অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়ানোর হুমকি, তিন বছরের দণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহবধূর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার দায়ে দুই যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন দেন।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো- জয়পুরহাট সদর উপজেলার জানিয়ার বাগানের সিরাজ আলমের ছেলে জাহিদ হাসান (২৫) ও ক্ষেতলাল উপজেলার মৃধাপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (২৪)।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আসামি জাহিদ ও হাবিব গোপনে গৃহবধূর বন্ধুর সঙ্গে কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ধারণ করে। প্রাথমিকভাবে টাকা-পয়সা না দিলে ছবি ও ভিডিও ইটারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে গৃহবধূকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তাদের ৬০ হাজার টাকা দেন।

পরবর্তীতে তারা আবারও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। সর্বশেষ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কুপ্রস্তাব দেন তারা। একইসাথে আরও ১৯ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত আজকে রায় ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৯(২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। আসামির মূল হাজতবাস কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে নারীর যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রির দায়ে লিপি বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোস্তফা শাহরিয়ার খান এই রায় দেন।

দণ্ডিত লিপি আক্তার মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী সওদাগর পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলী এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস আকবর খান জানান, ২০২২ সালের ৬ মার্চ টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আহসান হাবীব ১০০ গ্রাম হেরোইন ও হেরোইন বিক্রির দুই লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ লিপি আক্তারকে (৩৬) গ্রেফতার করেন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক তাকে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে লিপি আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

তিনি জানান, মামলা চলাকালে লিপি আক্তার কারাগার থেকে একাধিকবার জামিন আবেদন করলেও প্রতিবারই আদালত না মঞ্জুর করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা সাধারণত এত অল্প সময়ে শেষ হয় না। আদালতের সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা থাকায় মাত্র এক বছরের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।

;

বিএনপি নেতা টুকুর ৯ ও আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ ও আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে ওই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

 

;

অস্ত্র মামলায় চার যুবকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ত্র মামলায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চার যুবককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে জেলা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক জেসমিন আরা জাহান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার মেঘুল্লা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১), একই গ্রামের আসাদুল (৩২), এনায়েতপুর থানার আজুগড়া গ্রামের দুলাল সরকার (২৬) ও বেতিল চরের জাকির হোসেন (২৬)।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহজাদপুরের তালগাছি বাজারে করতোয়া ডিগ্রি কলেজ এলাকায় অস্ত্র কেনাবেচা
হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশিয় পাইপগান ও চারটি কারতুজের গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আজ আদালত এ রায় প্রদান করেন।

;

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার আমীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মেয়র তাপসের বক্তব্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নজরে আনা হয়।

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’–মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ আপিল বিভাগে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, “মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে আমরা মনে করতাম–ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীলরা আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন সেসব সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।

গত রোববার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।”

ব্যারিস্টার আমীর বলেন, “তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি...”। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি। তারপর কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আদালত অবমাননা। তার বক্তব্যে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা আশা করছি, আপিল বিভাগের আট বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”

;