ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দুর্নীতি

বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই সাড়ে ৩ শ’লোক নিয়োগ



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ছবি: বার্তা.কম

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ছবি: বার্তা.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি, নেওয়া হয়নি নিয়োগ পরীক্ষাও। অথচ রাজস্ব খাতে সাড়ে ৩ শ’ লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উপ-পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আরও পড়ুন: বাড়িকে মাদরাসা দেখিয়ে ইফা ডিজির অর্থ আত্মসাৎ 

আরও অবাক তথ্য হচ্ছে পদসমূহের বেশিরভাগই তখনও সৃজন হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে কাল্পনিক পদ সৃষ্টি করে ওইসব পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে সরকারি খাত থেকে। অদ্ভুত এ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনে।

এ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, জেলা কোটা, মহিলা কোটা কিংবা অন্য কোনো কোটা অনুসরণ করা হয়নি। প্রথমে তাদের দৈনিকভিত্তিতে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। তার পর নিয়মিত করণের নামে সিলেকশন কমিটির সভা ডেকে কর্মপত্র তৈরি করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

অথচ ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাকরিবিধিতে এ ধরনের দৈনিকভিত্তিক নিয়োগ কিংবা নিয়মিত করণের নামে চাকরি প্রদানের কোনো বিধান নেই। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হচ্ছে সরকারের রাজস্বখাত থেকে। ইতোমধ্যে তাদের বেতনভাতা বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটিরও বেশি টাকা। ভবিষ্যতে পেনশনসহ তাদের পেছনে সরকারের ব্যয় হবে আরও শত শত কোটি টাকা।

বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের সিভিল অডিট অধিদপ্তরের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিরীক্ষা পরিদর্শন প্রতিবেদনের ৯৬টি আপত্তির মধ্যে ৫৬ নম্বর আপত্তিতে অডিট দল উল্লেখ করেছে, ১৩৫ জনের নিয়োগের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার ৪২৭ টাকা।

এ ছাড়াও উপ-পরিচালক পদমর্যাদায় মহিলা কো-অর্ডিনিটের, আইন উপদেষ্টা, সম্পাদক এবং সহকারী পরিচালক পদমর্যাদায় সহকারী সম্পাদকসহ প্রায় ডজন খানেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিংবা পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ সম্পন্ন। এতে সরকারের ১ কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৭ টাকা ক্ষতি হয়েছে। অডিট প্রতিবেনের ৫২ ও ৭০ নম্বর আপত্তিতে এসব বিস্তারিত বলা হয়েছে।

দৈনিক ভিত্তিতে নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২২৪ জনকে। এতে সরকারের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া এসব কর্মচারীকে নিয়মিতকরণের জন্য অত্যন্ত গোপন প্রক্রিয়া অব্যহত রেখেছে ইফা ডিজি।

এসব দু’নম্বরী নিয়োগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের ঘনিষ্ঠ একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ৪ জন বোর্ড সদস্য, সাবেক ২ পরিচালক, প্রশাসনে কর্মরত ১ জন পরিচালক,প্রশাসন বিভাগের সাবেক একজন কর্মকর্তা ও হিসাব বিভাগের ১ জন কর্মকর্তাসহ মহাপরিচালকের কয়েকজন নিকটাত্মীয় নাম উঠে এসেছে অডিট রিপোর্টে।

অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কেউ কেউ নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যে নিজেও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন বলে ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু ডিজির ভয়ে তখন কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এ নিরীক্ষা চালানো হয়। এতে প্রাথমিকভাবে ১৩২টি আপত্তিতে প্রায় ৯ শ’ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রায় ৭৩ কোটি টাকা ফেরত দেন। এরপরও ৯৬টি খাতে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে অডিট টিম।

গত ২৪ নভেম্বর সিভিল অডিট অধিদপ্তর, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের প্রতিনিধিদের ত্রিপক্ষীয় এগ্রিড বৈঠক সম্পন্ন হয়। এতে ৯৬টি অনুচ্ছেদের আপত্তির কোনোটিই নিষ্পত্তি হয়নি। তাই খসড়া রিপোর্ট সামান্য পরিবর্তন-পরিমার্জন করে চূড়ান্ত করে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাবেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামীম মোহাম্মদ আফজাল নানা কারণে সমালোচিত। ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং দুর্নীতির কারণে সামীম মোহাম্মদ আফজালকে চলতি বছরের ১০ জুন ডিজি পদে নিয়োগের জন্য তার চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না এবং কেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ করেছিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করে। তখন অচলাবস্থা কাটাতে তিনি ৩ দিনের ছুটি নেন। এর প্রেক্ষিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্ণর ডিজির ক্ষমতা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিতর্কের মধ্যেই সামীম মোহাম্মদ আফজালের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে সামীম আফজালের নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে।

২০০৯ সালে থেকে টানা ১০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাবেক এই জেলা জজ।

ডিজির পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন সামীম আফজাল। সেখান থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া অজানা কারণে।

দুর্নীতি অনিয়মসহ নানা রকম অপকর্মের কারণে সমালোচিত ইফা ডিজি সামীম আফজালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। নতুন করে নিয়োগ পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

   

আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা সকলেই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত, এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান। এদেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)’র নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।

ফরিদুল হক খান বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।

তিনি সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান।

এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ জানান তিনি।

ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন।

;

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সি মালিকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ১ শাখা থেকে সৌদি সরকারের একটি চিঠির বরাতে জানানো হয়- আগামী ২৯ এপ্রিল হজ যাত্রীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আবশ্যিকভাবে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এজেন্সীর অবহেলার কারণে হজযাত্রীদের হজে গমন অনিশ্চিত হলে সে এজেন্সীর বিরুদ্ধে হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত ১০ ফ্রেব্রুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি সরকারের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের আবাসন, ক্যাটারিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল প্রকার অনলাইন চুক্তি (সার্ভিস কোম্পানি, পরিবহান, ইত্যাদি) সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এখনো অনেক এজেন্সির ৮০ শতাংশ কার্যক্রম বাকি।

এমন অবস্থায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এবং সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে হজ এজেন্সি মালিকেরা অনুরোধ করেন।

এছাড়াও কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেন তারা। সেগুলো হলো- দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল হাজির মিনার জোন নির্ধারণ করে ই হজ সিস্টেম আপডেট করতে হবে। ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা ও সকল এজেন্সির হজযাত্রী অনুপাতে টিকেট নিশ্চিত করতে হবে। মোয়াজ্জেমদের জন্য বারকোড ভিসার বিষয়টি নিশ্চিত করা। যাদের সৌদি একাউন্টে এখনো রিয়াল জমা হয়নি তাদের একাউন্টে দ্রুত রিয়াল জমার ব্যবস্থা করা।

তারা বলেন, বর্তমানে সৌদি একাউন্টে টাকা ঢুকতে দেড় মাস সময় লাগে। যদি কারো একাউন্টে ১ পয়সাও কম থাকে তাহলে তার হজে যাওয়া সম্ভব হবে না। এবং বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন চার্জ একবারে হিসাব করে পাঠানো অনেকটা অসম্ভব। এছাড়া যাদের এখনো মেননজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা হয়নি তাদের জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও ভিসা ইস্যু কার্যক্রম অন্যান্য বছরের মতো সর্বশেষ ফ্লাইটের এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত চালু রাখার দাবি জানান তারা। আরও বলেন, অতীতে দেখা গেছে অনেকে হজ করতে যাওয়ার ইচ্ছে করলেও সকল প্রস্তুতির পর মারা গেছেন। আবার কেউ মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে যেতে পারেন না। তাই সেই হজযাত্রীর পরিবর্তে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে জমাকৃত টাকা গচ্চা যেতো না। বর্তমানে যে অবস্থা আছে তাতে ভিসা ইস্যু এতো আগে বন্ধ হয়ে গেলে অহেতুক প্রচুর টাকা সৌদি আরবে চলে যাবে। এতে দেশের ক্ষতি হবে। যদি বিষয়টি সৌদি সরকারকে বুঝাতে আমরা সক্ষম হই তাহলে আমাদের বিশ্বাস সৌদি সরকার বাস্তবতা বুঝে অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

;

যে গ্রামে জাকাত-ফেতরা নেওয়ার কেউ নেই



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের মানুষের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

