সার আত্মসাৎ: সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জনের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচ আসামি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

অপর আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন নিপু ও মো. নাজমুল আলম বাদল, পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।

২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সার আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

   

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসসহ আসামিদের জামিনের মেয়াদ ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. ইউনূস। আদালত শুনানি শেষে ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আজই জামিনের সময়কাল শেষ হওয়ায় নতুন করে জামিন নিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. ইউনূস।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।

পরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

;

ভর্তি বাতিলই থাকছে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর, তদন্তের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নীতিমালা না মানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ১৪ জানুয়ারি ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট করেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পৃথক রুলের একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেন হাইকোর্ট।

আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী দুজন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

রিট আবেদনকারী ১৩৬ জন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে এবং ১৬৯ ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।

;

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;