পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ও তার স্ত্রীর সম্পদ জব্দের নির্দেশ
-
-
|
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ও তার স্ত্রীর সম্পদ জব্দের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত
জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন শাখার সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়রা বেগমের ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
তিনি বলেন, সোমবার (৮ জুলাই) আদালত সিএমপির এডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অবরুদ্ধ করণের আদেশ দিয়েছেন।
দুদক আইনজীবী আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে সম্পদ ক্রোক ও জব্দ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয় বলেও জানান লাভলু।
এদিকে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে মোহাম্মদ কামরুল হাসানের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকা। তার স্ত্রী সায়মা বেগমের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকা, তা প্রমাণ পেয়েছে।
জানা গেছে, নগর পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কামরুল হাসানকে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার প্রসিকিউশন শাখা থেকে ক্রাইমে বদলি করা হয়। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল সিএমপির অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন শাখা) কামরুল হাসানকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
