আদালতের লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিত: ড. ইউনূস

  • মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ছবি: সংগৃহীত

অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ছবি: সংগৃহীত

আদালত থেকে আসামিদের জন্য লোহার তৈরি কাঠগড়া তুলে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৫ জুলাই) গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে দু’দিন হাজিরার সময় তাকেসহ ১৪ আসামিকে লোহার খাঁচায় ঢুকানো হয়েছিল। মামলার বিচারের সময় আসামিদের লোহার খাঁচায় আটকে রেখে বিচার করার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার হাজিরার সময় তাকেসহ ১৪ আসামির কাউকে খাঁচার ভিতর ঢুকানো হয়নি।

আদালত থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ভেবে ভালো লাগছে যে আজ আমাদের কাউকে লোহার খাঁচার ভেতর ঢুকতে হয়নি। আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালত থেকে লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিত।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘লোহার খাঁচা মানবতার প্রতি অপমান। কেন পশুর মতো একজন মানুষকে খাঁচার ভেতর ভরে রাখবে? এটা সরিয়ে ফেলা উচিত।’

সোমবার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এই মামলায় চার্জগঠনকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ আগস্ট শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্ত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।