ঘুমের যে অভ্যাসগুলো ওজন বাড়ায়

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভরা পেটে ঘুমালে ওজন অর্জন বৃদ্ধি হয়। ছবি: সংগৃহীত

ভরা পেটে ঘুমালে ওজন অর্জন বৃদ্ধি হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঘুম ওজন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুম পায় এমন ব্যক্তির বিএমআই সূচক যাদের ঘুম পায় না তাদের তুলনায় কম থাকে। পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং ওজন পরিচালনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক জন এম জ্যাকিক বলেছেন, ঘুম কম বা বিশ্রামের অভাব হলে হরমোনাল পরিবর্তন হয় যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

যখন সেরোটোনিন, ডোপামিন এবং মেলোটোনিনের মতো হরমোনগুলো ভারসাম্যের বাইরে চলে যায় তখন এগুলো ঘুম, মেজাজ এবং খাবারের অভ্যাসকে প্রভাবিত করতে পারে। জেনে নিন ঘুম কীভাবে ওজন বৃদ্ধি করে-

বিজ্ঞাপন

লাইট জ্বালিয়ে ঘুমানো

আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণার অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, আলোর সংস্পর্শে থাকা কেবল বিশ্রামের গুণমানকেই প্রভাবিত করে না বরং অতিরিক্ত ওজনের কারণ হতে পারে। এই জন্য সমস্ত লাইট অফ করে এবং ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র কমপক্ষে তিন ফুট দূরে রাখুন।

বিজ্ঞাপন

ভরা পেটে ঘুমানো:

ভরা পেটে ঘুমালে ওজন অর্জন বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। এটি পেশী এবং জয়েন্টগুলিতে অনেক অপ্রয়োজনীয় স্ট্রেন যুক্ত করতে পারে, যার কারণে হঠাৎ জেগে ওঠা এবং ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন।

শোবার ঘর গরম রাখা:

বিশ্রামের সময় শরীর স্বাভাবিকভাবেই শীতল হয়ে যায়। ফ্যাট-বার্নিং হরমোন নিঃসৃত হয় যা ত্বক, হাড় এবং পেশী সবল রাখে। ঘর খুব উষ্ণ হওয়া এই প্রক্রিয়াটিকে ব্যাহত করতে পারে।

শোবার আগে সঠিক খাওয়া:

খুব গুরুত্বপূর্ণ কুল-ডাউন প্রক্রিয়াটি গভীর রাতে খাবার এবং স্ন্যাকস খাওয়ার মাধ্যমে ব্যাহত হতে পারে। শোবার তিন ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত নয়।

গভীর রাতে ব্যায়াম:

ওজন হ্রাস এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে উচ্চ ব্যায়াম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, হরমোনের নিঃসরণকে বাধা দেয় এবং ঘুমিয়ে পড়া আরও শক্ত করে তোলে।

অতিরিক্ত জামাকাপড় ঘুমানো:

অন্তর্বাস বা ফিটিং পোশাক দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং মেলাটোনিনের নিঃসরণ হ্রাস করতে পারে। যা ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

পর্যাপ্ত না ঘুমানো:

বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আদর্শ। ঘুমের অভাব কর্টিসল, ক্ষুধার হরমোন, সেরোটোনিন এবং লেপটিন হ্রাস করে যা ওজন বাড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।