করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের প্রতি দায়িত্ব



নারায়ণ নন্দী
ছবি: শাটারস্টক

ছবি: শাটারস্টক

  • Font increase
  • Font Decrease

'স্কুল আজ বন্ধ বহুদিন

সঙ্গে বন্ধ টিউশনি।

আছি গৃহবন্দি

এ অবস্থা কার ভালো লাগে শুনি?

কতদিন দেখিনি স্কুলের বন্ধু আছে যারা,

কি জানি এ অবস্থায় কেমন আছে তারা ?

একঘেয়েমি লাগছে

নেই বন্ধু নেই পাড়া ঘোরা অদ্য

কি করব উপায় তো নেই ?

তাই আছি হয়ে বাধ্য।'

কথাগুলো শুধুমাত্র একজন শিশুর কথা নয়, হাজার হাজার শিশুর মনের আকুতি।

বর্তমান সময়ে বিশ্ব এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র বিশ্বজুড়ে চলছে বিপর্যয়। হারিয়ে গেছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। কলকারখানা বন্ধ, ট্রেন-বাস সহ যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ, স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। মানুষ আজ গৃহবন্দী। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ আর বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। 

এরই মধ্যে আবার অনলাইনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা চলছে। মানুষ গৃহবন্দী থাকতে থাকতে হতাশ হয়ে পড়েছে। কেননা গতিশীলতাই জীবন। কিন্তু আজ জীবন হয়েছে ছন্দহীন। এই দুঃসহ পরিবেশে বাড়ির ছোট্ট ছোট্ট ফুলের মত শিশুরা কেমন আছে?

তাদের স্কুল বন্ধ, খেলার  মাঠে জমায়েত হওয়া বন্ধ, টিউশনি, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও দেখা নেই। তার ওপর চেপেছে অনলাইন ক্লাসের ভারি বোঝা। সত্যিই তো তারা আজ কেমন আছে? তাদের মনের অবস্থা কেমন?

সর্বস্তরের মানুষই আজ যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে শিশুরাও অসহায়। শিশুরা আজ তার মাকে প্রশ্ন করছে, মা কবে করোনা শেষ হবে?  স্কুল কবে খুলবে? কবে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে যাব?

কিন্তু তার মায়ের দিক থেকে এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর নেই। সত্যিই উত্তর কারোই জানা নেই।

ইউনিসেফ এবং WHO-এর মতে দীর্ঘকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের ওপর চাপ পড়ছে ,তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকার ফলে তারা অনেকটা নিঃসঙ্গ বোধ করছে।

অনেক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে অনিদ্রা, খিটখিটে ভাব, অল্পতে রেগে যাওয়া, চুপচাপ হয়ে যাওয়া, বিরক্তিভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তদুপরি, দীর্ঘ সময় মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ, কম্পিউটারে অনলাইন ক্লাস করা বা অনলাইনে গেম খেলা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। 

আর বন্ধের মধ্যে নিত্যকার স্বাভাবিক রুটিন কাজকর্মে অলসতা, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, এলোমেলো জীবন যাপনের ফলে তার স্থূলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘরবন্দী জীবনযাপন তার পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

দরিদ্র পরিবারের শিশুদের অবস্থা আরও শোচনীয়। অনেক অভিভাবকেরই কাজ নেই। সেসব পরিবারের শিশুদের খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবকিছুর ওপর গভীর প্রভাব পড়েছে। 

আসলে বর্তমান জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে বড়দেরই যেখানে শোচনীয় অবস্থা, সেখানে শিশুদের অবস্থা আরো খারাপ। তাই মেজাজ খিটখিটে হওয়া, চুপচাপ হয়ে যাওয়া বর্তমানে আর অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সে একাকীত্বে ভুগছে। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ না থাকার ফলে অভিভাবকদেরও কিছু করার নেই। শিশু অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। হয়তো পরবর্তীকালে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ভাগ্যলিখন আরো কঠিন হতে চলেছে ।

তাই এখন প্রশ্ন হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের কি করনীয়? শিশুদের অভিভাবকদের দায়িত্ব হবে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা।শিশুদের জীবনে যে চক্রাকার পর্ব অর্থাৎ স্কুল থেকে টিউশন, টিউশন থেকে খাওয়া, খেলা ঘুমানোর নিয়ম ছিল, সে তো আজ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

এ অবস্থায় অভিভাবকদের উচিত তাদের সামনে সদর্থক কথাবার্তা বলা, সদর্থক আচরন করা । তাদেরকে নাচ-গান, ছবি আঁকা, বাড়িতে বাগান তৈরির বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখা। আর কথায় বলে না, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।

