জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসলামি সংগীত চ্যানেল হলি টিউন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসলামি সংগীত চ্যানেল হলি টিউন, ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসলামি সংগীত চ্যানেল হলি টিউন, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ,
জয় করিল দিল রে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।’

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর গজলের একটি। এই গজলের ভাব, আবেদন ও হৃদছোঁয়া সুরে আন্দোলিত হয়নি- এমন মানুষের খোঁজ মেলা মুশকিল। কবি নজরুল বাংলা ভাষায় সার্থক বেশ কিছু গজল লিখে গেছেন, যা দেশ ও বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। নাশিদ, গজল, হামদ, নাত কিংবা ইসলামি ভাবধারার সংগীত যারা শুনেন তাদের কাছে এই গজল নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। তবে নজরুলের এই গজলের প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ হলো, এই গজলগুলো নতুনভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামি সংগীত চ্যানেল- হলি টিউন।

ইউটিউবে চ্যানেলটি কার্যক্রম শুরু ২০১৬ সালে। এখন পর্যন্ত ৭৭০টির ভিডিও তারা আপলোড করেছে। তন্মধ্যে গুণগত মান, সংগীতায়োজন, হৃদকাড়া সুর, বিষয় নির্বাচন, সমকালীনতা ইত্যাদির কারণে দর্শকদের কাছে চার শতাধিক সংগীত ব্যাকভাবে সমাদৃত হয়েছে। হলি টিউনের সর্বমোট ভিডিও দেখা হয়েছে একশ এক কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি বার। তন্মধ্যে পঁচিশটির ভিডিও দর্শকরা দেখেছেন কোটি বার।

হলি টিউনের লোগো

 

হলি টিউনের প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। পরিচালক হিসেবে রয়েছেন সাঈদ আহমাদ। শিল্পী হিসেবে তারাও দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়। জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরব এবং বিভিন্ন ইসলামি সংগীত শিল্পীদের ইসলামি সংগীত ও নাশিদ প্রকাশ করে হলি টিউন। সংগীতের বিষয় নির্বাচনে সম-সাময়িক প্রসঙ্গকে প্রাধান্য দেওয়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাভাষী দর্শকরা হলি টিউনের সংগীতগুলো শুনে থাকেন। তাদের সর্বশেষ গজল বেকারত্ব নিয়ে ‘আমার মামু খালু নাই।’ ২১ জানুয়ারি রাতে গজলটি আপলোড করা হয়েছে। দুই দিনে ভিডিওটি দেখা হয়েছে তিন লাখ পাঁচ হাজার ২১৮ বার। এর দ্বারাই চ্যানেলটির জনপ্রিয়তা সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করা যায়। আপাতত প্রতি মাসে মানসম্পন্ন চারটি ভিডিও কনটেন্ট প্রচার করা হয় এই চ্যানেল থেকে।

ইসলামি ভাবধারার সংগীতকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে হলি টিউন বিশাল ভূমিকা রাখছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘হলি টিউনের আগে এভাবে কেউ ইসলামি ধারার সংগীত নিয়ে কেউ কাজ করেনি।’ চ্যানলেটির আনুষ্ঠানিক পথ চলায় প্রথম ভিডিও ছিলো- মুহাম্মদ বদরুজ্জামানের একক কন্ঠের ‘চলার পথে’ সংগীতটি। এই চ্যানেলের সংগীতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ শিশু-কিশোরদের কন্ঠে গাওয়া ‘রমজানের ওই রোজার শেষে’ সংগীতটি। এর ভিউ প্রায় ৫ কোটি।

কলরবের শিল্পীরা

 

বাংলাদেশে ইসলামি সংগীত জগতে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার নিয়ে প্রথম গোল্ডেন প্লে বাটন পাওয়া এই চ্যানেলটি পাঁচ বছরে পরিণত হয় পঞ্চাশ লাখের পরিবারে। ইতিমধ্যে চ্যানেলটি সব মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সম্পর্কে অনুভূতি জানাতে গিয়ে হলিটিউনের সিইও মুহাম্মাদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আল্লাহতায়ালার কাছে শোকরিয়া আদায় করছি এবং দর্শক শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা আমাদের কাজগুলো গ্রহণ করেছেন। ইসলামি সংগীত অঙ্গনে এ অর্জন সত্যিই বিরল। আমরা ধন্যবাদ জানাই হলি টিউনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে।’

হলি টিউনের জনপ্রিয় শিল্পীরা হলেন- সাঈদ আহমাদ, মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, আবু রায়হান, আহমদ আব্দুল্লাহ, শিশু কারী আবু রায়হান, মাহফুজুল আলম, তাওহীদ জামিল, আহনাফ খালিদ, ফজলে এলাহী সাকিব, রিফাত রহমান, জাহিদুল ইসলাম শাওন ও শিশুশিল্পী হোজায়ফা প্রমুখ।

লিরিকিস্ট হিসেবে রয়েছেন, সাইফ সিরাজ, আহমদ আবদুল্লাহ, জাফর আহমদ রাবি, রাজিব হাসান, আমিনুল ইসলাম মামুন, তাওহিদ জামিল প্রমুখ।

অধিকাংশ গানের সুর করেছেন- সাঈদ আহমাদ, মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ও আহমদ আব্দুল্লাহ।
সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মাহফুজুল আলম ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন, ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি ইন্তেকাল করেন। আলোচিত অনেক সংগীতের সাউন্ড ডিজাইন করেছেন তানজিম রেজা।

হলি টিউনের জনপ্রিয় কিছু সংগীত

 

উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির এই সময়ে ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধারণ করে পথচলা হলি টিউন নিয়ে মুহাম্মদ বদরুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা অনেক আগ থেকেই স্বপ্ন দেখি, অপসংস্কৃতির বদলে সবাই একদিন ইসলামি সংস্কৃতি চর্চা করবে। ইসলামি গান শুনতে অভ্যস্ত হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা অবিরাম কাজ করছি। আলহামদুলিল্লাহ, মানুষের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণায় আমরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি।’

অনেক দর্শক হলি টিউনের নিত্যনতুন সংগীতের অপেক্ষায় থাকেন। তবে মাঝে-মধ্যে তাদের সংগীতায়োজন, কথা ও দৃশ্যায়ন ইত্যাদি নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনারও মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অগ্রযাত্রা অব্যাহতে রয়েছে হলি টিউনের। এটাও একটি বিরাট প্রাপ্তি ও সাফল্য।

হলি টিউনের উল্লেখযোগ্য সংগীতগুলো হলো- ঈদের গান এলো খুশির ঈদ, ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ, এলো খুশির বারাত নিয়ে শবে বারাত, আমি দেখিনি তোমায়, প্রতিবাদী সংগীত তুমি কেমন মুসলমান, মরমি গজল হারিয়ে যাবো একদিন, নাতে রাসুল হৃদয় মাঝে মালা গাঁথি, হামদ আল্লাহ আল্লাহ, আজব টাকা, সাল্লিআলা মুহাম্মাদ, ইশকে নাবী জিন্দাবাদ ইত্যাদি।

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;