পিএসসির প্রশ্নফাঁস: গ্রেফতারকৃত ১৭ আসামি আদালতে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারকৃত ১৭ আসামি আদালতে

গ্রেফতারকৃত ১৭ আসামি আদালতে

বিসিএস প্রিলি ও লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১:৪০ মিনিটে আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। তাদেরকে আদালতের হাজতখানে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৭ আসামি গ্রেফতার হলেও ১৪ আসামি পলাতক আছেন।

সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইনে এই মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো সংঘবদ্ধ চক্রটি।

গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন- পিএসসি’র উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।

আরও রয়েছেন- সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের প্রতিবেদন দেখেছি। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রমাণিত হতে হবে। আর প্রমাণিত হলে কী হবে, সেটি কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।