হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বললেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, যারা এই প্যাকেজ নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত তারা গুনাহর ভাগি হবেন।

সরকার নির্ধারিত এবারের হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামানের করা রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটের পক্ষের আইনজীবী গাজী মো. মোহসিন জানান, আদালত শুনানিতে বলেছেন, হজে যাওয়ার জন্য এত খরচ বাড়ানো হয়েছে যে, যারা সাধারণ মানুষ হজে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত তারা হজে যেতে পারছেন না। এটা একটা অমানবিক হজ প্যাকেজ হয়েছে। এই প্যাকেজ নির্ধারণে সঙ্গে যারা জড়িত তারা মানুষকে হজ থেকে বঞ্চিত করার কারণে গুনাহর ভাগি হবেন।

আদালত শুনানিতে বলেন অন্যান্য দেশে হজের জন্য ফান্ড আছে। সরকারের আগেই উচিৎ ছিল একটা হজ ফান্ড ক্রিয়েট করা।

একপর্যায়ে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যারা হজ প্যাকেজের সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছেন। এবং আগামীকাল এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির ও আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

এবারের হজ প্যাকেজ সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে এর আগে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান। পরবর্তী এবিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর কোরবানি ছাড়াই এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগের বছরে যা ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে যেতে পারবেন।

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নাসিরুল ইসলাম নাসির (২৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-(২) বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় কোর্ট পুলিশ।

নাসিরুল রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

রাজশাহী নারী ও শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসলি অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের। চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত নাসিরুল। এ সময় শিশুটি কাঁদতে শুরু করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে সব কথা বাবা-মাকে বলে দেয়। এ ঘটনায় তার মা থানায় গিয়ে ধর্ষণের মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

;

জামিনে মুক্ত সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জামিনে মুক্ত সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান

জামিনে মুক্ত সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পারটেক্স স্টার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার টিটো জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাকে স্থায়ীভাবে জামিন দেওয়ার পর তিনি মুক্তি পান।

আসামির পক্ষে আইনজীবী সাইদুর রহমান মানিক ও মো. মাসুম আদালতে জামিন শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে বিচারক ১০ হাজার টাকার বন্ডে নিয়োজিত বিজ্ঞ কৌশলী ও একজন গণমান্য ব্যক্তির জিম্মায় টিটোকে জামিন দিয়েছেন।

সাইদুর রহমান মানিক বলেন, আমার মক্কেল আগেও জামিনে ছিল। আসামিকে জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে না এবং জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবে না মর্মে আদালত আজিজ আল কায়সারের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

স্ত্রীর দায়ের করা মামলা হাজিরা দিতে গেলে গত ১৬ মার্চ আদালত আজিজ আল কায়সারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে একই মামলায় জামিন নিয়েছিলেন তিনি।

;

রাজীব হত্যায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাদারীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদারীপুরে রাজিব সরদার (২৫) হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল হাই হাওলাদার (৫৫), আব্দুল হক হাওলাদার (৫৮), জহিরুল হাওলাদার (৩৬), রাসেল হাওলাদার (৩৮), রাজা হাওলাদার (৫০), কালু হাওলাদার (৫৫), সোবহান হাওলাদার (৫০) তুষার শরীফ (৩০), ইউসুপ হাওলাদার (৪০), আজিজুল হাওলাদার (৪৮), রহিম হাওলাদার (৫২), রেজাউল হাওলাদার (৫৪), শামিম হাওলাদার (৩০), আহাদ হাওলাদার (২৯), দলিলউদ্দিন হাওলাদার(৫২), অলিলউদ্দিন হাওলাদার (৫৫), জসিম হাওলাদার (৩৮), মনির হাওলাদার (৩৭), সুমন শরীফ (৩২), সাগর শরীফ (৩০, হাফিজুল কাজী (৩৮), কালু কাজী (৪২), আলাউদ্দিন কাজী (৩০)।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার (৫০), উজ্জ্বল হাওলাদার (৪২), জামাল হাওলাদার (৪৮), রুবেল হাওলাদার (৩২), নুরুল আমিন হাওলাদার (৫৩), বাকিবিল্লা হাওলাদার (৫৮)।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। এসময় তিনি মাদারীপুর পৌর এলাকার হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠালে পথিমধ্যে তিনি মারা যায়। এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন । পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলার ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

;

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ চেম্বার আদালতে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

গত ১৫ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তার আগে গত ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।

উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

;