‘মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার’
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তাদের জন্য করুণা নয়, এটা তাদের অধিকার।
চার জেলার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা পৃথক রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণার আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রায়ে পাবনা, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর ও মাগুরার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত বলেন, আদালত বলেছেন, যথাসম্ভব স্বশরীরে হাজির হয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে হবে। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেট থেকে বাদ দিতে হয় তাহলে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, নোটিশ দিয়ে তাদের বক্তব্যও শুনতে হবে।
২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে একটি তালিকা পাঠানো হয়। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাতিল করা হয়। এরপর সে বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে একই বছর ওই চার জেলার মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
২০১৬ সালে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গেজেট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হলো।