বাংলাসহ আরও ৯ ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচার হবে
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর সীমিত মানুষের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীরা ইতোমধ্যে মক্কায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনও মক্কা আসেননি, তারা ৮ জিলহজ সরাসরি মিনা পৌঁছবেন। মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
হজের অন্যতম ফরজ হলো- ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। এই আরাফাতের ময়দানেই হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা দেওয়া হয়। আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে দেওয়া আরবি ভাষায় দেওয়া খুতবায় থাকে মুসলিম বিশ্বের জন্য নানা দিক-নির্দেশনা।
এ বছর পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হবে। এ লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা অন্য উচ্চতায় পৌঁছল। বিশ্ব দরবারে বাংলা ঠাঁই করে নিলো ভিন্নভাবে।
হারামাইন জেনারেল অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আল সুদাইস এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুটি সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য এ বছর হজের খুতবা বিশ্বের ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। বাংলা ছাড়াও বাকি নয়টি ভাষা হলো- ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ ও হাবশি। ২০১৯ সালের হজে ৫ ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়েছিল।
গত ২২ জুন এক ঘোষণায় সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং স্থানীয়দের সমন্বয়ে দশ হাজারের মতো লোক এবারের হজে অংশগ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এবার মুসল্লিদের হজপালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস যেন হজের সময় কারও মধ্যে না ছড়ায় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিনা অনুমতিতে মক্কা ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশের ওপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
-গালফ নিউজ অবলম্বনে