মিতু হত্যা মামলায় আদালতে ৪ সাক্ষী যা বললেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও চারজন। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এসময় মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ চারজন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

চার সাক্ষী হলেন- অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও ব্যালিস্টিক এক্সপার্ট আবদুর রহিম, হত্যা মামলার ঘটনাস্থল জিইসি মোড়ের এক ফল দোকানের কর্মচারী আবদুর রহিম, পুলিশ কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া ও ভুক্তভোগী মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশীদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় আজ (সোমবার) চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সে সময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (ব্যালিস্টিক এক্সপার্ট), ফলের দোকানদার, পুলিশ কনস্টেবল ও মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা আছেন। তবে তাদের কাউকে আসামিপক্ষ জেরা করেনি। কারণ জেরা করার মত তেমন কিছু ছিল না। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সিআইডির এএসপি আবদুর রহিম বলেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিএমপি ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছ থেকে পাওয়া স্মারক মূলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজের বাক্সের ভিতর সিলগালা অবস্থায় আলামত পাই। আলামত হিসেবে ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তলের দুইটি অব্যবহৃত, একটি ব্যবহৃত ও একটি মিস ফায়ার হওয়া কাতুর্জ, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি পয়েন্ট ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার। এসব আলামতের বিষয়ে মতামত, ব্যালিস্টিক রিপোর্ট ও রাসায়নিক প্রতিবেদন পরীক্ষা শেষে জমা দেওয়া হয়েছে।

জিইসি মোড়ের ফলের দোকানের কর্মচারী আবদুর রহিম সাক্ষ্যে বলেন, ঘটনার দিন সকালে দোকান খুলতে গেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জড়ো হওয়া লোকজন দেখতে পাই। তারা জানায়, এখানে একজনকে সন্ত্রাসীরা মেরে চলে গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে জব্দ করে। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলায় আমি স্বাক্ষর করি।

কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া সাক্ষ্যে বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া ফোন করে বলেন, জিইসি মোড়ে একটা লাশ আছে। ওখানে যেতে। আরো দুজন পুলিশ সদস্যসহ সেখানে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি ওয়েল ফুডের সামে কালো বোরকা পরা একটি লাশ পড়ে আছে। এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া সুরতহাল করেন। তাকে সহযোগিতা করি। তিনি জব্দ তালিকাও করেন।

মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, আমার দুই ছেলেও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ে। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে আমার স্বামী ফোন করে আমাকে জানায়, মিতু ভাবি মারা গেছে। আমি লিফট থেকে নেমে দেখি মাহির। ও আমাকে বলে, আমার আম্মু মারা গেছে। সে তখন কান্না করছিল। তাকে ভবনের ভিতরে পাঠিয়ে আমি ওয়েল ফুডের সামনে যাই। দেখি মিতু ভাবি রাস্তায় পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। গুলির চিহ্ন দেখি। এরপর পুলিশ সুরতহাল করে। আমি স্বাক্ষর করি। আগের দিন রাতে আমাকে মিতু ভাবি ফোন করেছিলেন। উনার কাছে এসএমএস আসে ছেলেকে তাড়াতাড়ি স্কুলে নিয়ে যেতে। উনি জানতে চান, আমার কাছেও এসএমএস এসেছে কিনা। আমি বলেছি, না আসেনি। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আমরা একই বাসায় ছিলাম। সেখানে খাওয়া দাওয়া করি।

এর আগে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। ২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। এসপি বাবুল তার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

   

পিটার হাসকে হুমকি: ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী ও মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাসহ আট জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৪ মো. সালাউদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে মামলাটির আবেদন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হাশেম রাজু। মামলার এজাহারে তিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন।

মামলা খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন এম এ হাশেম নামের এক ব্যক্তি। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে মামলা খারিজের আদেশ দেন আদালত।

মামলার এজহারে বাদী এম এ হাশেম রাজু দাবি করেন, গত ৬ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেন বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম।

তাদের ওই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন এম এ হাশেম রাজু। পরে ঢাকার সিএমএম আদালত সেদিন মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজের আদেশ দেন।

এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহচান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।

;

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী সবুজ মিয়াকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নং-৩ এর বিচারক মোহা. জালাল উদ্দিন এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত সবুজ মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা দহপাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে। এই মামলায় সবুজের বাবা-মাসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু জানান, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সবুজ মিয়া তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারপিট করে বালিশ চাপায় গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় কোহিনুরের বড় ভাই লিটন বাবু বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে ১১ বছর পর আদালত এই হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

;

বিএনপি-জামায়াতের ২২ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকর্মীর প্রত্যেককে দুই বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়াও তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, আব্দুস সালাম সরকার, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, সৈয়দ ইমরান আহমেদ, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা হৃদয়, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ খোকন মিয়াসহ প্রমুখ।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে উত্তরা-পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

;

জামিন মেলেনি মির্জা আব্বাসের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার নাশকতার মামলায় দায়রা আদালতেও জামিন পাননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলটির শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিলকিছ আক্তারের আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৩১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেন। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর এলাকায় নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেন। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এই ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ নভেম্বর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

;