মুফতি রুহুল আমীন বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে খতিব হিসেবে তার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের ইন্তেকালের প্রায় দুই মাস পর তিনি খতিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় মুফতি রুহুল আমীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এখনও নিয়োগপত্রের চিঠি পাইনি। তবে খতিব হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি শুক্রবার (১ এপ্রিল) প্রথম জুমার নামাজ পড়াবো।’

বিজ্ঞাপন

মুফতি রুহুল আমীন সরকার স্বীকৃত কওমি মাদরাসার সবোর্চ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিলজামিয়াতিল কওমিয়ার সদস্য। এ ছাড়া তিনি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান।

রাজধানী ঢাকার লালবাগ ও ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা দেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরীর সন্তান মুফতি রুহুল আমীন পিতার মতো জামায়াতবিরোধী আলেম হিসেবে সুপরিচিত। কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস সনদকে সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে যে কয়জন আলেম সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি তাদের অন্যতম।

বিজ্ঞাপন

১৯৬২ সালের ১২ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা গ্রামে তার জন্ম। তিনি হাফেজে কোরআন এবং অরাজনৈতিক সমাজসেবামূলক সংগঠন খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির। দীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি ঐতিহাসিক তারা মসজিদ, গেন্ডারিয়া জামে মসজিদ ও আরমানিটোলা জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাদারীপুরের শিবচর জামিয়াতুস সুন্নাহসহ ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন। ঐতিহাসিক জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়াসহ বেশ কিছু মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে হাদিসের দরস দিয়েছেন।

আলেম সমাজে তার বিশাল গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। খতিব হিসেবে তার নিয়োগের খবরে আলেম-উলামারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মুফতি রুহুল আমীন বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের শরিয়া সুপারভাইজারি কমিটির সদস্য এবং রেজিস্টার্ড পত্রিকা মাসিক আল আশরাফের সম্পাদক। দেশের নানা প্রান্তের বেশ কিছু মাদরাসা-মসজিদের মুতাওয়াল্লি, সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১১ সালে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ ফতোয়ার বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিয়া হিসেবে যে পাঁচজন মুফতির মতামত শুনেন, মুফতি রুহুল আমীন তার অন্যতম একজন।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ মাওলানা সালাহউদ্দিনকে বায়তুল মোকাররমের খতিব নিয়োগ দেয়। কিন্ত অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেননি তিনি।

গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর পদটি এতদিন খালি ছিল। অবশেষে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন মুফতি রুহুল আমীন।

খতিব, বায়তুল মোকাররম, জাতীয় মসজিদ, মুফতি রুহুল আমীন, মুফতি, হাফেজ, ইমাম