যে মসজিদে দুই রাকাত নামাজে উমরার সওয়াব মেলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে কুবা, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে কুবা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুনিয়ায় ফজিলতপূর্ণ চারটি মসজিদের একটি মসজিদে কুবা। মসজিদটি মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিমকোণে অবস্থিত। এর দূরত্ব মসজিদে নববি থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মতো।

‘কুবা’ একটি কূপের নাম। এই কূপকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে উঠেছে তাকে কুবা মহল্লা বলা হয়। এই যোগসূত্রে মসজিদটির নামকরণ হয়- মসজিদে কুবা।

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফে হিজরতের প্রথম দিন কুবায় অবস্থানকালে এর ভিত্তি স্থাপন করেন। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) এ মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।

ইতিহাসবিদ মুহাম্মদ বিন ইসহাক (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) কুবায় সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবস্থান করেন। এ সময়ের মধ্যে মসজিদে কুবার ভিত্তি স্থাপন করেন এবং এতে নামাজ আদায় করেন। নবুওয়ত প্রাপ্তির পর এটাই প্রথম মসজিদ, যার ভিত্তি তাকওয়ার ওপর স্থাপিত হয়। অতঃপর জুমার দিন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেন...।

ইবনে আবি খাইসামা উল্লেখ করেন, ‘রাসুল (সা.) যখন এর ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন কেবলার দিকের প্রথম পাথরটি স্বহস্তে স্থাপন করেন। অতঃপর হজরত আবু বকর (রা.) একটি পাথর স্থাপন করেন। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবু বকর (রা.)-এর পাথরের পাশের পাথরটি স্থাপন করেন হজরত উমর (রা.)। এরপর সবাই যৌথভাবে নির্মাণকাজ শুরু করেন।’

নবুওয়ত পাওয়ার পর এটাই প্রথম মসজিদ, এমনকি ইসলামের এবং উম্মতে মোহাম্মদির প্রথম মসজিদ। মসজিদে হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদে আকসার পরই মসজিদে কুবার সম্মান ও ফজিলত। এ মসজিদের আলোচনা কোরআনে করা হয়েছে এবং মসজিদ সংলগ্ন অধিবাসীদের একটি বিশেষ গুণের প্রশংসা করা হয়েছে।

কুবা মসজিদের জায়গাটি ছিলো- হজরত কুলসুম ইবনুল হিদম (রা.)-এর খেজুর শুকানোর পতিত জমি। তিনি ছিলেন আমর ইবনে আওফের গোত্রপতি। এখানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ১৪ দিন (কেউ বলেন ১০ দিন) অবস্থান করেন ও তার আতিথ্য গ্রহণ করেন।

পবিত্র কোরআনের সূরা তওবার ১০৮ নম্বর আয়াতে এই মসজিদের কথা উল্লেখ আছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে মসজিদ প্রথম দিন থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর (মসজিদে কুবা), তাই বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে নামাজ কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’

মসজিদে কুবা এ পর্যন্ত কয়েক দফা সংস্কার ও পুনর্নিমাণ করা হয়। নবীর আমলের পর ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) তার খেলাফতকালে মসজিদে কুবার সংস্কার ও পুনর্নিমাণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকবার এই মসজিদের পুনর্নিমাণ ও সংস্কার করা হয়। সবশেষ ১৯৮৬ সালে মসজিদটি পুনর্নিমাণ করা হয়। এই মসজিদ নির্মাণে পুরো মসজিদে এক ধরনের সাদাপাথর ব্যবহার করা হয়, যা অন্যকোনো মসজিদে সাধারণত দেখা যায় না।

চারটি উঁচু মিনার, ছাদে ১টি বড় গম্বুজ এবং ৫টি অপেক্ষাকৃত ছোটো গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া ছাদের অন্য অংশে রয়েছে গম্বুজের মতো ছোটো ছোটো অনেক অবয়ব। মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসেন। মসজিদে নারী ও পুরুষদের নামাজের জায়গা ও প্রবেশ পথ আলাদা। অজুর জায়গাও ভিন্ন। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ভেতরের কারুকাজও বেশ মনোমুগ্ধকর। মূল মসজিদ ভবনের মাঝে একটি খালি জায়গা আছে, সেখানেও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। দামি কারপেট বিছানো মেঝেতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন, রয়েছে জমজম পানির ব্যবস্থা।

মসজিদের বাইরে এ মসজিদ সম্পর্কে বর্ণিত পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণীগুলো সুন্দরভাবে লিখে রাখা হয়েছে।

হজ ও উমরা পালনকারীরা মসজিদে কুবায় যেয়ে ইবাদত-বন্দেগি করেন, ছবি: সংগৃহীত

মদিনায় হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ১০ বছর কাটিয়েছেন। এ সময়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) পায়ে হেঁটে অথবা উট কিংবা ঘোড়ায় আরোহন করে কুবা মসজিদে যেতেন। এরপর তিনি সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।