গ্রামের মানুষের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগে বদলে গেছে প্রত্যন্ত একটি গ্রামের চিত্র। গ্রামটির সকল পরিবার হয়েছে সচ্ছল। ওই গ্রামে এখন আর ফেতরা কিংবা জাকাত নেওয়ার মানুষ নেই। সবাই স্বাবলম্বী।

কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের চাঁদের হাসি গ্রাম। এই চাঁদের হাসি গ্রামের দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের ফলে বদলে গেছে গ্রামের দৃশ্যপট।

সংগঠনটি নিজ গ্রামের গন্ডি পেরিয়ে এখন পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষদের স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এমন প্রশংসনীয় কাজ করা সংগঠনটির নেই নিবন্ধন, নেই বাহারি অফিস। তারা প্রচারে নয়, কাজে বিশ্বাসী। যার প্রমাণ, ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমূলক নানা কাজ।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে চাঁদের হাসি গ্রামের প্রয়াত মাওলানা হেলান উদ্দিনের প্রচেষ্টায় দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে গ্রামে সকল পরিবারের ফেতরা ও জাকাত একসঙ্গে করে অসহায়-গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে আসছে। এভাবে দীর্ঘ ২১ বছরে এই কার্যক্রমের ফলে চাঁদের হাসি গ্রামে এখন আর ফেতরা ও জাকাত নেওয়া মতো মানুষ নেই। ইতোমধ্যে সংগঠনটি গ্রামের ৮০ জন অসহায় গরীব মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছে।

২ বছর আগে চাঁদের হাসি গ্রামের দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহায়তা ঘর পেয়েছেন ওহেদ আলী। তিনি জানান, ঘর পেয়ে মাথা গুজার ঠাঁই হয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই চলছে তার সংসার।

মাহমুদ বেগম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, তার পরিবার দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহায়তা ঘর ও সেলাই মেশিন পেয়েছেন। তার বাবা নেই মা ও ছোট বোনকে নিয়ে ঘরে বসবাস করছেন। সেলাই মেশিনের মাধ্যমে মানুষের জামা কাপড় সেলাই করে নিজেও স্বাবলম্বী হয়েছেন।

চাঁদের হাসি দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আলম জানান, ২০০৩ সালে আমাদের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এলাকার চলনশীল মানুষের ফেতরা ও জাকাত একসঙ্গে করে আমরা কাজ করে থাকি। এভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার পর থেকে ইসলামের বিধি মোতাবেক যে ৮টি খাত রয়েছে সে হিসাবে বর্তমানে আমাদের গ্রামে জাকাত-ফেতরা নেওয়ার মতো কোনো মানুষ নেই।

সংগঠনটি গ্রামের অসহায় ও গরীব মানুষকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সহায়তাও দিয়ে আসছে। গ্রামের বেকারত্ব ঘোচাতে অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে গরু, ছাগল, সেলাই মেশিন, অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি বিতরণ করেছে।

;

রাজধানীতে শীতল পানি বিতরণ করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের, ছবি : সংগৃহীত

দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট সংকটে দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।

বিভিন্ন জেলা, থানা, ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি বিতরণ করেছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া খাবার স্যালাইন ও পকেট রুমাল বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ ও ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমজীবী ও পথচারীদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্বের ডেমরা থানা শাখার উদ্যোগে বিশুদ্ধ শীতল পানি, স্যালাইন ও ওয়ালেট টিস্যু বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম, ডেমরা থানা শাখার সভাপতি শাহাদাত হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিইন বিন আমজাদ, কফিল উদ্দিনসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

এ সময় প্রধান অতিথি শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলাধার ভরাট ও অবাধে বৃক্ষ নিধনের ফলেই অসহনীয় তাপদাহে নগরে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সাময়িক স্বস্তির জন্য আমরা শীতল পানির বিতরণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য নগরকে সবুজায়ন ও বসবাসের উপযোগী করতে রাষ্ট্রকেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।

নগর সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম বলেন, যতদিন তীব্র তাপদাহ থাকবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পূর্বের উদ্যোগে নগরজুড়ে বিশুদ্ধ শীতল পানি বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

;