করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ প্রথম ওয়েভের থেকে মারাত্মক; বলছে গবেষণা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ব্যাপকভাবে মানুষকে সংক্রামিত করছে। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দ্বিতীয় ওয়েভ প্রথমটির চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। দেশের চিকিৎসকরা সংক্রমণের লক্ষণ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন।
করোনার নতুন স্ট্রেন বেশ শক্তিশালী এবং শরীরের নানা অঙ্গগুলোকে আরো গভীরভাবে আক্রমণ করার ক্ষমতা বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এটি সহজেই ফুসফুস, শ্বাস প্রশ্বাসের প্রবেশ পথ এবং নিউমোনিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারে যা মারাত্মক জটিলতা তৈরি করবে।
বর্তমান গবেষণা অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সাধারণ লক্ষণের থেকে অন্যান অনেক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জয়েন্টে ব্যথা, মাইলজিয়া, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল জটিলতা, দুর্বলতা এবং ক্ষুধা হ্রাস।
করোনাভাইরাসটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে শরীরে আরো মারাত্মক আক্রমণ শুরু করার সাথে সাথে সংক্রমণের তীব্রতাও দেখা যাচ্ছে। তীব্রতা এবং জটিলতার ফলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তাও বাড়তে পারে এবং পরিস্থিতি যদি সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটিকে ধস নামক অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে।
আগের তুলনায় এখন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অভিযোগ বেশি নিবন্ধিত হচ্ছে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলো প্রথমে স্পষ্ট না হলেও এখন চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন যে ভাইরাসটি হজম সিস্টেমে উপস্থিত ACE2 এন্ট্রি রিসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত হয়ে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, বমি ও বমি বমি ভাব সৃষ্টি করছে।
ভাইরাসটি প্রবীণদের এবং সবচেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। তবে এই নতুন স্ট্রেন সার্মথ্যবান মানুষদেরও আক্রান্ত করছে। নিয়মের প্রতি অবহেলা করার ফলে প্রচুর অল্প বয়স্ক ব্যক্তিরাও জটিলতায় ভুগছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কেউ কেউ দ্বিপাক্ষিক নিউমোনিয়ার মতো জটিলতার শিকারও হচ্ছেন, যা করোনা রোগীদের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায় যে ভ্যাকসিনের বর্তমান সেটটি করোনার নতুন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কার্যকর নাও হতে পার। যেহেতু মিউট্যান্ট ভাইরাস সহজেই অ্যান্টিবডিগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম। তবুও চিকিৎসকরা টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেহেতু ক্লিনিকাল প্রমাণ রয়েছে যে ভ্যাকসিন মৃত্যুর হার এবং দীর্ঘকালীন করোনার কারণে সৃষ্ট শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে পারে।