ঘাড়ের ব্যথায় করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘাড় ব্যথা বিশ্বব্যাপী অক্ষমতার চতুর্থ প্রধান কারণ হিসাবে দেখা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঘাড় ব্যথা বিশ্বব্যাপী অক্ষমতার চতুর্থ প্রধান কারণ হিসাবে দেখা হয়। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘাড় ব্যথা বিশ্বব্যাপী অক্ষমতার চতুর্থ প্রধান কারণ হিসাবে দেখা হয়। ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারনে ঘাড় ব্যাথা হতে পারে। ঘাড় ব্যথা কাজের ক্ষমতা, ঘুম এবং পরিবারের সাথে সময় উপভোগ করার সময় সহ দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এটি প্রযুক্তিবিদ বা ডেস্ক জবগুলোতে নিযুক্ত কর্মরত জনগণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে স্ট্রেস, দুর্বল শরীর, স্থুলত্ব, পেশী প্রদাহ, বাত এবং আঘাত জনিত কারণেও হতে পারে। ঘাড়ের ব্যথা মোকাবেলার সর্বোত্তম উপায় হলো প্রথম স্থানে এটি হ্রাস করা। যোগব্যায়াম, ম্যাসাজ, ভেষজ ও আকুপাংচারের মতো প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘাড়ের ব্যাথা থেকে ত্রাণ পেতে পারেন।

ঘাড়ে ব্যথার ঝুঁকিপূর্ণ কারণ:

ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ পেশীর স্ট্রেন এবং স্নায়ু সংকোচন। তবে  আপনি একা লক্ষণ ইঙ্গিত বুঝতে পারবেন না। পেশীর স্ট্রেন সাধারণত দুর্বল শরীর, ঘুম, স্ট্রেস বা উদ্বেগের ফলে আসে। স্নায়ু সংকোচনের ঘটনা ঘটতে পারে যখন মেরুদণ্ডের কোনও ডিস্ক তার অবস্থান থেকে পিছলে যায় তখন ঘাড়ের টিস্যু ফুলে যায়। কারণ যাই হোক না কেন, চলমান দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ে ব্যথা উপেক্ষা করা উচিত নয় কারণ এটি আজীবন অক্ষমতা বা এমনকি স্থায়ী ক্ষতি কারণ হতে পারে।

ঘাড় ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করার কার্যকর উপায়-

যোগব্যায়াম:

ঘাড়ে ব্যথা সহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য যোগের প্রাচীন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে যোগাসন ব্যথা হ্রাস করতে, গতিশীলতা উন্নত করতে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। এমনকি দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের যোগব্যায়াম শরীরকে শিথিল করতে, পেশীগুলো প্রসারিত করতে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে এবং ঘাড়ে ব্যথার সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।

কয়েকটি সাধারণ যোগাসন যা ঘাড়ের ব্যথার জন্য অনুশীলন করা যেতে পারে সেগুলি হলো মার্জারিয়াসন, বিটিলাসনা, বালাসানা, নটরাজাসানা, বিপরিতা করণি, এবং সাভসানা।

ঘাড়ে ব্যথা সহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করে।
ঘাড়ে ব্যথা সহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত

ম্যাসাজ:

বেশ কয়েকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ম্যাসাজ থেরাপি দক্ষ পেশাদারদের দ্বারা সম্পাদিত হলে ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারে। ম্যাসাজ থেরাপি সাধারণত টেন্ডস পরিচালনা করতে হাত ব্যবহার জড়িত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং পেশীগুলোর ব্যাথা হ্রাস করে। এটি মেরুদণ্ড এবং ঘাড়ের অসাড়তা এবং কড়া পেশীগুলো সহজ করতে সহায়তা করে।

মেরুদণ্ড এবং ঘাড়ের অসাড়তা এবং কড়া পেশীগুলো সহজ করতে সহায়তা করে।
মেরুদণ্ড এবং ঘাড়ের অসাড়তা এবং কড়া পেশীগুলো সহজ করতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত

ভেষজ:

ভেষজ চিকিৎসা বিভিন্ন ধরণের ব্যথা চিকিৎসার জন্য যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেষজ ওষুধ খাওয়া যায়, গোসলের পানিতে মিশ্রিত করা হয়, তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয় বা অ্যারোমাথেরাপি হিসাবে শ্বাস নেওয়া যায়। ডেভিলস ক্ল একটি জনপ্রিয় ওষধি যা ঘাড়ে ব্যথা হ্রাস করতে পারে এমনকি অস্টিওআর্থারাইটিস রোগীদের শারীরিক কার্যকারিতাও উন্নত করতে পারে। তা ছাড়া ল্যাভেন্ডার, কুডজু এবং সেন্ট জনস ওয়ার্ট এমন কয়েকটি জনপ্রিয় ওষধি যা ঘাড়ের ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।

ভেষজ চিকিৎসা বিভিন্ন ধরণের ব্যথা চিকিৎসার জন্য যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ভেষজ চিকিৎসা বিভিন্ন ধরণের ব্যথা চিকিৎসার জন্য যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত

আকুপাংকচার:

আকুপাংচার হাজার বছরের পুরনো কৌশল যা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে সূঁচ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়। আকুপাংচার সেশনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়কাল নির্ভর করে যে ঘাড়ের ব্যথা লক্ষণ ও তীব্রতার উপর।

শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে সূঁচ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।
শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে সূঁচ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

জীবনধারা পরিবর্তন:

লাইফস্টাইলর পরিবর্তন ঘাড়ের ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘাড়ে ব্যথায় ভুগছেনে এমন ব্যাক্তিদের ভালো করে অনুশীলন করা উচিত। ভালো ঘুমানো, আরামদায়ক স্থানে মেরুদণ্ড বজায় রাখা, ঘাড়ের নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং কাজের মধ্যে বিরতি নেওয়া ঘাড়ের উপর স্ট্রেন কমাবে ও শিথিল রাখবে।

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;