ফ্লাইওভার ধস মামলা, ৮ আসামির ৭ বছর কারাদণ্ড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্লাইওভার ধস মামলা, ৮ আসামির ৭ বছর কারাদণ্ড/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ফ্লাইওভার ধস মামলা, ৮ আসামির ৭ বছর কারাদণ্ড/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে এক যুগ আগে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ৩টি গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আবদুর রশীদ।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ আবদুর রশীদ বলেন, এই দুর্ঘটনার দায় প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। আদালত রায় ঘোষণার সময় এই মেসেজটাই দিয়েছেন, আসামিরা যেখানেই দায়িত্ব পালন করুক না কেন এ দায় তাদের ওপরও বর্তায়। সারাদেশে আরও যেসকল প্রতিষ্ঠান এরকম বড় বড় কাজ করছেন তারা যেন সতর্ক থাকেন এবং এরকম দুর্ঘটনা না হয় সেই মেসেজই দিয়েছেন আদালত।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ১০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

দণ্ডিত আট আসামিদের সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসা’র (জেভি) তৎকালীন কর্মী। তারা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। আজ আদালত মামলার আট আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় ৮ আসামিই উপস্থিত ছিলেন।