আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির মহাসচিবের সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার বৈঠক

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির মহাসচিব ড. কুতুব মোস্তফা সানুর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের বৈঠক, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির মহাসচিব ড. কুতুব মোস্তফা সানুর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের বৈঠক, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের খরচ কমাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরব সফর করছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মক্কা ও মদিনায় তিনি হজের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ সৌদি সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সফরের অংশ হিসেবে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) পরিচালিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির মহাসচিব ড. কুতুব মোস্তফা সানুর আমন্ত্রণে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত কার্যালয় পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনকালে ধর্ম উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমির মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় ধর্মবিষয়ক সচিব আ. হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম ও হজ কনসাল মো. আসলাম উদ্দিন তার সঙ্গে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে সংস্থার মহাসচিব জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের মুফতিগণ ২৫৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের সর্বসম্মত অভিমত জ্ঞাপন করেছেন।

তিনি আরো জানান, আমরা হানাফি, মালেকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি চিন্তাধারার স্কলারদের যথাযথ সম্মান করে থাকি। তিনি বাংলাদেশে ইসলামি ফিকহের বিকাশে ইসলামিক স্কলারদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমি ওআইসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, এটা একটি অভিন্ন ইসলামি আইনি সংস্থা। বর্তমানে এর প্রধান নির্বাহী প্রধান হলেন মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ডক্টর সালেহ বিন আবদুল্লাহ আল হুমাইদ। এর মহাসচিব হলেন প্রফেসর ড. কুতুব মোস্তফা সানু। তিনি গিনি প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন ধর্ম মন্ত্রী ও একজন স্বীকৃত ইসলামি চিন্তাবিদ।

এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো, শরিয়া ও ইসলামিক নৈতিকতা অনুসারে মানবতার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর সমাধান করা। ইসলামি ফিকহ একাডেমি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ফিকহ পরিষদ হিসেবে গণ্য।