নোয়াখালীর সেনবাগে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৭



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ১৭জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার  (২৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সেনবাগ থানার এএসআই সমর বড়ুয়াসহ উভয় পক্ষের ১৭জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতারপাইয়া বাজারের একটি মাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে এক ছাত্রীর সাথে কথা বলছিল মান্দারকান্দি গ্রামের শরুত ভূঁইয়া বাড়ির সাগর নামের এক যুবক। এসময় পশ্চিম দক্ষিণ পাড়ার আজগর আলী বেপারী বাড়ির ফাহিম নামের অন্য এক যুবক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাগরের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এ ঘটনায় বেলা ১১টা ও সাড়ে ১২টার দিকে ওই দুই যুবক লোকজন নিয়ে পুনরায় বাজারে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ দুই পাড়ার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ ও সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে এএসআই সমর বড়ুয়া আহত হয়। সাগর ও ফাহিম দুইজনই ওই ছাত্রীকে পছন্দ করে এমনটা ধারণা করছে স্থানীয় লোকজন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক ছাত্রীর সাথে দুই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

   

প্রেমিকাকে হত্যা মামলায় প্রেমিকের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীর মিয়া নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (২ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩ এর বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এই রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর নরসিংদীর পলাশ উপজেলার তারগাঁও গ্রামে ব্র্যাক অফিসে চাকরি করার সুবাদে একই অফিসের বাবুর্চি রিতা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রিতা তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিলে জাহাঙ্গীর রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ব্র্যাক অফিসের একটি কক্ষে জাহাঙ্গীর তার প্রেমিকা রিতার সাথে রাত্রিযাপন করে এবং রাতের কোনো এক সময় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এঘটনার পর নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে এই রায় প্রদান করেন আদালত।

;

অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিশপ্ত জীবনটা বড় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই আমাকে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছে। অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ জুন চার্জ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন।

মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে লোহার খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ। আমরা নোবেল পুরস্কারের কথা সবাই জানি। দুইটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একটা ছিলো আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুইটারই সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা। কারো চেয়ে কোনটা কম নয়। এটা যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে তাও না। দুইটায় স্বাধীনভাবে দেওয়া হয়েছে।

এ নোবেলজয়ী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নেই, একজন নোবেল বিজয়ী আরেকজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হলো। এটা অভিশাপের একটা অংশ। যে অভিশাপ আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগগুলো করে এবং যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে আমার এবং সহকর্মীদের বিরুদ্ধে তারাও অভিশাপের একটা অংশ। এটা আমার কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। যে আমার বাবাকে আক্রমণ করেছে, ভাই-বোনদের আক্রমণ করেছে। এই যে সেটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ বলে গেলাম।

এদিন মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূস। অন্যান্য আসামিরাও আদালতে হাজির হন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মামলার শুনানি শুরু হয়।

মামলার শুরুতে আসামিদের নাম ডাকা হয়। অন্যান্য আসামিরা ডকে প্রবেশ করতে থাকেন। ড. ইউনূসের নামও ডাকা হয়। আইনজীবীরা তাকে বেঞ্চে বসে থাকতে বলেন। তখন তিনি বলেন, আমার সহকর্মীরা ডকে ঢুকেছে। আমিও যাবো। পরে তিনি আসামিদের জন্য তৈরি লোহার খাঁচায় প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ থাকার পর বিচারক তাদের বেঞ্চে বসার অনুমতি দেন।

গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

;

দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস

দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন ডা. ইউনূস। বেলা ১১টার দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু করেন।

এর আগে গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ মামলাটি বদলির আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

;

এমপি আনার হত্যার ৩ আসামি ফের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৩১ মে) আট দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের আবারও সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

গত ২৪ মে তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।

;