এসপি বাবুল আক্তারের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ১৮ আগস্ট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এসপি বাবুল আক্তার। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল/বার্তা২৪.কম

এসপি বাবুল আক্তার। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল/বার্তা২৪.কম

বহু আলোচিত চট্টগ্রাম মিতু হত্যা মামলা অন্যতম আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিনের আদেশের জন্য ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে ১৮ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করা হলে একঘণ্টা ২০ মিনিটের উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুল আক্তারের আইনজীবী এড. কফিল উদ্দিন বলেন, আমরা এসপি বাবুল আক্তারের পক্ষে জামিন আবেদন করছি। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছি। দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিনের বিষয়ে আগামী আগস্টের ১৮ তারিখ আদেশের দিন ধার্য করেছে আদালত।

আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, বাবুল আক্তার ২১ সালের ১০ মে গ্রেফতারের পর থেকে এখনো কারাবন্দি। স্ত্রী হত্যা মামলায় ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এখনো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আজ তিন বছর ৩ মাস তিনি জেলে। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হয়, তাহলে এই সময়গুলো কেউ ফিরিয়ে দেবে। তাই আমরা চাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে এই আদালতে বাবুলের পক্ষে জামিনের জন্য বিশেষ দরখাস্ত দেওয়া হয়। আদালত সেদিন জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।

আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।