ক্যাফে শুধু কফির জন্য নয়



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকক থেকে: প্রায় এক ঘণ্টার উপর বসে আছি স্টারবাকসের একটি ক্যাফেতে। ল্যাপটপে খুটিনাটি ঘাটছি আর কিছু কাজ করছি। প্রায় অর্ধেক লেখা বইটাও পড়ে দেখছিলাম প্রথম থেকে। প্রায় ২ বছরের ব্যবধান ঘোচাতে সময় লাগছে। আজকে অনেকটা সময়ই থাকতে হবে এখানে। 

আজকে বিকেলে আসলেও এখানে সোফাতে বসার সুযোগ পেয়ে গিয়েছি। এর আগে গত রোববার এখানে চাইলেও বসতে পারিনি। কারণ প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। পরে সামনে আরেকটি ক্যাফেতে বসতে হয়েছে।

থাই মানুষরা কফি প্রিয়। তবে শতকরা ৯৯ শতাংশ মানুষই সকল ধরনের কফির সঙ্গে বরফ ব্যবহার করেন। আর গ্লাসের ৬০ শতাংশ জায়গাই দখল করে নেয় বরফ। স্কাই ট্রেনের হা-ইয়াক-লাত-ফ্রাও স্টেশনের সঙ্গেই সেন্ট্রাল লাওপ্রাড শপিংমল। একটা বড় ধরনের স্টেডিয়ামের মতো জায়গা নিয়ে এই শপিং মল। কাপ্পা, ম-ব্লা, লিভাইস, জারা, এইচএন্ডএম, মুজি’র মতো ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম যেমন রয়েছে তেমনি লিভারপুল বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল দলের রেপ্লিকার দোকানও এখানে রয়েছে। প্রায় এক ফ্লোর জুড়ে রয়েছে সেরা কিছু খাবারের দোকানও।

বিটিএস স্টেশন থেকে সংযোগ সড়ক রয়েছে এই মার্কেটে প্রবেশের দ্বিতীয় তলায়। আর তার সঙ্গেই লাগোয়া স্টারবাকস ক্যাফে। অনেকেই ক্যাফের বাইরে বসে আছেন আর ব্যবহার করছেন ক্যাফের ওয়াইফাই। মোবাইল নাম্বার আর ইমেইল এড্রেস দিলেই ওয়াইফাই পাওয়া যায় আর গতি বেশ ভাল।

ছবি: বার্তা২৪.কম

শুধু স্টারবাকস নয়, ক্যাফে আমাজন রয়েছে ঠিক রাস্তার সাথেই। আর ব্ল্যাক ক্যানিয়ন ও জামবাও রয়েছে একই ফ্লোরে। এর যে কোন একটিতে বসে পার করা যায় পুরো একটা বেলা।

ছুটির দিনে সকাল থেকেই ক্যাফেগুলো বেশ ভীড় হয়ে থাকে। বসার জায়গা পাওয়া কঠিন। আর যে যেখানে বসেছে অন্তত এক বেলার আগে আসন ছাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। শীতাতপে উষ্ণ থাকতে অনেকেতো একেবারে বাসা থেকে ছোট কম্বল নিয়ে জেঁকে বসে।

ল্যাপটপ বা ট্যাবের মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে বসলে এভাবে এক বেলা সময় কাটানো কঠিন কিছু না যদি চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। এটাই হচ্ছে এখানকার ব্যবস্থা যে প্রতিটি টেবিল বা সোফার সঙ্গে চার্জারের প্লাগ রয়েছে। তাই এক কাপ কফি বা ডিভাইসের চার্জ শেষ হয়ে গেলেও উঠে যেতে হয় না গ্রাহককে।

আরো অনেক মানুষ যেন এখানে বসে ডিভাইস বা বই পড়ে সময় কাটাতে পারে, তার জন্য লম্বা টেবিলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে লাইব্রেরির মতো। আবার শিক্ষার্থীরা যেন দলবদ্ধভাবে পড়াশোনা করতে পারে তার জন্য বর্গাকার বা গোলাকার মাঝারি আকৃতির টেবিলও রয়েছে। স্টারবাকস, আমাজন বা কফি ক্লাবের মতো বড় ক্যাফেগুলোতে এই গ্রুপ স্টাডির সুবিধা বিনামূল্যে থাকলেও ছোট ক্যাফেগুলোতে ফ্রি নয়।

যেমন এখানেই আরেকটি ক্যাফে রয়েছে, যার নাম ড্যাম গুড। এখানে টেবিলের উপর লেখা রয়েছে কেউ যদি টিউশনি করাতে চায় তাহলে প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০০ বাথ প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে কফি বা অন্য পাণীয় না নিলেও চলবে।

এখানে কি ক্যফেতে বসে সবাই কাজ করছে বা পড়াশোনা করছে? উত্তর না। অনেকেই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে সিনেমা দেখছে বা গেম খেলছে। তবে ক্যাফে আর পাব বা ক্লাবের মধ্যে একটা সরল পার্থক্য রয়েছে। ক্লাব বা পাব যেমন হৈ-চৈ পূর্ণ, ক্যাফে এমনটা নয়। ছোটখাট বৈঠক হচ্ছে বা যে যার মতো করে কাজ করছে, যতোটা সম্ভব নিচু স্বরে।

ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যংককের সেরা ক্যাফে বলতে অস্ট্রেলিয়ান ‘কফি ক্লাব’কেই বোঝায়। শহরজুড়ে প্রায় ২৬টি ব্রাঞ্চ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। এখানে কফির মূল্য ৯৫ বাথ থেকে শুরু। ব্যাংককে ১০০ মিটারও আপনি অতিক্রম করতে পারবেন না ‘অল কফি’র ক্যাফে ছাড়া। কারণ জাপানি মালিকানাধীন সেভেন ইলেভেন সুপারশপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এই ক্যাফে। এখানে ২৫ বাথ থেকেই কফি পাওয়া যায়। আমেরিকান ‘ম্যাক ক্যাফেতো কফির মূল্য শুরু হয় ৩৯ বাথ থেকে।

এখানে শুধু ক্যাফে নয়, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডসের মতো চেইন ফাস্টফুডের দোকানগুলোতেও একটা পানীয় কিনে আপনি অর্ধেক বেলা কাটিয়ে দিতে পারবেন। কেউ জানতে চাইবে না, ‘কখন উঠবেন?’

‘চাও দই’ থাইল্যান্ডের উত্তরের চিয়াং মাই অঞ্চলের ব্র্যান্ড। দেশজুড়ে ৩০০ টিরও বেশি ক্যাফে রয়েছে এই ব্র্যান্ডের। আর কফির মূল্য শুরু ৪৫ বাথ থেকে। ট্র-কফিতে সর্বনিম্ন মূল্য ৭৫ বাথ। এছাড়াও অ-বান-পাইন, টম এন্ড টম্স এখানে বেশ পরিচিত ক্যাফে।

এসব ক্যাফেতে শুধুমাত্র যে বসে সময় কাটানো যায়, তা নয়। দুই একজনকে দেখা যায় দুপুরের সময় বেশ ঝিমোচ্ছে, প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছে বলা যায়। আমিও আজ অনেকটা সময় বসবো। আরো প্রায় ঘণ্টা খানেক। একেবারে রাতের খাবার সময় হলেই বের হবো। আমার অ্যমেরিকানো কিন্তু অনেক আগেই তলানীতে পৌঁছে গিয়েছে। এখন খুব ধীরে ধীরে চুমুক দিচ্ছি।

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;