সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন, খালাস ৩



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন যুগ আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালাত।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সগিরার ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আক্তারুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর মামলার পাঁচ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী , জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।

মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, সগিরা মোর্শেদ তার পরিবার নিয়ে আউটার সার্কুলার রোডে একটি বাসায় বসবাস করতেন। সগিরা মোর্শেদরা থাকতেন দ্বিতীয় তলায়। সগিরার ভাসুর তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনকে নিয়ে থাকতেন ওই বাসার তৃতীয় তলায়। শাহীন তিন তলা থেকে প্রায় সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন, যা সগিরা মোর্শেদের পেছনের রান্না ঘর ও সামনের বারান্দায় পড়ত। এ নিয়ে সগিরার সঙ্গে শাহীনের প্রায় ঝগড়া হতো। ওই তুচ্ছ কারণেই শাহীন সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য স্বামী ডা. হাসানকে দিয়ে তার রোগী তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় বিচারক মো. মাসুদ আলী। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেলে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদর উপজেলার দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এসময় কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে ভ্যানচালক রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এলোমেলো হয়ে ভ্যান রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোহাগ আহম্মেদকে একমাত্র আসামি করে মামলা রুজু হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ওই মামলার আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।

;

আন্দালিব রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ

  • Font increase
  • Font Decrease

সেতু ভবনে হামলার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পার্থকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মহাখালীতে সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার করা হয়।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আরও প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৪১ জনকে।

এ নিয়ে গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারা দেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গ্রেফতারের এ তথ্য জানা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই গ্রেফতার অভিযান চলছে।

;

পার্থকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আন্দালিব রহমান পার্থ

আন্দালিব রহমান পার্থ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আদালতে এই আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন-উর-রশিদ জানিয়েছেন, বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে ব্যারিস্টার পার্থকে গ্রেফতার করা হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থকে মহাখালীতে সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আরও প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৪১ জনকে।

এ নিয়ে গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারা দেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গ্রেফতারের এ তথ্য জানা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই গ্রেফতার অভিযান চলছে।

;

রায় থেকে তদন্তে অরিত্রির আত্মহত্যা মামলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী/সংগৃহীত

ছবি: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী/সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পাঁচ দফা পিছিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক রায় ঘোষণা না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য, ছিল। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও সর্বশেষ ৩ মে রায় ঘোষণার তারিখে পেছানো হয়।

মামলার দুই আসামি হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। তারা জামিনে আছেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ২০ মার্চ অরিত্রিকে আত্মহত্যা প্ররোাচনার অভিযোগে দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। চার্জশিটের ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।

ওই ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

;