হাদিসে আছে, প্রতি শনিবারে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কুবায় আগমন করতেন। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করার সওয়াব একটি উমরার সমপরিমাণ। -তিরমিজি

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে এক উমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। -ইবনে মাজাহ

হাদিসের এমন বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে নবীর যুগ থেকেই প্রতি শনিবার মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের জন্য গমন করা মদিনাবাসীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এখনও তাদের এই আমল অব্যাহত রয়েছে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণে কুবা মসজিদে আসা ও দুই রাকাত নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব। হজ পালন শেষে মদিনায় অবস্থানরত হাজিরাও মসজিদে কুবায় যেয়ে নামাজ আদায় করেন।

নতুন গিলাফে ঢেকেছে প্রাণের কাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র কাবায় জড়ানো নতুন গিলাফের নকশা, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবায় জড়ানো নতুন গিলাফের নকশা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে পবিত্র কাবাঘরে নতুন গিলাফ পরানো হয়েছে। দক্ষ প্রযুক্তিবিদ এবং কারিগরদের একটি বিশেষ দল কাবাঘরে নতুন গিলাফ প্রতিস্থাপন করেছেন। এবারই প্রথমবারের মতো গিলাফ পরিবর্তনের কাজে কয়েকজন নারী কর্মী অংশ নিয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) এশার নামাজের পর গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো কার্যক্রমটি তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ।

বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগরের সমন্বয়ে গঠিত বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের একটি দল গিলাফ পরিবর্তনের কাজ করেছেন। পুরোনো গিলাফ সরিয়ে নতুন গিলাফ কাবার ওপর পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে।

গিলাফ পরিবর্তনের জন্য কারখানা থেকে গিলাফটি বিশেষ ট্রাকে করে কাবা প্রাঙ্গণে আনা হয়। পরে পুরোনো গিলাফ থেকে সোনার সূচিকর্ম করা টুকরাগুলো সরিয়ে নতুন গিলাফ লাগানোর কাজ শুরু হয়।

প্রথমবারের মতো গিলাফ পরিবর্তনের কাজে কয়েকজন নারী কর্মী অংশ নিয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

গিলাফে স্বর্ণের এমব্রয়ডারি করা ৫৩টি টুকরা রয়েছে। যার মধ্যে বেল্টের জন্য ১৬টি, বেল্টের নীচে সাতটি, চারটি কোণার টুকরো, ১৭টি ঝুলন্ত, পাঁচটি দরজার পর্দার জন্য, রুকনে ইয়েমেনির জন্য একটি এবং দুটি টুকরা হাজরে আসওয়াদ ও মিজাবে রহমতের জন্য। হাতে কাজ করা স্বর্ণের সুতার সূচিকর্ম সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১২০ দিন সময় লাগে। এ কাজে যুক্ত রয়েছেন দুই শতাধিক দক্ষ কর্মী।

পবিত্র কাবার গিলাফ তৈরিতে মোট ১২০ কেজি স্বর্ণ, ১০০ কেজি রুপা এবং ১ হাজার কেজি প্রাকৃতিক সিল্ক ব্যবহার করা হয়। গিলাফটির ওজন ১ হাজার ৩৫০ কেজি, উচ্চতা ১৪ মিটার মিটার। গিলাফের চারটি পৃথক দিক এবং দরজার জন্য আলাদা একটি পর্দা রয়েছে। যেখানে বাইরে থেকে কালো কাপড়ের ওপর স্বর্ণের সুতা দিয়ে বোনা কোরআনের আয়াত ও অন্যান্য নকশা শোভা পায়। গিলাফের সব কাজ শেষ করতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে।

হজযাত্রীদের ভিড়ে গিলাফকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য গত ২২ মে পবিত্র হজের আগে গিলাফের নীচের অংশ ৩ মিটার ওপরে উঠিয়ে রাখা হয়।

আগে হজের দিন (৯ জিলহজ) কাবার গিলাফ বদলানো হতো। কয়েক বছর ধরে এ রীতিতে পরিবর্তন এসেছে। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিজরি বছরের প্রথম দিন মহররমের কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।

দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস জানিয়েছেন, রাজকীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ জুন সৌদি বাদশাহর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাবাঘরের সদ্যঃপ্রয়াত প্রধান রক্ষক শায়খ আবদুল মালিক আল-শায়বির কাছে নতুন গিলাফ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে প্রধান রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আবদুল ওয়াহাব বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি।

;

এক সপ্তাহে নবীর রওজায় ৫১ লাখ জিয়ারতকারী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা

রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের আগে-পরে হজযাত্রীদের হৃদয়ের আয়নায় উঁকি দিতে থাকে নবীজির শহরের নাম- মদিনা মোনাওয়ারা। এ নগরীর পরতে পরতে নবীজির স্মৃতি বিদ্যমান। মসজিদে কুবা, উহুদ পাহাড়, খন্দক যুদ্ধে পরিখা খননের ইতিহাস, রহমতের স্তম্ভ, রিয়াজুল জান্নাত ইত্যাদি জায়গায় স্বপ্নে নয়, বাস্তবে সশরীরে ডুব দেয় নবীপ্রেমিক মুমিনরা। প্রেম, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধে ভরে যায় মন। এবারও হজের আগে যারা মদিনা এসেছেন, তারা মসজিদে নববিতে গিয়ে নামাজ পড়ছেন। জেয়ারত করেছেন। মদিনার ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে হৃদয়কে শীতল করেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় হজের পর গত এক সপ্তাহে ৫১ লাখের বেশি জিয়ারতকারী মসজিদে নববিতে আগমন করেছেন ও নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন। মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যম এসপিএ।

মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ছেন মসুল্লিরা

খবরে বলা হয়েছে, মসজিদে নববি বিষয়ক জেনারেল অথোরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এক সপ্তাহে ৫১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ জন জিয়ারতকারী মসজিদে নববিতে আগমন করেছেন।

এর মধ্যে অনেকেই নবী কারিম (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেছেন এবং ২৫ লাখ ৯ হাজার ৪৫৯ জন নারী ও পুরুষ রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক সপ্তাহে ১৫৭০ টন জমজমের পানি বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রোজাদারদের মাঝে ১৪ হাজার ৮২২ প্যাকেট ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

মসজিদে নববীর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদ এবং আঙ্গিনা পরিষ্কার করার জন্য ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৬ লিটার ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

;

হালাল ফুড মার্কেট শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হালাল ফুড মার্কেট শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

হালাল ফুড মার্কেট শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হালাল প্রোডাক্ট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষ দশটি দেশের ৮টিই অমুসলিম দেশ। অপরদিকে আমদানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের ৮ম বাংলাদেশ। আর ভোক্তাদের চাহিদা হিসেবে বাংলাদেশে হালাল কনজ্যুমারের চাহিদা বেশ তুঙ্গে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, হালাল কনজ্যুমারের দেশ হিসাবে শীর্ষ ৩ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে হালাল একটি বড় মার্কেট। সুতরাং আমাদের এমনভাবে বিজনেস কৌশল তৈরি করতে হবে, যেন আমরা অদূর ভবিষ্যতে হালাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিণত হতে পারি। এজন্য দরকার হালাল সার্টিফিকেশন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আইএফএ কনসালটেন্সির উদ্যোগে ‘হালাল ফুড মার্কেট: বৈশ্বিক বাজার এবং শরিয়াহ পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালায় এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং বিএসটিআই হালাল ইন্সপেকশন টিমের সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম।

দেশের আলোচিত শরিয়াহ কনসালটেন্সি ফার্ম আইএফএ কনসালটেন্সির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় ছাত্র, ব্যবসায়ী ও আলেমসহ নানা পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় হালাল ফুড, হালাল ট্যুরিজম, হালাল লাইফস্টাইলসহ হালাল অর্থনীতির নানা সেক্টর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে হালাল ফুডের সার্টিফিকেশন মার্কেটের ব্যাপ্তি এবং প্রসার নিয়ে বিশদ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে হালাল ফুডের মার্কেট ভলিয়ম হলো- ২৪৬৭ বিলিয়ন ডলারের অধিক। এর গ্রোথ রেট ৯%-এর অধিক।

কর্মশালায় অন্যতম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, সিএসএএ।

তিনি বলেন, আমরা হোটেল-রেস্টুরেন্টে যেসব গোশত খাই, সেগুলো হালাল সার্টিফিকেশনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে রপ্তানিকৃত বহু খাদ্য এমন আছে, যাতে হারাম উপাদান নিহিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর অন্যতম হলো- চকোলেট ও আইসক্রিম।

মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হালাল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এটাকে কার্যকর করার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। বাংলাদেশে হালাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে এবং মানুষকে সচেতন করতে আইএফএ কনসালটেন্সি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

;

পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আকাশে আজ শনিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী সোমবার (৮ জুলাই) থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে। সে অনুযায়ী ১৭ জুলাই (বুধবার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরি শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় আগামীকাল রোববার পবিত্র জিলহজ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ৮ জুলাই সোমবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১০ মুহাররম ১৭ জুলাই (বুধবার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক মো. গোলাম কবীর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব গাজী তারিক সালমন, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহূল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের সহকারী খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতী আদনান মুহাম্মদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;