আজ বিশ্ব কিডনি দিবস
কিডনি স্বাস্থ্যের তাৎপর্য এবং কিডনিজনিত অসুস্থতার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস পালন করা হয়। এই বছর বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২১-এর প্রতিপাদ্য হলো ‘কিডনি ডিজিজের সাথে লিভিং ওয়েল ' যার লক্ষ্য কিডনিজনিত রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগীদের পরিচালনা করার জন্য তারা গ্রহণ করতে পারে এমন বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা সহ অনেক কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিডনির সাথে সম্পর্কিত অসুস্থতার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছে। কিডনি আকারে ছোট হতে পারে তবে রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল নিঃসৃত করার মাধ্যমে ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিডনি শরীরের অন্যতম অবহেলিত অঙ্গ হিসাবে অবিরত রয়েছে এবং দুঃখের বিষয় নিয়মিত কিডনি এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য খুব কম সংখ্যক লোকই এগিয়ে আসে।
কিডনি রোগের ঝুঁকি:
কিডনির বিভিন্ন ধরণের রোগ রয়েছে যেমন কিডনিতে আঘাত, ক্রনিক কিডনি রোগ, রেনাল স্টোনস, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ, উত্তরাধিকারী / জন্মগত রোগ। নিয়মিত ধূমপানের আসক্তিযুক্ত ব্যক্তিরা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলত্বজনিত এবং কিডনির রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি।
প্রায়শই প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ দৃশ্যমান হয় না কারণ কিডনি অত্যন্ত অভিযোজিত। পরবর্তী পর্যায়ে, কিডনিতে ক্ষতি যখন অপরিবর্তনীয় হয়ে যায় তখন রোগীরাও বেশ কয়েকটি লক্ষণ অনুভব করেন যেমন -
১. গোড়ালি এবং পা ফোলা
২. ওজন হ্রাস
৩. প্রস্রাবে রক্ত
৪. বুকে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
৫. ত্বকে চুলকানি
৬. প্রস্রাবের অসুবিধা
৭. পরিবর্তিত প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি
যদি কেউ এমন কোনও লক্ষণ অনুভব করেন যা কিডনির রোগের ইঙ্গিত দেয় তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
কিডনি রোগের প্রতিকার:
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরাময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলো হলো-
১. নিয়মিত অনুশীলন
২. লবণের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ বজায় রাখা
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ
৪. ধূমপান এড়িয়ে চলা
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করা