হাই-প্রোটিনযুক্ত ডায়েটে ৩টি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • নাছরিন আক্তার উর্মি, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হাই-প্রোটিনযুক্ত ডায়েটগুলো ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। যদি আপনি ওজন হ্রাস করার চেষ্টা করেন তবে হাই-প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ অপরিহার্য। প্রোটিনগুলোকে পেশী, ত্বক, রক্ত, হাড় এবং কার্টিলেজের বিল্ডিং ব্লক মনে করা হয়। আমাদের শরীর নতুন টিস্যু তৈরি, ঠিক রাখতে এবং এনজাইম ও হরমোন তৈরিতে প্রোটিন অত্যবশকীয়।

এই সমস্ত কারণেই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মত দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষ একদিনে 0.8 গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবে। তবে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যাথা, এবং দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাসের কারণও হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সুষম ডায়েটের জন্য প্রোটিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় উৎস হলো ডিম, মসুর ডাল, সয়াবিন, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, মুরগি, বাদাম ও বীজ এবং সি-ফুড।

#ডায়েটে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত করার আগে যা জানা জরুরি:

বিজ্ঞাপন

প্রোটিন উৎস বাছাই করার ক্ষেত্রে সর্তক থাকুন পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে হাই-প্রোটিন ডায়েটের ফলে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস হতে পারে

#হাই-প্রোটিন যুক্ত ডায়েটের ঝুঁকিগুলো:

১. অতিরিক্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- বেশিরভাগ মানুষ ওজন হ্রাস করার জন্য হাই-প্রোটিন এবং লো-কার্ব ডায়েট অনুসরণ করে। এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। এমনকি আপনার ডায়েটে ফাইবার অপর্যাপ্ত হতে পারে। এর ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্গন্ধ এবং মাথা ব্যাথা মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

২. আপনি যখন উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত ডায়েট অনুসরণ করবেন, তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে আপনার প্রোটিন উৎসটি বেছে নিন। উদাহরণস্বরূপ- লাল মাংস প্রোটিনের একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। তবে অতিরিক্ত খেলে এটিও হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং হজমের সমস্যা করতে পারে।

৩. হাই-প্রোটিন ডায়েট কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কিডনিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রোটিন থেকে সৃষ্ট বর্জ্যগুলো অপসারণ করতে শরীরে সমস্যা হতে পারে।

#ক্ষতি এড়াতে যা খাবেন:

আপনি যদি প্রোটিন গ্রহণ বৃদ্ধি করতে চান তবে ভাল মানের প্রোটিন উৎস বেছে নিন। প্রসেসিং করা খাদ্য পরিহার করুন। প্রতিদিন ডিম, বাদাম, বীজ, সয়াবিন দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন।

এছাড়াও শর্করার গুণমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে রুটি এবং পাস্তা জাতীয় খাবারগুলোতে প্রক্রিয়াজাত শর্করা থাকে। তাই এই ধরনের খাবারগুলোও পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে শস্য, ফলমূল এবং শাকসবজি খান। বিকল্প হিসেবে কিছু কিউবেড কুটির পনিরও খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি