‘দয়া করে আমাদের এখানে ইফতার করে যান’



কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক, অতিথি লেখক, ইসলাম
মিসরের রাস্তায় ইফতারের দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাস্তায় ইফতারের দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরামিড, নীল নদ আর তুর পর্বতের দেশ মিসর। দেশটিতে ফানুস দিয়ে পবিত্র রমজান মাস বরণ করা হয়। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাড়িঘর- সবখানে জ্বলে রঙিন কাঁচের লণ্ঠন, ওরা বলে ফানুস। রমজানের সময় ছেলেপুলেরা মোমবাতি দিয়ে ফানুস বা লণ্ঠন জ্বালায় এবং তারা রাস্তায় রাস্তায় প্রদক্ষিণ করে। আনন্দ করে।এসময় তারা আল্লাহর নামে গানও করে।

যেমন ‘যদি রমজান না আসতো, আমরা আসতাম না।’ ‘হাঁটতে হাঁটতে আমাদের পা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে, হে দয়ালু আল্লাহ...’। অন্য গানে আছে- ‘ও সুলতানের কন্যা ইয়াহা! তোমার সুন্দর জালওয়া, মাথার ঝলকানো টিকলি মুসাফিরকে আর আকৃষ্ট করবে না। রমজান এসেছে দ্বারে এসো আল্লাহর ইবাদতে শামিল হই!’

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মিসরের মানুষ রমজানে প্রথম ফানুস ব্যবহার শুরু করে ৩৫৮ হিজরির (২৪ জুলাই ৯৬৮) ৫ রমজান তারিখে। এই তারিখে ফাতেমি খলিফা আল মুয়িজ রাতে কায়রো প্রবেশ করে। স্থানীয়রা টর্চ, বাতি, মোমবাতি- এ সব নিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। মোমবাতিগুলো যাতে বাতাসের বেগে নিভে না যায় সেজন্য তারা মোমবাতিকে কাঠের ফ্রেমে রেখে কয়েকটি দিক বন্ধ করে দেয় পাম পাতা ও চামড়ার টুকরা দিয়ে। সেই থেকে শুরু। এখন তা রমজান ঐতিহ্য হিসেবে পরিগণিত।

মিসরের রমজান চিত্র, ছবি: সংগৃহীত
Caption

মিসরীয় শিশুদের কাছে রমজান মাসটি সবচেয়ে বেশি আনন্দময়। তারা এ সময় আমাদের দেশের বাচ্চাদের মতো পিতামাতার কাছে রোজা রাখার জন্য দাবী জানায়। মিডিয়ার তথ্য মতে মিসরের মোট জনসংখ্যার ৫-১০% খ্রিস্টান (৫০ লাখের মতো)। তারা রমজান মাসের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে প্রকাশ্যে ধুমপান ও খাদ্যগ্রহণ করেন না। অনেক উদারপন্থি খ্রিস্টান জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে এ মাসে উপবাস করেন। মিসরের নারীরা বাংলাদেশের মতো হিজাব ও ননহিজাবে বিভক্ত হলেও রমজানে তারা পর্দার ব্যাপারে বেশ যত্নবান থাকেন।


আমরা যেমন ঈদের আগে-পরে পরিচিত কাউকে দেখলে বা কারও সঙ্গে কথা হলেই ‘ঈদ মোবারক’ বলি, ওরা তেমনই পুরো রোজার মাস চালিয়ে যায় বিভিন্ন ধরণের সম্ভাষণ। তার মধ্যে রয়েছে-‘রামাদ্বান কারীম’। এর উত্তরে বলা হয়, ‘আল্লাহু আকরাম’। আরও বলা হয়- ‘কুল্লু সানা ওয়া আনতুম তাইয়্যিব’ অর্থাৎ সারা বছর তুমি ভালো থেকো।


মিসরের রাজধানী কায়রো। জোহরের নামাজের পর থেকে ‘বাজারের শহর’নামে খ্যাত কায়রো শহরের অলিগলিতে ঢাকার চকবাজারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে হরেক রকম ইফতারের আয়োজন। মিসরীয় মুসলিমরা সাধারণত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুসরণ করে পানি ও খেজুর দিয়ে রোজা ভেঙে থাকে।

মিসরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী আশরাফ মাহদি বলেন, তামার হিন্দের শরবত ছাড়া মিসরিদের ইফতার হয় না বললেই চলে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এই শরবত বিক্রির জন্য রমজান উপলক্ষে অস্থায়ী দোকানও বসতে দেখা যায়। তামার হিন্দ তেঁতুলকে বলা হলেও এই শরবতে তেঁতুলের স্বাদ না থাকায় এটাকে তেঁতুলের শরবত বলতে কষ্ট হয়।

মিসরিদের অভিজাত খাবারের মধ্যে একটি হচ্ছে মাহশি। মূলতঃ উসমানি খেলাফতকালে তুর্কিরাই মিসরে এ শাহি খাবারের প্রচলন ঘটিয়েছিল। রেসিপিটা হচ্ছে, প্রথমে বিশেষ মসলার মাধ্যমে ভাত ও সেদ্ধ গোশতের মিশেলে ভেতরের উপকরণ তৈরি করা হবে। এরপর সেটার ওপর কোনো সবজি জাতীয় খাদ্য অথবা আঙ্গুরের পাতার আবরণ দেওয়া হবে। কিছু কিছু দস্তরখান থাকে বাঁধাকপিতে মোড়ানো, বেগুনে মোড়ানো ও ক্যাপ্সিক্যামে মোড়ানো মাহশি। শুধু এই এক মাহশির জন্যেই প্রায় বিশের অধিক রেসিপি এপ্লাই করে থাকেন মিসরি ললনারা। ঘরোয়া পদ্ধতি এই খাদ্য তৈরি করতে বেশ মেহনতেরও প্রয়োজন। ইফতারের আইটেমে স্যুপ থাকাটা মিসরিদের জন্য বাধ্যতামূলক। তম্মধ্যে অন্যতম হলো- লিসানে উসফুর, মুলুখিয়্যা ও গরুর গোশতের স্যুপ।

লিসানে উসফুর হচ্ছে এক ধরণের শস্য। যার ধরণ অনেকটা চড়ুই পাখির জিভের মত। সে কারণেই হয়তো এই নাম রাখা হয়েছে। ইফতারির আরেকটি আইটেম হচ্ছে, শারিয়্যা দিয়ে রুজ। যা অনেকটা পোলাওয়ের বিকল্প বলা যায়। এ ছাড়া আছে, টমেটো দিয়ে মিসরিয় স্টাইলে বানানো আলুর দম।
মিসরের রমজান চিত্র, ছবি: সংগৃহীত


রোজাদারদের ইফতার করানোর লক্ষ্যে কায়রোর রাস্তায় বিকেল থেকেই টেবিল সাজানোর কাজ শুরু হয়। কোনো কোনো ব্লকে অসংখ্য টেবিল বসে। শত শত চেয়ার সাজানো হয়। আর এত টেবিলে কেবল গরিবরা বসেন তা নয়। নানা কাজে রাস্তায় থাকা লোকজনও আনায়াসে শামিল হয়ে যান এতে। এ ছাড়া মিসরিরা ইফতারের সময় রাস্তায় কোনো গাড়ি চলাচল করলে তা আটকে দিয়ে গাড়ির আরোহীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন।


মিসরের আকাশে ভাসে কোরআনের সুর। চারদিকের কোরআন তেলাওয়াত শুনে আপনার মনে হবে, একজন আরেকজনের চেয়ে সুন্দর করে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। হয়তো বা সে জন্যই বলা হয়- ‘কোরআন নাজিল হয়েছে সৌদিতে, পড়া হয় মিসরে এবং লেখা হয় তুরস্কে।’ এ জন্যই আপনি সর্বত্র বেশি শুনতে পাবেন মিসরের বিখ্যাত কারিদের তেলাওয়াত। যেমন- শায়খ আবদুল বাসেত আবদুস সামাদ, শায়খ মুহাম্মদ সাদিক মুনশাভি, শায়খ মাহমুদ খলিল হাসরি, শায়খ মুস্তফা ইসমাইল প্রমুখ।

আমাদের দেশে বিশ রাকাত তারাবি আদায় করতে যে সময় লাগে, মিসরে ৮ রাকাত নামাজ আদায় করতে প্রায় তার তিন গুণ বেশি সময় লাগে। দেশটিতে সুরা তারাবি নাই বললেই চলে। মিসরে সাধারণত ৮ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। কিছু কিছু মসজিদে ২০ রাকাতও আদায় করা হয়। আর এই পার্থক্যের কারণ খুবই স্পষ্ট। কারণ আমাদের দেশে ইমাম আবু হানিফার মাজহাব এবং মিসরে ইমাম শাফেয়ির মাজহাব অনুসরণ করা হয়।

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;