শীতের কলই শাক রান্না
শীত মৌসুমের অন্যতম মজাদার শাক হলো কলই শাক। খেসারি ডালের শাকই মূলত কলই শাক। তবে সব এলাকায় এই শাক সমান প্রচলিত বা সমাদৃত নয়। এমন অনেক অঞ্চল আছে যেখানে এই শাক খাওয়ার প্রচলন একেবারেই নেই।
ভীষণ মজার এই শাক রান্নার আয়োজনটা একটু কষ্টকর বটে। তবে এমন স্বাদের শাক তাও কেবল শীত মৌসুমেই খাওয়ার সুযোগ হয়, তাই একটু কষ্ট তো করাই যায়!
তাহলে চলুন কলই শাক রান্নার রেসিপিটা দেখে নেই-
প্রথমে পরিমাণমতো শাক বেছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কলই শাক বাছলে খুব অল্পই পাওয়া যায়। বাকিটা ফেলে দিতে হয় নির্দয়ের মতো।
যাই হোক শাকগুলো ধুয়ে একদম পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। কারণ এই শাক রান্নার পর থাকবে একদম ঝরঝরা এবং সবুজ। শাকের গায়ে পানি থাকলে যা সম্ভব নয়।
এবার শাকগুলো কেটে নিতে হবে। আর এই কাজটিই হলো সবচেয়ে কঠিন।
শাকগুলো যতটা সম্ভব কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এতে বটি বা ছুরি দুটোই ব্যবহার করা যাবে। বটি বা ছুরি যেটাই ব্যবহার করার হোক না শাকটা কুচি হলেই হলো। আর খুব সাবধানেই এই কাজটি করতে হবে যাতে হাত কেটে না যায়।
শাক কাটা হলে এবার রান্নার পালা! যতটা কঠিন এই শাক কাটা, রান্নার কাজটি সেই তুলনায় খুব সহজ এবং অল্প সময়ের।
চুলায় একটি হাড়িতে কেটে রাখা শাকগুলো দিয়ে দিলাম। তাতে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, তিন চারটি কাঁচা মরিচ ফালি এবং স্বাদ মতো লবণ।
এবার নেড়ে চেড়ে শাকটাকে সিদ্ধ করে নিবো দুই থেকে তিন মিনিট। শাকের গায়ের যে পানি সেটুকু শুকিয়ে ফেলতে হবে। এতেই শাক সিদ্ধ হয়ে যাবে। তবে কোনোভাবেই ঢেকে দেওয়া যাবে না। কারণ আগেই বলেছি শাক রান্নার পরেই এর রং সবুজই থাকবে। ঢেকে দিলে শাক কালো বা লালচে রঙ হয়ে যাবে।
শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে এবার ফোঁড়ন বা বাগার দেবার পালা। এজন্য শাক চুলা থেকে তুলে নিতে হবে।
কড়াইয়ে এক টেবিল চামুচ তেল দেওয়ার পর তার মধ্যে চারটি শুকনো মরিচ। মরিচগুলো চাইলে টুকরো করেও দেওয়া যায়।
মরিচের রঙ পরিবর্তন হলে শাকগুলো দিতে হবে। এবার এক থেকে দুই মিনিট শাকগুলো ভেজে নিতে হবে। কোনোভাবেই এই শাক বেশিক্ষণ জ্বাল দেওয়া যাবে না। তাতে শাকের স্বাদ এবং রং দুটোই পরিবর্তন হয়ে যাবে।
বেশ, হয়ে গেলো দারুণ স্বাদের কলই শাক রান্না। এবার দ্রুত গরম ভাতে পরিবেশনের করুন।