মামলাজট কমাতে মেডিয়েশন ভালো পদ্ধতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ৪০ লাখ মামলাজট বয়ে বেড়াচ্ছে। এই মামলাজট থেকে মুক্তির একমাত্র বিকল্প হতে পারে মেডিয়েশন। দ্রুত সময়ে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মেডিয়েশন সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। মামলাজট নিরসনে জেলায় জেলায় মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল।

রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে ‘মেডিয়েশন ও ইচ্ছাশক্তি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

বিচারপতি সোহেল বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ৪০ লাখ মামলাজট বয়ে বেড়াচ্ছে। এই মামলাজট থেকে মুক্তির একমাত্র বিকল্প হতে পারে মেডিয়েশন। মেডিয়েশনবান্ধব সমাজ তৈরি করতে হলে অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটরদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রত্যেক মেডিয়েটরকে একেকজন লিডার হতে হবে। দ্রুত সময়ে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মেডিয়েশন সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। আরবিট্রেশন যেখানে ব্যর্থ মেডিয়েশন সেখানে সফল। আরবিট্রেশন পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। খরচও অনেক বেশি লাগে।

তিনি বলেন, একমাত্র মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে কম খরচে অল্প সময়ে বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব। মামলাজট থেকে মুক্তির পথ হচ্ছে মেডিয়েশন। এ কারণে মেডিয়েশনের সৌন্দর্য সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। সাধারণ মানুষ মেডিয়েশনের সৌন্দর্য বুঝতে পারলে তারা মেডিয়েশনের মাধ্যমে বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তি করতে উদ্বুদ্ধ হবে।

এই বিচারপতি বলেন, মামলাজট নিরসনের জন্য মেডিয়েশনকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রতি জেলায় মেডিয়েশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। এছাড়া মেডিয়েশন বিষয়ে গবেষণা করার জন্য বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।

তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে আইনজীবীদের মেডিয়েশনকে পেশা হিসেবে নেওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় মেডিয়েশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে বিমসের চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী বলেন, মেডিয়েশন সফল করতে হলে অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটরদের ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। স্বভাব নির্মল করতে হবে, মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; মনে রাখতে হবে- যে রকম অন্ধকারে আলো উজ্জ্বল হয়, ঠিক তেমনি সত্য সব সময় উজ্জ্বল হয়। মানুষকে বিরোধমুক্ত রাখতে হলে একজন মেডিয়েটরকে সব সময় ভূমিকা রাখতে হবে।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, নেপাল সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট হরি শংকর নিউল্যা ও বিমসের ইন্টারন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর বিজয় ভারতীয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ৪১ জন অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর অংশগ্রহণ করেন।

   

কুমিল্লায় সমাজকর্মী হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
হত্যা মামলার আসামিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

হত্যা মামলার আসামিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ৭ আসামি পলাতক রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলা বিচার চলাকালীন সময়ে ২ আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।

মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. মাসুমসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। বিজ্ঞ বিচারক আজকে এই মামলার রায় প্রদান করেছেন। আমি রায়ে সন্তুষ্ট।

;

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসের মামলার রায় ১০ জুলাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত আট আসামি জামিনে রয়েছেন। তারা হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। আজ (মঙ্গলবার) দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ঠিক করেন।

;

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১০ জুলাই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।

শুনানি শেষে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

২৪ আসামির মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানের আসামির সংখ্যা ১৭ জন।

আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

মারা যাওয়া ৭ আসামি হলেন, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম।

;

চট্টগ্রামে অস্ত্র মামলায় এক ব্যক্তির ১৭ বছরের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার ২২ বছর আগের অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় আবুল খায়ের নামে এক ব্যক্তিকে ভিন্ন ধারায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) চট্টগ্রামের নবম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ মঞ্জুর হোসেন এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি আবুল খায়েরের হেফাজত থেকে একটি পলিথিনের ব্যাগে ২টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ১০টি বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। সেসময় ওই থানার তৎকালীন এক উপপরিদর্শক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, ১০ জনের মধ্যে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামি আবুল খায়েরকে অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় ১০ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন সাজা আদালত। উভয় সাজা একসাথে চলবে।

রায় প্রদানের সময় মামলার আসামি পলাতক ছিল। রায় প্রদানের পরে আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে জানান এই পিপি।

;