শহীদ সাজ্জাদের পরিবারের পাশে সাভার জোন হেফাজত নেতৃবৃন্দ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শহীদ সাজ্জাদের বাবার সঙ্গে সাভার জোন হেফাজত নেতৃবৃন্দ, ছবি: সংগৃহীত

শহীদ সাজ্জাদের বাবার সঙ্গে সাভার জোন হেফাজত নেতৃবৃন্দ, ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার কলমা দক্ষিণ আউকপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শাহাদতবরণকারী সাজ্জাদ হোসেন সাঈদের পাশে দাঁড়িয়েছে বৃহত্তর সাভার জোনের হেফাজতে ইসলাম (সাভার, ধামরাই আশুলিয়া শাখা)।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে স্থানীয় হেফাজত নেতৃবৃন্দ শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সাঈদের শোকাতুর পরিবারের খোঁজ-খবর এবং সান্ত্বনা জানাতে তার বাড়িতে যান। এ সময় হেফাজত নেতৃবৃন্দ শহীদ সাজ্জাদের পিতাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দেওয়া একজন মহান শহীদের পিতা আপনি। হেফাজত নেতৃবৃন্দ তার পিতার হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়ে আগামীতেও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর সাভার জোন হেফাজত সভাপতি মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, সহ-সভাপতি মাওলানা নুর মোহাম্মদ, উপদেষ্টা ও জায়গীরের পীর মাওলানা দীন মোহাম্মদ, মাওলানা তৈয়ব আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ আজম, সাভার জোন হেফাজতের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা শাহেদ জহিরি ও মুফতি নাজমুল হাসান নুরি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়ন এবং আওয়ামী লীগের পতনের দিন দুপুরে সাভার পাকিজা মোড়ে পুলিশের গুলিতে শরীর ঝাঁঝড়া হয়ে যায় সাজ্জাদ হোসেন সাইদের। সেখান থেকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৬ আগস্ট দুপুরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ৭ আগস্ট সকালে তাকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সাজ্জাদ হোসেন সাইদ রাজধানীর গ্রীনরোডে অবস্থিত সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। মাত্র ছয় মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায়।

শহীদ সাজ্জাদ পরিবার নিয়ে সাভারের আশুলিয়া দক্ষিণ আউকপাড়া, কলমায় টিনশেডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনবোন, একভাই এবং মা-বাবার পরিবারে সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার বৃদ্ধ পিতা আলমগীর হোসেন একসময় আউকপাড়া মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন।