অনলাইন ক্লাসের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ও বাবা-মায়ের করণীয়



নাছরিন আক্তার উর্মি, বার্তা২৪.কম
অনলাইন ক্লাসে সন্তানকে সঙ্গ দিতে হবে বাবা-মাকেও

অনলাইন ক্লাসে সন্তানকে সঙ্গ দিতে হবে বাবা-মাকেও

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে গেছে শিক্ষাব্যবস্থা। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। মহামারি ভাইরাসটির প্রার্দুভাব সহজেই কমবে না –এমন শঙ্কা থেকে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়।

এপ্রিলের শেষ দিক থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রি-ক্যাডেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব লেভেলে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। লক্ষ্য একটায় ঘরবন্দী এ সময়েও যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাটা চালু রাখা যায়। সবশেষ গান, নাচ, আঁকাআঁকির ক্লাসও এখন অনলাইনে নেওয়া শুরু হয়েছে।

তবে অনলাইন ক্লাসে সুবিধা যেমন আছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। অসুবিধাগুলো দুই ধরনের। শিক্ষাগত ও স্বাস্থ্যগত। শিক্ষাগত সমস্যার মধ্যে অন্যতম- স্কুল ছুট বা ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি, মোবাইল-ইন্টারনেট না থাকায় বড় একটি অংশ বঞ্চিত এবং স্কুল খোলা না থাকায় সময়ানুবর্তিতার বিষয়ে অসচেতন হয়ে পড়া।

তবে শিক্ষাগত দিকের চেয়ে অনলাইন ক্লাসের স্বাস্থ্যগত দিকের সমস্যায় বেশি। চলুন জেনে নিই বিশেষজ্ঞদের মতে অনলাইন ক্লাসের স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো:

করোনাকালে অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

অবসাদগ্রস্ত বা মানসিক ক্লান্তি:

যে বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মানসিক বিকাশ হয়, সেই সময়ে ঘরে বসে থাকায় অবসাদগ্রস্ত হতে পারে স্কুলপড়ুয়ারা। চিকিৎসকরা বরাবরই সাবধান করছেন- স্মার্টফোনের আলোয় চোখের ক্ষতি হতে পারে। সেই সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি আনে। অনলাইন ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়। ফলে চোখের সঙ্গে অন্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে বাচ্চাদের।

দীর্ঘসময় হেডফোন ব্যবহারে শিশুদের আচরণে পরিবর্তন। ছবি ইউনিসেফ

অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারে ক্ষতি:

অনলাইন ক্লাসের জন্য দীর্ঘসময় বিভিন্ন ধরনের হেডফোন ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে নানা ধরনের শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যার শিকার হচ্ছে তারা। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় জানান, প্রতিদিনই কানের সমস্যা নিয়ে আসছে ছোট শিক্ষার্থীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি বুঝেছেন, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন হেডফোন ব্যবহারে ছোটদের কানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

আচরণে নেতিবাচক পরিবর্তন:

চিকিৎসকরা বলছেন, একটানা মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকায় ছেলে-মেয়েদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিচ্ছে। একটুতেই তারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি চরম বিরক্তি দেখাচ্ছে। জেদি হয়ে ওঠাসহ ব্যবহারিক নানা পরিবর্তনও ঘটছে।

অনলাইনে ক্লাস করে স্বাস্থ্যগত ও শিক্ষাগত সমস্যায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা

অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ ও মুটিয়ে যাওয়া:

স্কুলে বা বাইরে কোথাও না যাওয়ায় খাদ্য অভ্যাসেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। ঘন ঘন ফ্রিজ খুলে নানা ধরনের খাবার খাচ্ছে। অথচ গেল ৬ মাস হাঁটা-চলা, খেলাধুলা বা শারীরিক কোনো পরিশ্রমের বালাই নেই! ফলে স্কুলপড়ুয়া শিশুরা মুটিয়ে যাচ্ছে। বয়সে তরুণদের এই বয়সে মেদ বাড়ছে!

ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে নিস্তেজতা:

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রবীর ভৌমিকের মতে, ছেলে-মেয়েরা এখন খেলতে মাঠে যেতে পারছে না। অথচ তারা যখন নিয়মিত স্কুলে যেত, তখন স্কুলের মাঠে একদফা খেলতো। আবার বাড়িতে ফিরে বিকেলে বাড়ির পাশে বা পাড়ার মাঠে খেলাধুলা করতো। স্বাভাবিকভাবে ওই সময়টাতে সূর্যের আলো গায়ে পড়তো।

তিনি আরও জানান, সূর্যের আলো থেকে যে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়, তাতে শিশু ও কিশোর বয়সীদের শরীর চনমনে থাকে। যেটা এখন পাচ্ছে না ওরা। অভিভাবকদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের নির্দিষ্ট সময় বাইরে নিয়ে যান

সংকটের মধ্যেই যা করণীয়:

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অভিভাবক ও শিক্ষক সকলেই বলছেন- পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসটা চালিয়ে নিতে হবে। না হলে পড়াশোনা পিছিয়ে যাবে। কিন্তু এ সময়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে শিশু-কিশোদের যত্ন নিতে হবে।

#সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-

*অনলাইন ক্লাসগুলো একটানা না করিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে আরও আনন্দদায়ক করে তুললে সমস্যা কমবে।
*অনলাইন ক্লাসে যদি দেখার স্ক্রিন বা ফ্রেম বড় করা যায়, তাহলেও সুবিধে।
*জনসমাগম এড়িয়ে সন্তানদের নির্দিষ্ট সময় বাড়ির বাইরে নিতে হবে। তবে সেসময় অভিভাবকদের নজর থাকা জরুরি।
*হেডফোনের পরিবর্তে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা।
*পড়ার সঙ্গেই ছোটদের ক্লাসিক সিনেমা দেখিয়ে মন ভালো রাখা।
*ফোন-কম্পিউটার স্ক্রিনের বাইরে ঘরেই কিছু খেলাধুলা করতে দিতে হবে। যেমন- ক্যারম, লুডু। সেগুলোতে অভিভাবকদের সঙ্গ খুব জরুরি।

সূত্র: আনন্দবাজার

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;