কাবার পুরোনো গিলাফ কী করা হয়
পবিত্র কাবা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে যেমন প্রিয়, তেমনি এ ঘরের প্রতিটি বস্তুও তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীর পবিত্রতম এ ঘরের গিলাফ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কোথায় বানানো হয়, কিভাবে বানানো হয়, কী দিয়ে বানানো হয়, গিলাফে কী লেখা থাকে ইত্যাদি নানা বিষয় সবাই জানতে চায় এবং এ নিয়ে প্রচুর লেখা, প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আজ তুলে ধরা হলো পবিত্র কাবার পুরোনো গিলাফ কী করা হয়, সে বিষয়ে-
আলজাজিরা জানায়, কাবাঘর থেকে গিলাফ খোলার পর তা সৌদি সরকারের একটি বিশেষ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ বড় গিলাফটি ছোট ছোট টুকরো করে তা উপঢৌকন হিসেবে দেওয়ার জন্য। এরপর ওই টুকরোগুলো বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সৌদি আরবে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে উপঢৌকন দেওয়া হয়।
বিশেষ করে কৃতি ব্যক্তিত্বদের কাবার গিলাফের টুকরো দিয়ে সম্মান জানানো হয়। তবে ইসলামি স্কলাররা বলেন, কাবার গিলাফের আলাদা কোনো মাহাত্ম্য নেই, এটা একটি স্মৃতিময় জিনিস। এর বাইরে আর কিছু নয়।
ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৬২ সাল পর্যন্ত কাবাঘরের গিলাফ মিসর থেকে আসত। মাঝে ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ব্যবহূত কাবার গিলাফ সৌদি আরবের মক্কায় তৈরি হয়। ১৯৩৯ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত মিসর ফের সেই দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে সৌদি আরবে তৈরি হওয়া এই গিলাফ মিসরের অনুকরণে তৈরি হচ্ছে।
পবিত্র কাবায় গিলাফ চড়ানোর বিষয়ে সকলে ঐক্যমত যে, হিজরতের ২২০ বছর আগে বাদশাহ তুব্বা আবি কারব আসাদ পবিত্র কাবায় প্রথম গিলাফ চড়ান।
মক্কা বিজয়ের পর নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং হজরত আবু বকর (রা.) কাবা শরিফে গিলাফ পরিয়ে দেন। এরপর থেকে মুসলিম খলিফা এবং শাসকেরা এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম কাবায় গিলাফ পরানোর সৌভাগ্য অর্জন করেন আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের জননী নুতাইলা।