নিরাপত্তাহীনতায় বসেনি ঢাকার আদালত
পুলিশ না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় বসেনি ঢাকার নিম্ন আদালত। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মিলিয়ে প্রায় ১০৭টি আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সরেজমিন আদালত ঘুরে দেখা গেছে, মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ কয়েকটি আদালত এজলাসে উঠে বিচার কার্য পরিচালনা করলেও অন্যসব আদালত বিচারকের খাসকামরায় বসেই আদেশ দেন।
অনেক আদালতে পেশকার পিয়নরা আদালতের দরজা সামান্য ফাঁক করে আইনজীবীদের কাছ থেকে হাজিরা, জামিনের আবেদন ও সময়ের আবেদন গ্রহণ করেন। তাদের বলা হয় বিধি মোতাবেক সব মঞ্জুর হয়ে যাবে।
পুরান ঢাকার ২টি জজশীপে ও ২টি ম্যাজিস্ট্রেটশীপে ১০৭ জন বিচারক কর্মরত আছেন। কিন্তু মঙ্গলবার তাদের নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ চোখে পড়েনি। এমনকি চারটি হাজতখানাতেও কনো পুলিশ ছিল না। সবই অরক্ষিত হয়ে পড়ে ছিল।
এদিন ১ জুলাইয়ের পর থেকে গ্রেফতার হওয়া হাজারেরও অধিক আসামির জামিন মঞ্জুর করে বিভিন্ন আদালত। তবে নিরাপত্তাহীনতায় তারা আদালতের এজলাসে উঠেননি। আদালতে কারাগার থেকে কোনো আসামি আনা হয়নি। কোনো সাক্ষি, হাজিরা কিংবা সময়ের আবেদনেরও শুনানি হয়নি।
আইনজীবী মমিন বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি ১০ জন শিক্ষার্থীর জামিনের আবেদন করেছিলেন। সবারই জামিন হয়েছে কিন্তু কোনো শুনানি করতে হয়নি। দরখাস্ত দিয়ে এসে পরে খোঁজ নিয়ে জামিনের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।
সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর মঙ্গলবার ঢাকার কোর্ট্ অঙ্গন দাপিয়ে বেড়ানো হেভিওয়েট সব আইনজীবী নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। ফাঁকা পেয়ে পুরো কোর্ট এলাকা দখল নেয় বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। তারা সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সামনে ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় তারা বিচারকদের সাথে মিটিংয়ে বসেন। সেখানে আসামিদের জামিনের বিষয় শোনার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। এরপর একে একে জামিন পেতে থাকেন ১ জুলাইয়ের পর থেকে কারাবন্দি শিক্ষার্থী জনতা।