অক্সিজেন স্যাচুরেশন কী? কতটা থাকা প্রয়োজন?
করোনাকালীন এই সময়ে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হলো অক্সিজেন। পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে চলছে অক্সিজেনের হাহাকার। করোনার ভয়াবহ ছোবলে অক্সিজেন সংকট সবখানে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ফুসফুস দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে অক্সিজেন নেওয়ার গতিও কমছে।
অক্সিজেন স্যাচুরেশন কত থাকা উচিত?
রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপলেই বোঝা যায় ফুসফুসের জোর। অক্সিজেন স্যাচুরেশন অক্সিমিটার দিয়ে মাপা হয়। সেই মাপকেই চিকিৎসার পরিভাষায় বলে শরীরের ‘অক্সিজেন স্যাচুরেশন’ বা অক্সিজেনের মাত্রা। আর এই অক্সিজেনের মাত্রাই নির্ধারণ করে রোগীর শারীরিক অবস্থা।
সাধারণত মানুষের শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশনের স্তর ৯৫-১০০ শতাংশ থাকে। খুব কমলেও সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে তা ৯৭-এর নীচে নামে না। তবে ৯৫-এর নীচে নেমে গেলে তা চিন্তার। আর স্তরটি যদি ৯০-এর নীচে থাকে তবে তাকে হাইপোক্সেমিয়া বলে। করোনা আক্রান্ত অনেকের অক্সিজেনের মাত্রা তার থেকেও নীচে নেমে যাচ্ছে।
শ্বাস টানার পরে ফুসফুস সেই বায়ু থেকে অক্সিজেন পাঠায় রক্তে। যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরে। ফুসফুস দুর্বল হলে, শ্বাস টানার ক্ষমতা কমে যায়। তখন রক্তে অক্সিজেন পাঠানোর পরিমাণও কমে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গে কম অক্সিজেন পৌঁছায়। এর থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
অক্সিজেনের কম মাত্রা অব্যাহত থাকলে শ্বাসকষ্ট বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। কারো কারো ঝিঁমুনি ও বমি বমি ভাব হয় আবার কারো বা তার চেয়েও বেশি। অনেকেই জ্ঞান হারায় এমনকি মৃত্যুও ঘটে যদি অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা পড়ে যায়। এক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিজেন রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকা অতন্ত্য প্রয়োজন।