সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা ৫টি তেল ম্যাসাজ
ম্যাসাজ থেরাপি আর্য়ুবেদিক নিরাময় কৌশল হিসেবে সুপরিচিত। যা প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। এটি হাড়কে আরও শক্তিশালী করতে, ঘুমের গুণমান বাড়িয়ে তুলতে, শরীরের সুরক্ষা দিতে, স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে এবং পাকস্থলীর সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে। তবে ম্যাসাজের জন্য সঠিক ম্যাসেজিং তেলটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি তেলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ থাকে।
জলপাই তেল:
অলিভ অয়েল হালকা ম্যাসাজের জন্য আদর্শ। কারণ এটি ত্বকে খুব ধীরে ধীরে শোষিত হয়ে যায়। এই তেল আপনার পেশী শিথিল এবং আর্দ্রতা লক করার জন্য উপযুক্ত। এটি রক্ত সঞ্চালন, পেশী আটকানো এবং কোনও প্রদাহ বৃদ্ধি হৃাস করে। এ ছাড়া নিয়মিত এই তেলটি প্রয়োগ করলে আপনার ত্বক অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা পেতে পারে।
তিলের তেল:
স্বাস্থ্যকর হাড় স্বাস্থ্যকর জীবনের ভিত্তি। আপনার হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য তিলের তেলের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। তামা, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, স্বাস্থ্যকর ওমেগা -৩ ফ্যাট এবং প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো তিলের তেল। তিলের তেল দিয়ে মালিশ হাড়কে শক্তিশালী এবং মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করতে পারে। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এবং ভিটামিন ই উপস্থিতির কারনে বার্ধক্য রোধ করতে পারে।
নারিকেল তেল:
নারিকেল তেল ত্বককে হাইড্রেট রাখে। প্রাচীন কাল থেকে এটি ঝলমলে ও স্বাস্থ্যজ্বল চুল পেতে ব্যবহার করা হয়। এতে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই তেলটি ক্লিনজার এবং লিপ বাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাদাম তেল:
বাদাম তেল খুব জনপ্রিয় ম্যাসেজিং তেল। এই তেল ফ্যাকাশে হলুদ তবে খুব আঠালো নয়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ায় এই তেল ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এর শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য অ্যাথলেটদের পা আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও দাদ, একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো অন্যান্য ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে।
সরিষার তেল:
সরিষার তেল কিছুটা চটচটে তবে এটি অন্যতম সেরা ম্যাসেজিং তেল। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। বিশেষত শীতকালে শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করতে হালকা গরম সরিষার তেল ব্যবহার করুন। এতে উপস্থিত যৌগগুলো ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি ধীর করে। মাইক্রোবায়াল বৃদ্ধি অবরুদ্ধ এবং চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
মালিশ করার সঠিক উপায়:
গোসলর ৩০ মিনিট আগে হাতে কিছুটা তেল নিন। এবং ১৫ মিনিটের জন্য আপনার পুরো শরীরে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। কার্যকর ফলাফলের জন্য এক মাসের জন্য এটি ব্যবহার করুন।