শিশু-কিশোরদের রোজার অভ্যাস গঠনে করণীয়



যাইনাব আল গাযী, অতিথি লেখক, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
শিশু-কিশোরদের রোজার অভ্যাস গঠনে বাবা-মাকে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের রোজার অভ্যাস গঠনে বাবা-মাকে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব বাবা-মা ছোট ছোট সন্তান কিংবা শিশু-কিশোরদের ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের ইবাদতে অভ্যস্ত করেন, তারাই আসলে বুদ্ধিমান। এমন অনেক পরিবারের দেখা মেলে, যেখানে বড়-ছোট সবাই মিলেই রোজা রাখছেন কিংবা নামাজ আদায় করছেন। মা যখন নামাজে দাঁড়াচ্ছেন তখন ছোট ছোট শিশুটিও জায়নামাজ বিছিয়ে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সবাই সেহেরি খাচ্ছে, সঙ্গে শিশুটিও অংশ নিচ্ছে এবং সারাদিন ক্ষুধা-পিপাসা নিয়েই রোজাটা রাখতে চাচ্ছে। এসব দৃশ্য সত্যিই খুব চমৎকার।

শিশু-কিশোরদের জন্য ইবাদত সাধ্যের বাইরের কিছুই নয়। এর জন্য চাই অন্তরের ভালোবাসা। এই ভালোবাসাটা শিশু-কিশোরদের মনে ঢালতে হবে একেবারে ছোটবেলা থেকেই। আর এ জন্য সবচেয়ে উত্তম ও জরুরি ভূমিকা পালন করবেন মা।

শিশুদের পাঁচ বছরের পর থেকেই মা আগ্রহী করে তুলবেন রোজা রেখে সওয়াবের ভাগীদার হতে। শিশুর কষ্ট হলেও বলবেন, সোনা আমার! আরেকটু চেষ্টা করো; আর অল্প সময়ই তো বাকী। প্রয়োজনের তাকে শুয়ে-বসে থাকতে বলবেন। তাও চেষ্টা করুক, ক’দিন পর পর দু’একটা করে রোজা রাখাতে। শিশুটি যেদিন রোজা রাখবে সেদিন সবার সামনে তাকে বার বার বাহবা দিন, উৎসাহ দিন। তার প্রশংসা করুন। এতে তার মনে সাহস বাড়বে ও সে আনন্দিত হবে। সে উপলব্ধি করবে, সে অনেক মহান একটা কাজ করেছে। ইফতারেও বাচার পছন্দের আইটেম রাখবেন, যাতে সে নিজেকে স্পেশাল ভাবতে পারে। সে যেন বুঝে সে রোজা রাখার মাধ্যমে পরিবারে সবার চোখেই খুব স্পেশাল।

হাদিসে সাত বছর বয়স থেকে নামাজের জন্য বলার কথা আসলেও বাচ্চাদেরকে বুঝ হওয়ার পর থেকেই মা নামাজে সময় নিজের পাশে নিয়ে দাঁড়াবেন। বাবা মসজিদে নিয়ে যাবেন, এতে করে শিশুরা নামাজের সঙ্গে পরিচিত হয়। রমজানেও মা শিশুদের নিয়ে তারাবির নামাজ আদায় করবেন ও তাদেরকে তারাবির নামাজের ব্যাপারে বলবেন। মা যখন কোরআন তেলাওয়াত করবেন তখন শিশুদেরও কায়দা-আমপারা দিয়ে বসিয়ে রাখবেন। ইফতারের সময় শিশুরা যেন মায়ের কাজে সাহায্য করেন, তাই তাদের ছোট ছোট কিছু কাজ ভাগ করে দেবেন। কেউ দস্তরখানায় গ্লাস দেবে, কেউ পানি বা শরবতের জগ, কেউ রান্না ঘর থেকে প্লেট এনে রাখবে। কিংবা প্রতিবেশিদের কাছে ইফতার নিয়ে যাবে। এলাকার ফকির মিসকিনদের ইফতার দিয়ে আসবে ইত্যাদি।

অল্প করে হলেও শিশুদেরকে রমজানের সবকাজে অংশগ্রহণ করাবেন। এই মাস যে ব্যতিক্রম একটি মাস, অনেক রহমত-বরকতের মাস; তা যেন বাচ্চারাও উপলব্ধি করতে পারে।

তবে আমরা কিছু ভিন্ন দৃশ্যও দেখে থাকি। যা বড়ই দুঃখজনক। কিছু কিছু মা-বাবা ছোট বাচ্চা তো দূরে থাক, রোজা ফরজ হয়েছে এমন ছেলেমেয়েদেরও রোজা রাখতে দেন না। তাদের গরমে কষ্ট হিবে এই ভেবে, কিংবা পরীক্ষা চলছে, না খেয়ে পড়াশুনা ভালো হবে না এই ভেবে। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। বলি, আপনি আপনার বাচ্চার দুনিয়ার গরমের কথা ভাবছেন অথচ জাহান্নামের আগুনের কথা ভাবছেন না। দুনিয়ার পরীক্ষার কথা ভাবছেন অথচ আখেরাতের পরীক্ষার কথা ভাবছেন না। ছেলেমেয়েদের এই বুঝ দিচ্ছেন যে, আমার দুনিয়া আগে, এরপর ইবাদত। আগে আমার পড়াশুনা, আগে আমার ক্যারিয়ার, এরপর আমার ইবাদত। এতে করে শুধু অভিভাবকরা যে শুধু গোনাহ কামাচ্ছেন তাই না। বরং শিশুদেরকেও গোনাহগার করছেন, নানান ফজিলত থেকে বঞ্চিত করছেন এবং ইবাদতের কাজায় ডুবিয়ে দিচ্ছেন। এক সময় এই বাচ্চাই কষ্ট পাবে এই ভেবে যে, মা-বাবা রোজা রাখতে বলেন নাই কিংবা তাগাদা দেন নাই। এখন এতো এতো কাজা আদায় করতে হচ্ছে কষ্ট করে। আর সেই রমজানের রহমত-বরকত আর ফজিলত তো পাচ্ছে না তারা।

দুনিয়াতো অল্প ক’দিনের। দুনিয়ার জীবন শেষে আমাদেরকে শুধুমাত্র ইবাদতটা নিয়েই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে। সেই ইবাদতেও যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে পরকালে পার পাবো কীভাবে? পরকালে যদি আমরা এমন ইবাদত নিয়ে যদি যাই যা সময়মতো করা হয়নি, অথবা তা অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে করা হয়নি, তা খুশু-খুজুর সঙ্গে করা হয়নি- তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?
আপনি আপনার সন্তানের দিকে তাকিয়ে ভাবুন, তাদের জন্য কোনটা বেশি জরুরি? দুনিয়া না আখেরাত? কোনটা সাজাতে আপনি তাকে বেশি সাহায্য করবেন?

শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সেহেরি, ইফতার, তারাবি, তাহাজ্জুদ, তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া, সদকা, ফিতরা সব আদায় করবেন এবং প্রতিটা জিনিস নিয়েই তার সাথে আলোচনা করবেন। তাকে জানাবেন, তাকে শেখাবেন। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে কিংবা এটা ভাববেন না, সে বড় হলেই জানবে।

বরং আপনিই তার প্রথম শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা। আপনি তাকে যতো ইবাদত শিখাতে পারবেন, তার বেশি সদকায়ে জারিয়া হবে। আপনারই সন্তান। আপনাকেই তাকে শিখাতে ও অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;