অভ্যাস জনিত গোপন পাপ থেকে সাবধান

  • মোখতারুল ইসলাম মিলন, অতিথি লেখক, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফিরে আসতে হবে গোপন পাপ কাজ থেকে

ফিরে আসতে হবে গোপন পাপ কাজ থেকে

বর্তমানের যুবসমাজ অধিকতর গোপন যে পাপে জর্জরিত তা হলো- হস্তমৈথুন। এই মন্দ অভ্যাসে মহামারির ন্যায় আক্রান্ত অনেক মানুষ। যে মন্দ অভ্যাসের পাল্লায় আক্রান্তরা প্রতিনিয়ত নিজেদের আমলনামায় লেখাচ্ছে পাপ, সেই সঙ্গে নিজেদের জীবনকে ধ্বংস করে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে। নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল অশ্লীল ভিডিও দেখে চোখ নষ্ট করছে, সেই সঙ্গে ক্ষয় করছে অমূল্য যৌবন। নগ্ন ছবি ও ভিডিও এতো পরিমাণে বেড়ে গেছে- যা বলার বাইরে।

মানুষ ইন্টারনেট যেমন দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করছে, জীবনের সবকিছু সহজ করে দিয়েছে সেই সঙ্গে আমাদের লজ্জা কমিয়ে দিয়েছে। ইন্টারনেটে প্রবেশ মাত্রই নগ্ন ছবি চলে আসে, যা থেকে চোখ রক্ষা করা খুবই দুষ্কর। এন্ড্রোয়েড মোবাইল এখন প্রতিজনের হাতে। যার অপব্যবহার বহুগুণে বেড়ে চলেছে। সিনেমা হলগুলোতে আগের মতো আর ভিড় নেই, এন্ড্রোয়েড ফোনে ঘরে বসেই সিনেমার স্বাদ নিতে পারছে আগ্রহীরা।

বিজ্ঞাপন

হাতের মুঠোয় থাকা এন্ড্রোয়েড ফোনে অশ্লীল ছবি, গান, নাচ ও নগ্ন ভিডিও দেখে অনেকে যুবক উত্তেজিত হয়ে ওঠে। অন্ধকার এই জগতে ডুবে শত শত যুবক যৌন সুখ মেটাতে বেছে নেয় হস্তমৈথুনের মতো ধ্বংসাত্মক পথ। এর মাধ্যমে নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, নষ্ট করছে জীবন ও যৌবন।

হস্তমৈথুন ইসলামে হারাম হিসেবে গণ্য। অনেক যুবক-যুবতী এই নেশায় আসক্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, হস্তমৈথুন একটি নেশা। যে একবার এই বিষাক্ত নেশায় আসক্ত হবে, সে নেশার ঘোরে ঘুরপাক খাবে বারবার। এই নেশার প্রতিফলন যদিও সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় না, কিন্তু এর ভয়াবহতা খুবই মারাত্মক ক্ষতিকর। শারীরিক ক্ষতি করে হস্তমৈথুন। যৌবন ধরে রাখতে পারে না পরবর্তী সময়ে। দাম্পত্য জীবনে এসে বেশ হুমকির মুখে পড়ে যায়। হস্তমৈথুন নেশায় আসক্ত হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় সে হস্তমৈথুন করা ছাড়া থাকতেই পারে না। হয়তো ব্যভিচার নয়তো হস্তমৈথুন। দৈনিক জীবনে রুটিন হয়ে যায় হস্তমৈথুন। এর ফলে স্বাস্থ্য ভেঙ্গে যায়, নানাবিধ অসুস্থতা শরীরে বাসা বাঁধে।

বিজ্ঞাপন

যারা এই মরণনেশায় আসক্ত, তাদেরকে এই হারাম কাজ পরিহার করতে হবে, ফিরে আসতে হবে গোপন পাপ কাজ থেকে। ফিরে আসতে হবে রবের দিকে। নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন দু’টি কাজ করার কারণে অধিক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। এক. জবানের (মুখের) হেফাজতকারী। দুই. লজ্জাস্থান হেফাজতকারী।’