ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে করণীয়
জুনকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী মাস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ বর্ষাকালে ম্যালেরিয়া মারাত্মক হুমকি নিয়ে আসে। প্ল্যাসমোডিয়াম নামে এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণে ম্যালেরিয়া হয়। যা স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের কারণে ঘটে। মশার কামড় সুস্থ শরীরে পরজীবীর প্রবেশের পথ তৈরি করে দেয়। এ প্রবেশদ্বার দিয়ে সহজেই ভাইরাস শরীরে ঢুকে তা রক্তে প্রবাহিত হয়ে যকৃত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এরপর এটি লোহিত রক্ত কণিকার কোষে আক্রমণ করে।
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে মাথা ব্যাথা এবং কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বর হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। যার বড় অংশই ছিল পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু।
মশার কামড় ছাড়াও ভাইরাসটি যেভাবে ছড়ায়—
১. মায়ের শরীর থেকে গর্ভের সন্তানও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে
২. ভাইরাস সংক্রমতি ব্যক্তির রক্ত অন্য কারও শরীরে দেয়া হলেৎ
৩. সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সুচ একাধিক ব্যক্তির শরীরে ব্যবহারে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।
ম্যালেরিয়ার লক্ষণ
সাধারণত সংক্রমিত মশা মানব শরীরে কামড় দেয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেহে ম্যালেরিয়া লক্ষণ শুরু হয়। লক্ষণগুলো হলো—
উচ্চ তাপমাত্রাসহ জ্বর, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেট ব্যাথা, ঘাম, জয়েন্ট বা পেশী ব্যাথা, রক্তাক্ত মল, দ্রুত শ্বাস–প্রশ্বাস, হৃদকম্পন।
প্রতিরোধে করণীয়
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রোধ ও হ্রাস করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো—ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ।
পর্যাপ্ত ভেক্টর নিয়ন্ত্রণের কৌশল এবং কার্যকর সতর্কতামূলক পদক্ষেপের ফলে মারাত্মক এ ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।