স্যানিটারি ন্যাপকিন ক্যান্সারের কারণ!
স্যানিটারি ন্যাপকিন ছাড়া আধুনিক জীবন মেয়েদের জন্য অকল্পনীয়। প্রযুক্তি সর্বশেষ নতুনত্ব এই প্যাড পিরিয়ডকালীন অস্বস্তি অনেকাংশে প্রশমিত করেছে। লম্বা সময় কাজ করা, খেলাধুলা করা এবং স্কুল-কলেজে যাওয়া এখন কোনো অস্বস্তিকর বিষয় নয়। যদিও ট্যাম্পনস এবং মেন্সট্রুয়াল কাপের মতো আরো অনেক বিকল্প রয়েছে তবে স্যানিটারি ন্যাপকিন বেশিরভাগ মেয়ের প্রথম পছন্দ হিসাবে রয়ে গেছে।
প্রতি মাসেই মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হয়। তবে এটি পর্যাপ্ত নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগের কারণ কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি গুগল করেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন একাধিক গবেষণা পাবেন।
জেনে নিন স্যানিটারি ন্যাপকিন কতটা নিরাপদ এবং সেগুলো ক্যান্সারের কারণ কিনা?
সিনথেটিক ন্যাপকিন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যানিটারি ন্যাপকিন নিরাপদ। কয়েকটি চলমান গবেষণা বলে, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার যৌনাঙ্গের ক্যান্সারের কারণ। কারণ এতে ডাইঅক্সিন এবং সুপার-শোষণকারী পলিমারের মতো শোষণকারী এজেন্ট ব্যবহার করে। ডাইঅক্সিন শরীরে জমা হলে প্রজনন অঙ্গকে প্রভাবিত করে। যা ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
ডাইঅক্সিন কী?
ডাইঅক্সিন একটি কার্সিনোজেন যা দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ গঠন করে। ন্যাপকিনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্লিচ করা হয় যাতে প্রচুর পরিমাণে ডাইঅক্সিন থাকে। ডাইঅক্সিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে ফেলে। যা বিভিন্ন সংক্রামক রোগের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এটি এস্ট্রোজেন (সেক্স হরমোন) এর মতো প্রজনন হরমোনকে প্রভাবিত করে। যা দীর্ঘকালীন সমস্যার কারন হতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন পরা অবস্থায় যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করবেন-
- প্রতি ৩-৪ ঘন্টা পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। এমনকি যখন ব্লিডিং কম হয় তখনও।
- ইউটিআইয়ের সম্ভাবনা কমাতে পিরিয়ডের সময় হাইড্রেটেড থাকুন।
- সর্বদা পরিষ্কার এবং শুকনো অন্তর্বাস পরুন এবং পেরিনাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।
- অর্গানিক ন্যাপকিন ব্যবহার করুন।
- সুগন্ধযুক্ত ন্যাপকিন নির্বাচন করবেন না।
- পাবলিক ওয়াশরুম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ন্যাপকিন সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন।
- যৌনাঙ্গের চারপাশে কোনো র্যাশ বা চুলকানি থাকলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।