নবীর রওজার ভালোবাসার কান্না

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নবীর রওজার ভালোবাসার কান্না, ছবি: সংগৃহীত

নবীর রওজার ভালোবাসার কান্না, ছবি: সংগৃহীত

এক কালো যুবক রওজায়ে আতহারের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদছেন- এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অদ্ভুত মায়াজড়ানো কান্নারত যুবকের ছবিটি নবী প্রেমিকদের মনে দোলা দিয়েছে।

আহ, কী সেই চাহনি! কী সেই আবেগ! হৃদয়ের সবটুকু আবেগ চোখের পানি হয়ে গলে গলে ঝরে পড়ছে!

বিজ্ঞাপন

আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ সৌদি আরবে অনেক সম্মান পেয়ে থাকেন। তাদেরকে বলা হয়, হজরত বেলাল (রা.)-এর উত্তরসূরি। মক্কা-মদিনার অলিগলিতে প্রায়ই দেখা যায়, নিরবে-নিভৃতে ওই অঞ্চলের মানুষ চোখের পানি ফেলছেন, কিংবা আনমনে বসে আছেন। এই বসে থাকা কোনো সাহায্যের আশায় নয়, এভাবে চোখের পানি ঝরানোর দৃশ্য কোনো দুঃখবোধ থেকে নয়। এটা ভালোবাসার কান্না, হৃদয়ে জমানো আকুতি প্রকাশের ভাষা।

ছবিতে দেখা এমন কান্নারত যুবকের দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হজরত বেলাল (রাযি.)-এর সম্পর্কের গভীরতা। যুবকটি মসজিদে নববির একটি প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। যেখান থেকে রওজার সবুজ গম্বুজ দৃশ্যমান। রওজার কাছে ভিড়, পুলিশের তাড়া আর মানুষের কোলাহল তাকে কান্নার তৃপ্তি দিতে পারেনি, তাই সে নিরব স্থান বেছে নিয়েছে। কোনো এক ফাঁকে হয়তো কোনো সৌখিন ফটোগ্রাফার তার ছবিটি তুলে নিয়েছেন। ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে হারামাইন পেইজে।

বিজ্ঞাপন
 হৃদয়ের সবটুকু আবেগ চোখের পানি হয়ে গলে গলে ঝরে পড়ছে!

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নবীর রওজা শিয়রে দাঁড়িয়ে প্রিয় মানুষটির কথা স্মরণ করে অঝোর ধারায় কাঁদছে এক প্রেমিক। আহ্! কী সুখ সে কান্নায়, প্রেমিক ছাড়া কে বুঝবে? রওজায়ে আতহার নবীপ্রেমিকদের ভালোবাসা। বিশ্ব মুসলিমের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু রাহমাতুল্লিল আলামিন। তার পদচিহ্নের বরকতে মদিনা শহর হয়ে উঠেছে সোনার মদিনা। পবিত্র এই মসজিদ ছিল মদিনায় নবী কারিম (সা.)-এর সব কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। এই মসজিদের নির্মাণকাজে তিনি সশরীরে অংশগ্রহণ করেন এবং মসজিদে নববির প্রাঙ্গণেই তিনি এখনও শুয়ে আছেন। তাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিয়ে মহানবী (সা.)-এর প্রিয় শহর মদিনা দেখতে বিশ্বের আনাচ-কানাচ থেকে ছুটে আসেন নবী প্রেমিকরা।

আরও পড়ুন: কাজিমিয়া নন, এবার সবচেয়ে বয়স্ক হজযাত্রী সারহোদা সাতিত

আফ্রিকা অঞ্চলের যুবকটি এবার হজে এসে রওজা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে রয়েছেন রওজা পানে। যেহেতু হজের জন্য মক্কায় চলে যেতে হবে, তাই রাসুলের রওজা ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে তিনি কাঁদছেন, মদিনার বিচ্ছেদের যন্ত্রণা চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।