শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢোকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি করে মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন জনৈক এস এম আমীর হামজা। বিচারক দুপুরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ মামলা এজাহার হিসেবে গণ্য করে মোহাম্মদপুর থানাকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া এ তথ্য জানান।

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ (ডিবি হারুন) ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমারকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া উক্ত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেতুমন্ত্রী আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন। অপর আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনন্ত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আসাদুজ্জামান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন।

গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

যেহেতু নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি সুদুর পঞ্চগড়ে এবং তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসাবে বাদী এ মামলার আবেদন করেন।