বিএনপি নেতা টুকুর ৯ ও আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ ও আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে ওই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

 

   

আনসার আল ইসলামের শাখা প্রধানসহ ৬ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ও র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াদুল হক আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জুলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬) ও সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে র‌্যাব-১ ও ডিজিএফআই এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তিকা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়েরি ও নোট বই উদ্ধার করা হয়।

;

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম নিহত হওয়ার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। মামলাটির চার্জশিটে ৫৭ জন সাক্ষী রয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডাক্তার হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে সগিরা মোর্শেদ সালাম বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

;

হাথুরুর অব্যাহতি চেয়ে তামিমকে বিশ্বকাপ দলে নিতে লিগ্যাল নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের অব্যাহতি চেয়ে ড্যাশিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাসেল আল মামুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এই নোটিশ পাঠানো হয়।

দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ায় বিসিবির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ দেশের হাজারো ক্রিকেট ভক্ত।

বিশ্বকাপ দলে ড্যাশিং ব্যাটসম্যান তামিম নেই মানতে পারছেন না তারা। ভক্তরা বলছেন, তামিম পুরোপুরি ফিট না হলেও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ তামিমের দরকার ছিল। তামিম না থাকায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে ভোগাবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

যদিও বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে ফিটনেস ইস্যুর কারণেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই তামিম। তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টও কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি।

এদিকে, তামিম ইস্যুতে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, একটি তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে। আসলে সত্য হলো তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যবধানটা অনেক। আমার মনে হয় এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য। এখন প্রশ্ন হতে পারে তামিম কেন দলে থাকতে চাইল না। আসলে সে উত্তর আমার কাছে নাই। সেটা একমাত্র তামিমই বলতে পারে।

;

অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না পররাষ্ট্রের জাকির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে তার পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছেন চেম্বার আদালত। তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

গত ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়।

জাকির হোসেনের জমা দেওয়া আয়কর নথি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়। ২০২১-২২ আয়কর নথি অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অজুতাংশ জমির ওপর ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা রোস গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

;