ওমিক্রনে আক্রান্তরা ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গে ভুগছে কেন?

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডেল্টা ধরণের চেয়ে কম ক্ষতিকর হলেও অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার কারণে চিন্তিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ খুবই কম দেখা গেছে। মৃদু উপসর্গের কারণে ওমিক্রন ফুসফুসের উপর কম প্রভাব ফেলে। এতে রোগীকে হাসপাতাল নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। বাড়িতে থেকে স্বাভাবিক চিকিৎসা নিয়েই আক্রান্তরা সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের উপসর্গগুলো হালকা ঠান্ডা লাগার মতোই। ডেল্টা ধরণের মতো গন্ধ এবং স্বাদের ক্ষতিও করে না। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, সর্দি, নাক দিয়ে জল পড়া এবং ক্লান্তি ওমিক্রনের অতি সাধারণ লক্ষণ।

এ ধরণটির আরও একটি উপসর্গ হলো পেটের সমস্যা। ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেক রোগীদের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাদের ফুসফুসে কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। কেবল পেটের সমস্যায় ভুগেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

ওমিক্রন আক্রান্তদের ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গের কারণ

ওমিক্রনে আক্রান্তদের বিভিন্ন উপসর্গের সম্মুখীন হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হলো- করোনার টিকা। যারা টিকা নিয়েছেন এবং যারা নেননি তাদের মধ্যে ওমিক্রনের পৃথক উপসর্গ দেখা যায়। যারা এরই মধ্যে টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণগুলো তুলনামূলকভাবে হালকা।

ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীরা ১০ দিনেই মোটামুটি সুস্থ হয়ে যান

যদিও টিকা ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে না, তবুও এটি তীব্রতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে দিতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

এছাড়া যে ব্যক্তিরা আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তারা একজন সুস্থ ব্যক্তির তুলনায় করোনার গুরুতর লক্ষণগুলো অনুভব করতে পারেন।

একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে একজন ব্যক্তির শরীরে দুই-তিন দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ডেল্টা ধরণের ক্ষেত্রে, করোনার লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিতে সাধারণত পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগে। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীরা ১০ দিনেই মোটামুটি সুস্থ হয়ে যান, যা ডেল্টার ক্ষেত্রে ১৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও হালকা কিছু উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। ক্লান্তি, মাথাব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। এগুলো মূলত করোনাভাইরাসের দীর্ঘ সময়ের লক্ষণ।