কাজেই  তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেওয়া, তাদের সঙ্গে তাদের মতো করে খেলা, গল্প বলা, সঙ্গে সময়  কাটাতে হবে। তাতে তার মন ভালো থাকবে । মনের ওপরে চাপ কম পড়বে । 

শিশুদেরকে শেখাতে হবে যে জীবনে ভালো সময় যেমন আছে তেমনি খারাপ সময় আসে ।এতে ভেঙে পড়লে চলবে না । প্রয়োজনে বয়স ও শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী বাড়িতে হাতে হাতে কাজ করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

আর পিতা-মাতার কলহ  যেন তার সম্মুখে না আসে। তাতে তার ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে। সে যদি কোন ভুল কাজ করে তাকে বকাঝকা নয়, বরং তাকে বোঝাতে হবে কেন তার কাজটি ভুল।

এমনিতে শিশুমনে বন্ধু, স্কুল, খেলার মাঠ ছেড়ে থাকায় এক অজানা আশঙ্কার কালোমেঘ জমে আছে । তাই এসময় বকাঝকা করলে ফলাফল হিতে বিপরীত হবে । তাই শিশুদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গ দিতে হবে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিশুদের আবার মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবকদেরই।

লেখক: কবি, সহকারী অধ্যাপক, (ইতিহাস), সরোজিনী নাইডু কলেজ, কলকাতা।

 
   

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;

গরমেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে সুপারফুডে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে নিয়মিত সুপারফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের  সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকাল সাধারণত সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রার এক্সপোজার নিয়ে আসে। এতে  পানিশূন্যতা ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

এই সময়ে ডায়েটে পুষ্টিকর সুপারফুড অন্তর্ভুক্ত থাকলেই মিলবে সমস্যার সমাধান। ত্বককে সুরক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করতে পারে এসব সুপারফুডগুলো। 

গ্রীষ্মকালীন এমন প্রয়োজনীয় সুপারফুডগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডায়েটে যোগ করতে পারেন আপনিও।

উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ১০টি সুপারফুড:

১. বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি জাতীয় খাবার ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ; যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি বা স্ন্যাক হিসাবে এগুলো তাজা খাওঅর চেষ্টা করুন।

২. তরমুজ

এই হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এর সতেজ রস শরীরের ও ত্বকের সুস্থতা বাড়ায়।

৩. শসা

উচ্চ পানিগ্রাহী খাবার শসা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। শসায় সিলিকাও রয়েছে, যা দৃঢ় এবং কোমল ত্বকের জন্য কোলাজেন উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়। সালাদ, তরকারি বা নাস্তার উপাদান  হিসেবে শসা উপভোগ করুন।

৪. টমেটো

লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে। রান্না করা টমেটো বা টমেটো পেস্ট আরও বেশি উপকারী; কারণ লাইকোপিন আরও জৈব উপলভ্য হয়ে ওঠে। সালাদ, স্যুপ বা সস হিসেবেও টমেটো খেতে পারেন।

৫. অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, অ্যাভোকাডোস ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। টোস্টে, সালাদে, বা ক্রিমি স্মুদিতে মিশ্রিত করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

৬. পালং শাক

এই সবুজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের মেরামত এবং পুনর্নবীকরণ করে। এতে আয়রন এবং ক্লোরোফিলও রয়েছে, যা ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বর্ণ উন্নত করে। সালাদে কাঁচা, ভাজা বা স্মুদিতে মিশিয়ে পালং শাক খেতে পারেন।

৭. সালমন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটিতে অ্যাটাক্সান্থিনও রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। একটি সুস্বাদু এবং ত্বকের জন্যও পুষ্টিকর- এমন খাবারের জন্য গ্রিলড, বেকড বা পোচড খেতে পারেন।

৮. নারকেল

নারকেলের পানি বা তেল বা মাংসের অংশ সবকিছুই হাইড্রেটিং করে এবং এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেলকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বা স্কিনকেয়ার রেসিপিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হলুদ

এই সোনালি মশলাটিতে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করে।ত্বকের উন্নতির জন্য তরকারি, স্মুদি বা গোল্ডেন মিল্কের সাথে এটি যোগ করতে পারেন।

১০. ডার্ক চকোলেট

কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ত্বকে রক্ত​​প্রবাহ উন্নত করে একটি স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এটি পরিমিতভাবে খেতে পারেন বা স্মুদি বা ডেজার্টে কোকো পাউডার হিসেবে যোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদিও এই সুপারফুডগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করতে সক্ষম, তবে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং ত্বকের যত্নের ভালো অভ্যাস অনুশীলন করা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

;