ঠাণ্ডা ও গলাব্যথায় যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা প্রয়োজন
আবহাওয়া বদলের পালা আসলেই দেখা দেয় নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা ও অসুস্থতা।
ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যা তার মাঝে মুখ্য। জ্বরভাব, গলাব্যথা, হাঁচি-কাশির সমস্যা বেশ কাবু হয়ে পড়তে হয় এসময়ে। ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দিলে কী খাওয়া প্রয়োজন ও কী খেলে অসুস্থতা কমবে সেটা কমবেশি সবারই জানা আছে। কিন্তু কোন খাবারগুলো খাওয়ার ফলে ঠাণ্ডার সমস্যা বৃদ্ধি পায় সেটা জানেন না অনেকেই।
না জেনেই এমন কিছু খাবার খাওয়ার ফলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা বেড়ে যায় অনেকটা। নিজের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্যে জেনে রাখুন ঠাণ্ডার সমস্যায় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন।
দই
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে দই উপকারী হলেও, ঠাণ্ডার সমস্যায় দই থেকে দূরে থাকতে হবে। কাশি ও সর্দির মাত্রা বৃদ্ধি করে দই। এছাড়া বুকে কফ জমাট বাঁধার জন্যেও এই খাবারকে দায়ী করা হয়।
দুধ ও পনীর
ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই দুইটি খাদ্য উপাদানকে ঠাণ্ডার সমস্যার সময়ে দূরে রাখতে হবে। শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী এই খাবার দুইটি মিউকাসে সমস্যা তৈরি করার পাশপাশি প্রদাহ তৈরি করে।
সাইট্রাস ফল
ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় গলাব্যথা দেখা দিলে কমলালেবু, বেলু, জাম্বুরা ও এমন ধরণের টক ফল খাওয়া যাবে। এই সকল ফল খাওয়ার ফলে গলাব্যথা ও প্রদাহ বৃদ্ধি পায়।
তেলে ভাজা খাবার
গরম গরম আলুপুরি, চপ কিংবা ফ্রেন্স ফ্রাইস খেতে ইচ্ছা হলেও, ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগলে এইসকল খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে যথাসম্ভব বিরত রাখতে হবে। কারণ তেলে ভাজা এই সকল খাবার গলায় জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি করে। এছাড়া অসুস্থতার সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং পাকস্থলী দুর্বল হয়ে যায় বলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। যা থেকে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে সহজেই।
কোমল পানীয় ও প্যাকেটজাত ফলের রস
উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত কোমল পানীয় ও প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়া কোমল পানীয় পানের ফলে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রদাহ দেখা দেয়, যা ঠাণ্ডার সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়।