এক বছরে সাড়ে ৩ হাজার নারী-কন্যাশিশু নির্যাতিত

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
জামিনে মুক্ত সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পারটেক্স স্টার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার টিটো জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাকে স্থায়ীভাবে জামিন দেওয়ার পর তিনি মুক্তি পান।
আসামির পক্ষে আইনজীবী সাইদুর রহমান মানিক ও মো. মাসুম আদালতে জামিন শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে বিচারক ১০ হাজার টাকার বন্ডে নিয়োজিত বিজ্ঞ কৌশলী ও একজন গণমান্য ব্যক্তির জিম্মায় টিটোকে জামিন দিয়েছেন।
সাইদুর রহমান মানিক বলেন, আমার মক্কেল আগেও জামিনে ছিল। আসামিকে জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে না এবং জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবে না মর্মে আদালত আজিজ আল কায়সারের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্ত্রীর দায়ের করা মামলা হাজিরা দিতে গেলে গত ১৬ মার্চ আদালত আজিজ আল কায়সারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে একই মামলায় জামিন নিয়েছিলেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরে রাজিব সরদার (২৫) হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাই হাওলাদার (৫৫), আব্দুল হক হাওলাদার (৫৮), জহিরুল হাওলাদার (৩৬), রাসেল হাওলাদার (৩৮), রাজা হাওলাদার (৫০), কালু হাওলাদার (৫৫), সোবহান হাওলাদার (৫০) তুষার শরীফ (৩০), ইউসুপ হাওলাদার (৪০), আজিজুল হাওলাদার (৪৮), রহিম হাওলাদার (৫২), রেজাউল হাওলাদার (৫৪), শামিম হাওলাদার (৩০), আহাদ হাওলাদার (২৯), দলিলউদ্দিন হাওলাদার(৫২), অলিলউদ্দিন হাওলাদার (৫৫), জসিম হাওলাদার (৩৮), মনির হাওলাদার (৩৭), সুমন শরীফ (৩২), সাগর শরীফ (৩০, হাফিজুল কাজী (৩৮), কালু কাজী (৪২), আলাউদ্দিন কাজী (৩০)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার (৫০), উজ্জ্বল হাওলাদার (৪২), জামাল হাওলাদার (৪৮), রুবেল হাওলাদার (৩২), নুরুল আমিন হাওলাদার (৫৩), বাকিবিল্লা হাওলাদার (৫৮)।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। এসময় তিনি মাদারীপুর পৌর এলাকার হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠালে পথিমধ্যে তিনি মারা যায়। এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন । পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলার ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
ছবি: সংগৃহীত
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
গত ১৫ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তার আগে গত ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত
এক নারী সংবাদকর্মীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক কথা তুলে ধরে সম্মানহানির অপরাধে মির্জা শামীম হাসান (৩১) নামের এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মির্জা শামীম হাসান বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জোরগাছা গ্রামের মির্জা সেলিম রেজার ছেলে।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ভুক্তভোগী নারী জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বগুড়া অফিসের ‘অফিস এক্সিকিউটিভ’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালের ২০ জুন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক কথা তুলে ধরে চরিত্রহনন করে ইমেইল বার্তা পাঠান ওই অফিস প্রধানের কাছে। একই মেইল তিনি বগুড়ার অন্যান্য সাংবাদিকদের ইমেইলেও পাঠান। এ ঘটনায় তার সম্মানহানি হয়।
পরে তিনি এ ঘটনায় অজ্ঞতনামা আসামি করে সংশ্লিষ্ট ইমেইলটি যুক্ত করে বগুড়া সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনার মূল অপরাধী হিসেবে মির্জা শামীম হাসান হাসানকে শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলে শুনানি শেষে আদালত আজকে রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৯(২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। আসামির মূল হাজতবাস কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।