সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ

চাঁদপুরে পারভীন হত্যা মামলায় দেশব্যাপী এক সময়ের আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ’র মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

রসু খাঁ ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই জন হলেন- জহিরুল ও ইউনুস। তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইউনুছের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খার ছেলে। আর জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোস্তাফা ছেলে এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।

বিজ্ঞাপন

চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর আটকের পর তার মোবাইল ফোনের সূত্রে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ডে মুখ খোলেন রসু খাঁ। যেখানে বেরিয়ে আসে গা শিউরে ওঠা তার সব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে রসু খা’র ১১টি খুনের কথা ওঠে আসে। রসু খাঁর টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। রসু খাঁ যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী।

রসু খাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে খুলনার পোশাককর্মী শাহিদা হত্যা মামলায় প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণাভ চক্রবর্তী রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাতে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই মামলায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রসু খাঁ ও তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরবর্তীতে এই রায়ের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে।