ-বিনোদনে লিপ্ত হওয়া গর্হিত কাজ। আল্লাহতায়ালা মানুষকে সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। খোদাপ্রদত্ত বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে মানুষ অনায়াসেই হালাল-হারামের মাঝে তফাত করতে পারে। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘এক লোক হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালো ও মন্দ কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ যা অন্তরকে স্বস্তি দেয় ও আত্মাকে প্রশান্ত করে। আর পাপ কাজ হলো যা অন্তরে কালো দাগ ফেলে দেয় এবং অন্তরে দ্বিধা ও সংশয় সৃষ্টি করে।’ -মুসনাদে আহমদ : ১৮০৩০

হজরত জাহির আল আসলামি (রা.) ছিলেন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুরনো সঙ্গী। একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। সবার উদ্দেশে বললেন, ‘এই দাস কে কিনবে? এই দাস কে কিনবে? তিনি পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখেন রাসুল (সা.)। তারপর আস্তে আস্তে নিজের পিঠ রাসুল (সা.)-এর পেটের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়ে বললেন, আমাকে বিক্রি বেশি মূল্য পাবেন না। রাসুল (সা.) বললেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে তোমার মূল্য আছে।’ -মুসনাদে আহমদ : ১২৬৬৯

মানবজীবনে সুস্থ বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা চিত্তবিনোদন প্রাণে সঞ্জীবনী শক্তি আনে। এমনকি অতি ব্যস্ত ও দৃঢ়চেতা মানুষের মনেও প্রশান্তি আনে। হজরত ওমর (রা.) নিজের মনকে শান্ত করতে কবিতা আবৃত্তি করতেন। কৌতুক ও রসিকতা করতেন। খোদ রাসুল (সা.) এ শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ ওমর (রা.)-এর কথা এলেই মনে পড়ে কঠিন ব্যক্তিত্বের অধিকারী এক মানুষের ছবি, যে হাসে না, আনন্দ উদযাপন করে না।

হজরত ওমর (রা.) একদিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে বাজি ধরলেন- কে পানির ভেতর দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে! ইবনে আব্বাস তখন বাচ্চা ছেলে মাত্র। বড়জোর তেরো-চৌদ্দ বছর বয়স। বয়ঃসন্ধির সময়। দু’জনের মধ্যে বয়সের আকাশ-পাতাল তফাত। তার সঙ্গে ওমর পানিতে ডুব দিয়েছে কে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে পরখ করে দেখার জন্য। -আল মুহাল্লা : ১৭৪/৭

হজরত উসমান (রা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, ‘আচ্ছা হজের সময় মাহরাম কি বাগানে তথা পার্কে প্রবেশ করতে পারবে? তখন তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, সঙ্গে ‘রাইহান’-এর ঘ্রাণও নিতে পারবে।’ -উমদাতুল কারি : ১৫৬/৯

ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলতেন, ‘পার্কে গিয়ে গুরুগম্ভীর হয়ে থাকা কিছুতেই ব্যক্তিত্ববোধের পরিচায়ক নয়।’ তিনি কখনও পার্কে গেলে পাগড়ি খুলে বসতেন। আশপাশের সবার সঙ্গে হাস্য-রসিকতা করতেন। ছোট-বড়, শিশু-কিশোর এবং যুবক সবার সঙ্গেই কথা বলতেন। জীবনের চাপ কমাতেন, আনন্দ করতেন। -মানাকিবুশ শাফেয়ি : ২১২/২

একদিন কিছু কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মসজিদে বর্শা নিয়ে খেলছিল। তা দেখে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের বললেন, ‘খেলো।’ অন্য বর্ণনায় আছে, ‘বনু আরফিদার বাসিন্দারা, তোমরা তা গ্রহণ করো। যেন ইহুদি, খ্রিস্টানরা জানতে পারে যে আমাদের ধর্মেও বিনোদন আছে।’ –সহিহ বোখারি : ৯৫০

ইসলামে অবকাশযাপনের অনুমোদন আছে। অবকাশযাপনে আনন্দ বিনোদন উপভোগ করা সবার উচিত। একনাগাড়ে কঠোর পরিশ্রম করে গেলে কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তা ছাড়া মানুষ লাগাতার কাজ করে যেতে পারে না। অবকাশযাপনের এই সুযোগকে সঠিক কাজে বিনিয়োগ করা উচিত। ইসলামি বিধানের আলোকে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা দরকার।

বিখ্যাত আরবি গ্রন্থ ‘মাআল মুস্তফা’ অবলম্বনে

লেখক পরিচিতি :
ড. সালমান আল আওদাহ। সৌদি আরবে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইসলামি স্কলার। তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স’-এর একজন সদস্য এবং ইসলাম টুডে ওয়েবসাইটের আরবি সংস্করণের পরিচালক। বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং পত্রিকায় কলামলেখক হিসেবেও কাজ করেন। সৌদি আরবের আল-কাসিমের বুরাইদা শহরের নিকটবর্তী আল-বাসর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি তার শৈশব আল-বাসরে অতিবাহিত করেছেন, তারপরে বুরাইদাতে চলে আসেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আল-আউদার পুত্র হিশাম এবং তার স্ত্রী হায়া মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ইমাম মুহাম্মদ বিন সাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক আইন শাসনে বিএ, এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আবদুল আল-আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ, মুহাম্মদ ইবনে আল উসাইমিন, আবদুল্লাহ আবদাল রহমান জিবরিনের মতো পণ্ডিতদের কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে আল-কাসিমের বৈজ্ঞানিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হন। ১৯৯০ সালে বুরাইদার কেন্দ্রীয় মসজিদেও সাপ্তাহিক পাঠদান শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৫০টি বই রচনা করেন।

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;